স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী : আতঙ্কিত হওয়ার মতো অবস্থায় নেই বাংলাদেশ

আগের সংবাদ

সরকারি ওষুধ সিন্ডিকেটের পেটে : রোগীর ভাগ্যে জোটে যৎসামান্য, বিনামূল্যে মিলে কোন ওষুধ জানেন না রোগী, তিন স্তরে পাচার হয়

পরের সংবাদ

শিশু ধর্ষণ : ল²ণ দাশের মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ

প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রাম নগরীর জামালখানে শিশু মারজান হক বর্ষাকে ধর্ষণের পর হত্যাকারী ল²ণ দাশের দ্রুত বিচার করে মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করার দাবিতে চট্টগ্রামে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ গতকাল শুক্রবার বিকালে নগরীতে এক বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন। নগরীর চেরাগী পাহাড় মোড়ে চট্টগ্রাম জেলা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নারী সেলের উদ্যোগে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বর্ষার বড় বোন সালেহা আক্তার রুবিও বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, নিখোঁজের তিন দিন পর গত ২৭ অক্টোবর সন্ধ্যায় নগরীর কোতোয়ালি থানার জামালখান এলাকায় বাসার পাশে ব্রিজ গলির বড় নালা থেকে মারজান হক বর্ষা (৭) নামে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়। সে নগরীর কুসুমকুমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। এ ঘটনায় ব্রিজ গলির প্রবেশমুখের শ্যামল স্টোর নামে এক মুদির দোকানের কর্মচারী ল²ণ দাশকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেয়া তথ্যেরভিত্তিতে পুলিশ জানায়, শিশুটিকে দোকানের পেছনে গুদামে নিয়ে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লক্ষণ। এরপর লাশ বস্তায় ভরে ফেলে দেয় গুদাম সংলগ্ন নালায়।
এই নৃশংস-অমানবিক হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশে জেলা সিপিবির সভাপতি অশোক সাহা বলেন, খুন, ধর্ষণ, নারীর প্রতি সহিংসতাসহ নানা অপরাধ এবং বিচারহীনতায় অপরাধীদের পার পেয়ে যাওয়ার কারণে দেশ-সমাজ আজ নষ্ট, দুর্গন্ধময় হয়ে গেছে। এদেশে এখন ৩ বছরের শিশু থেকে ৬০ বছরের বৃদ্ধা কেউই নিরাপদ নয়। জামালখানে মাত্র সাত বছরের একটা শিশু, তাকে ধর্ষণ করে লাশ ফেলা হয়েছে নালায়। এ কোন সমাজে আমরা বসবাস করছি! সিপিবি, চট্টগ্রাম নারী সেলের আহ্বায়ক রেখা চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও নারীনেত্রী স্বপ্না তালুকদারের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- উদীচী, চট্টগ্রাম জেলা সংসদের সাধারণ সম্পাদক শীলা দাশগুপ্তা প্রমুখ।

শীলা দাশগুপ্তা বলেন, স্কুলে শিক্ষকের হাতে ছাত্রী, মাদরাসায় শিক্ষকের হাতে ছাত্র ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। আগে আমাদের এই চেরাগী চত্বর, জামালখান ছিল সংস্কৃতিমনা মানুষদের আড্ডাস্থল, ছিল গুণীজনদের আসা-যাওয়া। কিন্তু এখন সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। চেরাগীতে প্রতিদিন মাদকের আড্ডা বসে। মারামারি-খুনোখুনি হয়। কিন্তু কেউ প্রতিবাদ করে না। প্রতিবাদ হয় না বলেই শিশু মারজানকে নির্মমভাবে প্রাণ দিতে হয়েছে।
বর্ষার বড় বোন সালেহা আক্তার রুবি কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, ‘আমার বোনকে হারিয়ে আমরা পুরো পরিবার মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি। ভাবতেই পারছি না আমার বোন আজ আর আমাদের মাঝে নেই। ওর লাশ আমরা দেখতেই পারিনি। যার জন্য আমাদের এই অবস্থা তার এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার কোনো অধিকার নেই। যতক্ষণ তার মৃত্যুদণ্ড হচ্ছে না, ততক্ষণ আমরা আন্দোলন করে যাব।’
সভাপতির বক্তব্যে জেলা সিপিবির নারী সেলের আহ্বায়ক রেখা চৌধুরী বলেন, এ বর্বরতা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এ ধরনের বিকৃত মানসিকতার নরপিশাচদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা না গেলে কোনোভাবেই এসব জঘন্য অপরাধ বন্ধ করা যাবে না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়