স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী : আতঙ্কিত হওয়ার মতো অবস্থায় নেই বাংলাদেশ

আগের সংবাদ

সরকারি ওষুধ সিন্ডিকেটের পেটে : রোগীর ভাগ্যে জোটে যৎসামান্য, বিনামূল্যে মিলে কোন ওষুধ জানেন না রোগী, তিন স্তরে পাচার হয়

পরের সংবাদ

বাণিজ্যিকভাবে ফিলিপাইনের কালো আখ চাষে সম্ভাবনা

প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আবু বকর সিদ্দিকী, নওগাঁ থেকে: চাকরি ছেড়ে কৃষির প্রতি ঝুঁঁকে পড়া নওগাঁর সোহেল রানা এবার বাণিজ্যিকভাবে চাষ করেছেন ফিলিপাইনের কালো জাতের আখ (ব্যাক সুগার কেইন)। এই আখ অত্যন্ত সুমিষ্ট ও ব্যবসায়িকভাবে লাভজনক হওয়ায় আশপাশের চাষিরাও এ জাতের আখ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। পাশাপাশি কৃষককে এ জাতের আখ চাষে বাণিজ্যিকভাবে সফল করতে সব ধরনের সহযোগিতা করছে কৃষিবিভাগ।
জানা গেছে- নওগাঁর পতœীতলা উপজেলার দিবর ইউনিয়নের রূপগ্রাম গ্রামের বাসিন্দা কৃষক আজিজার রহমানের ছেলে সোহেল রানা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর ঢাকায় একটি দৈনিক পত্রিকার ফিচার বিভাগে কিছুদিন তিনি চাকরি করেন। পরে সেই চাকরি ছেড়ে নিজ এলাকায় পৈতৃক ১২ বিঘা জমিতে গড়ে তোলেন সমন্বিত কৃষি খামার ‘রূপগ্রাম অ্যাগ্রো ফার্ম’।
এরপর তাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। পরে সাপাহার উপজেলার গোডাউনপাড়া এলাকায় ৭০ বিঘা জমিতে ‘বরেন্দ্র অ্যাগ্রো পার্ক’ নামে গড়ে তোলা মিশ্র ফলবাগান ইতোমধ্যে এলাকায় সাড়া ফেলেছে।
বাগানে দেশি-বিদেশি নানা প্রজাতির ফল চাষ করে বাণিজ্যিকভাবে সফল হয়েছেন তিনি। এবার তার খামারে চাষ করেছেন ফিলিপাইনের কালো জাতের আখ। আখগুলোর বাইরের অংশ দেখতে কালো খয়েরি। লম্বায় সাধারণত ১২ থেকে ১৬ ফুট। দেশীয় আখের মতো হলেও এর আছে বেশ কিছু ভিন্নতা। এই আখের কাণ্ড কিছুটা নরম, রস বেশি, মিষ্টি বেশি, চাষের পর লাভ বেশি। এসব কথা ভেবেই অনেক চেষ্টার পর ফিলিপাইনের কালো জাতের আখ ‘ব্যাক সুগার কেইন’ চাষ করেছেন কৃষি উদ্যোক্তা সোহেল রানা।
এ ব্যাপারে সোহেল রানা ভোরের কাগজকে জানান, প্রায় দুই বছর আগে ফিলিপাইনের ব্যাক সুগার কেইন জাতের ৮০০ বীজ সংগ্রহ করেন জয়পুরহাট থেকে। সেই বীজ থেকে আখ চাষের পর সেখান থেকে তিনি ৫ হাজার বীজ তৈরি করেন। সব বীজ তিনি বাগানে পায়ে হাঁটা পথগুলোর দুই পাশে রোপণ করেন। বাগানে এখন শোভা পাচ্ছে ফিলিপাইনের সাড়ে তিন হাজার আখ। বাগান দেখতে আসা উজ্জ্বল হোসেন জানান, এ জাতের আখ আমি আগে দেখিনি। এটি এখানেই এসে প্রথম দেখলাম ও খেলাম। এটি অনেক সুস্বাদু ও রসালো। এখানে এসেছি এ জাতের আখ চাষের পদ্ধতি জানতে ও বীজ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে। সঠিক পরামর্শ পেলে আমিও এ আখ চাষ করব।
এ ব্যাপারে নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয়ের উপপরিচালক আবু হোসেন ভোরের কাগজকে জানান, সোহেল রানা একজন সফল উদ্যোক্তা। তার বাগানে পুষ্টিকর ফল ড্রাগন, প্যাসন, পেয়ারা, বরই চাষ করে সফল হয়েছেন। এবার ফিলিপাইনের কালো জাতের আখ চাষেও তিনি সফল হয়েছেন। অন্য চাষিরাও চাইলে এই আখ চাষ করে বাণিজ্যিকভাবে সফল হতে পারেন।
কৃষি বিভাগ নতুন জাতের এ আখ চাষে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়