স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী : আতঙ্কিত হওয়ার মতো অবস্থায় নেই বাংলাদেশ

আগের সংবাদ

সরকারি ওষুধ সিন্ডিকেটের পেটে : রোগীর ভাগ্যে জোটে যৎসামান্য, বিনামূল্যে মিলে কোন ওষুধ জানেন না রোগী, তিন স্তরে পাচার হয়

পরের সংবাদ

‘নতুন শিল্পীরা অনেক মেধাবী’

প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঢাকাই ছবির প্রিয়দর্শিনী নায়িকা মৌসুমী। প্রায় দুই যুগ ধরে নিজের অভিনয় দক্ষতা দিয়ে ধরে রেখেছেন জনপ্রিয়তা। গতকাল একই দিনে এই অভিনেত্রী অভিনীত দুই সিনেমা প্রেক্ষাগৃহে এসেছে। মির্জা সাখাওয়াত হোসেনের ‘ভাঙন’, অন্যটি কবি নির্মলেন্দু গুণের উপন্যাস অবলম্বনে ‘দেশান্তর’। সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন আশুতোষ সুজন। এ নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেন নেমিয়ান লিও

একই দিনে আপনার দুটি সিনেমা এসেছে, কেমন লাগছে?
অনেক দিন পর সিনেমা হলে আমার অভিনীত ছবি মুক্তি পাচ্ছে। তাও দুটি ছবি। এটা আসলেই আমার জন্য একটি বড় সুখবর। আর এ দুটো সিনেমাই সরকারি অনুদানে নির্মিত। আমার ধারণা আমার যারা ভক্ত রয়েছেন, তারা হলে গিয়ে আমার সিনেমা দেখবেন। দর্শকের কাছে ছবি দুটি ভালো লাগবে বলে আশা করছি।

সিনেমার গল্প দুটি কেমন?
‘ভাঙন’ সিনেমার গল্পে দেখা যাবে একটি রেলস্টেশনে জড়ো হওয়া কিছু প্রান্তিক ও ছিন্নমূল মানুষকে। এখানে আছে হকার, যৌনকর্মী, পকেটমার, বংশীবাদকসহ নানা ধরনের মানুষ। তাদের জীবনযাত্রা, বেঁচে থাকা, প্রত্যাশার গল্প নিয়েই সিনেমাটি। এর কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছি। আরো অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, প্রাণ রায়, রাশেদা চৌধুরী প্রমুখ। অন্যদিকে দেশভাগের ওপর লেখা ‘দেশান্তর’ উপন্যাসের প্রধান নারী চরিত্রের নাম অন্নপূর্ণা। এই চরিত্রে অভিনয় করেছি আমি। আমার বিপরীতে রয়েছেন আহমেদ রুবেল। আরো অভিনয় করেছেন মামুনুর রশীদ, শুভাশিস ভৌমিক, মোমেনা চৌধুরী, ইয়াশ রোহান ও টাপুর।

একই দিনে দুই সিনেমা, বিষয়টি কেমন কাকতালীয় হয়ে গেল, নাকি পরিকল্পিত?
আসলে দুটি সিনেমা দুই ভাবে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। ‘ভাঙন’ মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল ৪ নভেম্বর। আর ১১ নভেম্বর মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল ‘দেশান্তর’। কিন্তু এখন একসঙ্গে মুক্তি পেল দুটি। ভাঙনকে যেহেতু প্রথমে মুক্তি দেয়ার অনুমতি দেয়নি, তাই একসঙ্গে কাকতালীয়ভাবেই হয়ে গেছে বলা চলে।

শুটিং অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
পরিচিত মুখ নিয়ে কাজ করতে পারলে পরিচালকের ভালো লাগে। একজন অভিজ্ঞ মানুষ যেভাবে পরিচালককে হেল্প করতে পারেন। নতুনরা অনেক সময় সেভাবে পারে না। পরিচিত মুখ থাকলে ছবিটা প্রদর্শনের ক্ষেত্রেও সুবিধা হয়। তবে পরিচিতজনদের নিয়ে রাস্তায় শুটিং করা টাফ হয়। আমরা বেশিরভাগ জায়গায় শুটিং করতে গিয়ে শুটিং করতেই পারিনি। ডিরেক্টর লস দিয়েছে। অনেক জায়গায় শুটিং করতে গিয়ে আমরা কন্ট্রোল করতে পারিনি। অনেক ক্ষেত্রে ট্রেনেরও আসতে লেট হয়েছে।

এখন তো সিনেমায় অনেক নতুন মুখ এসেছে। তাদের অভিনয় নিয়ে আপনি কী বলবেন?
আমাদের নতুন শিল্পী যারা আসছেন, তারা অনেক মেধাবী। তারা অনেক ভালো কাজ করছে। আপনাদের দেখার দৃষ্টিভঙ্গি বদলান, তাহলে দেখবেন তারা অনেক ভালো করতে পারবে। তাদের উৎসাহ দিতে হবে। নতুনদের আপনারা যদি শুধু স্ক্যান্ডেল করেন, তাহলে তারা আগাতে পারবে না। আপনাদের তাদের উৎসাহ দিতে অনেক প্রটেক্টিভ হতে হবে। আমরা যখন কাজ করেছি, তখন আমাদের সাংবাদিক ভাইরাই অনেক বেশি প্রটেক্ট করেছেন। আমরা কি ভুল করিনি? আমরা অনেক ভুল-ভ্রান্তি করেছি। আমাদেরও অনেক ভুল হয়েছে। তবে ভুলকে শুধরে নেয়া, সুন্দরভাবে প্রেজেন্ট করা, কাউন্সিলিংয়ের মধ্য দিয়ে দাঁড় করিয়ে দেয়া। এই জিনিসটা কিন্তু সাংবাদিক ভাইয়েরাই করবে।

আপনার ভক্তদের উদ্দেশে কী বলবেন?
ভাঙন নিয়ে দর্শকের অনেক আগ্রহ ছিল। বিশেষ করে ওই প্ল্যাটফর্মে যারা কাজ করেন, তাদের বেশি আগ্রহ ছিল। যেহেতু তাদেরই জীবনের গল্প, সেহেতু তারা অনেক আপন ভাবছিল আমাদের। আমরাও তাদের আপন করে নিতে পারছিলাম। তাছাড়া শাখাওয়াত ভাই অসুস্থ ছিলেন, তারপরও তিনি সেট ডিজাইন থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রে সর্বোচ্চটুকু দিয়ে চেষ্টা করেছেন। আমি মনে করি দুটি সিনেমাই অনেক সুন্দর হয়েছে। সবার কাছে ভালোই লাগবে।

আগে অনেক পুরস্কার পেয়েছেন। এবার নতুনভাবে দর্শক আপনাকে দেখবে বড় পর্দায়। এ বিষয়ে কী বলবেন?
আসলে দেখা গেছে আমি যে সিনেমাটি ভেবেছি এটার অ্যাওয়ার্ড পাওয়া উচিত, সে ছবিটা আমার কিছুই হয়নি। আবার যে ছবিটিতে ভাবিনি কখনো, সেই ছবিটিতেই হয়তো অ্যাওয়ার্ড পেয়ে গেছি। দর্শকের স্বীকৃতি পেয়েছি। আসলে বলা মুশকিল। সিনেমা হলে গেলে আসল বিষয়টা বুঝা যায়। তাই আগে দর্শক সিনেমা দেখুক, তারপর এই বিষয়ে কথা বলতে পারব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়