স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী : আতঙ্কিত হওয়ার মতো অবস্থায় নেই বাংলাদেশ

আগের সংবাদ

সরকারি ওষুধ সিন্ডিকেটের পেটে : রোগীর ভাগ্যে জোটে যৎসামান্য, বিনামূল্যে মিলে কোন ওষুধ জানেন না রোগী, তিন স্তরে পাচার হয়

পরের সংবাদ

প্রশ্নবিদ্ধ আম্পায়ারিং

প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ পর্বে প্রতিদিন ভোরের কাগজে থাকছে জাতীয় দলের সাবেক তারকা ক্রিকেটার অলক কাপালির বিশ্লেষণ

আর মাত্র এক ম্যাচ পরে অষ্টম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর্দা নামবে। অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্টিত এবারের বিশ্বকাপে আম্পায়ারিংয়ে মান ছিল নি¤œগামী।
ক্রিকেটে আম্পায়ারিংয়ে ভুল সিদ্ধান্ত নতুন কিছু নয়। কিন্তু এটা যদি বারবার হয় তবে সেটা দৃষ্টিকটূ। আর বিশ্বকাপের মতো বড় টুর্নামেন্টেও যদি পরিচালকরা বারবার ভুল করেন তবে সেটা বাজে প্রভাব ফেলে এবং জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়ে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুর্বল আম্পায়ারিং নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে। এবার বাজে আম্পায়ারিং নিন্দা কুড়োচ্ছে। বিশ্বকাপের মতো ইভেন্টে যদি এমন ভুল হয় সত্যিই মানা খুবই কষ্টকর। বাংলাদেশের সঙ্গেই কেন বারবার এমন হয়।
বাংলাদেশের স্মরণীয় একটা বিশ্বকাপ ছিল ২০১৫ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সেবার দুর্দান্ত খেলেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ওই আসরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়ের পর কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতকে প্রায় নাড়িয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে সে ম্যাচে রুবেল হোসেনের একটি ‘নো বল’ ঘিরে তুমুল বিতর্ক হয়েছিল। টিভি রিপ্লেতে স্পষ্ট দেখা গিয়েছিল, সেটি নো বল নয়। ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত হেরে যায় টাইগাররা। এবার অস্ট্রেলিয়ায় আরেকটা বিশ্বকাপ। এবার বঞ্চনার শিকার সাকিব বাহিনী। টুর্নামেন্টজুড়ে নিজেদের সাফল্য-ব্যর্থতা যেমন ছিল, সেই সঙ্গে বারবার বাজে আম্পায়ারিংয়ের নির্মম বলি হতে হয়েছে টাইগারদের।
ভারতের বিপক্ষে বাজে আম্পায়ারিংয়ের শিকার হয়েছে বাংলাদেশ। বিরাট কোহলির পরিষ্কার ‘ফেক থ্রো’ চোখ এড়িয়ে গেছে আম্পায়ারদের। ওই ফেক থ্রো থেকে পাঁচ রান পেলে ভারতের বিপক্ষে জিতেও যেতে পারতো বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের বিপক্ষে জিতলেই সেমিফাইনাল এমন ম্যাচেও ভুল আম্পায়ারিংয়ের শিকার হয়েছে সাকিব বাহিনী। দলের টপ অর্ডার ও সবচেয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটার এবং অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে ‘ভুয়া’ লেগ বিফোরে সাজঘরে পাঠানো হয়েছে।
ইনিংসের একাদশতম ওভারে শাদাব খানের বলে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গিয়ে ঠিকঠাক ব্যাটে লাগাতে পারেননি। বল তার প্যাডে লাগার পরই জোরালো আবেদন পাকিস্তানিদের। একটু সময় নিয়ে আঙুল তুলে দেন অ্যাড্রিয়ান হোল্ডস্টক। সঙ্গে সঙ্গে সাকিব রিভিউ নেন। রিপ্লেতে আল্ট্রাএজে স্পষ্ট ধরা পড়ে, সাকিবের ব্যাটে লাগার পরই বল প্যাডে লাগে। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে টিভি আম্পায়ার জিম্বাবুয়ের ল্যাংটন রুজেরে সাকিবকে আউট ঘোষণা করেন।
আম্পায়ারদের বিতর্ক সিদ্ধান্ত থেকে পরিত্রাণ পেতে প্রযুক্তির ব্যবহারে আইসিসিকে আরো সতর্ক হতে হবে। আরো আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে মানেনিবেশ করতে হবে। কারণ আম্পায়ারের ভুলে একটি দলের স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায়। আইসিসির এলিট প্যানেলে আগে যারা ম্যাচ পরিচালনা করেছেন তারা বেশ দক্ষ ছিলেন। এখন যারা এসেছেন তারা অধিকাংশই নতুন। অভিজ্ঞতায় ঘাটতি রয়েছে। দু’একবছর পর এরা ও অভিজ্ঞ হয়ে উঠবেন।
ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে টাইগাররা বাজে আম্পায়ারিংয়ের শিকার না হলে ম্যাচের ফলাফল অন্য রকম হতে পারত।
এশিয়া কাপে বাংলাদেশের মুকুল ও সোহেল দারুণ আম্পায়ারিং করে সবার প্রসংশা কুড়িয়েছেন। পাকিস্তান- ভারত হাইভোল্টেজ ম্যাচে মুকুল কোনো ভুল করেননি। বিগ ম্যাচে চমৎকার আম্পায়ারিং করেছেন। আশা করছি আমাদের এ দুই আম্পায়ার সহসাই আইসিসির এলিট আম্পায়ার প্যানেলে জায়গা করে নিতে পারবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়