স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী : আতঙ্কিত হওয়ার মতো অবস্থায় নেই বাংলাদেশ

আগের সংবাদ

সরকারি ওষুধ সিন্ডিকেটের পেটে : রোগীর ভাগ্যে জোটে যৎসামান্য, বিনামূল্যে মিলে কোন ওষুধ জানেন না রোগী, তিন স্তরে পাচার হয়

পরের সংবাদ

দৃষ্টি এখন বালিতে : মুখোমুখি হচ্ছেন শি-জো বাইডেন

প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি-২০ সম্মেলনে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের মুখোমুখি হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বাইডেন প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে এবিসি নিউজ। রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথমবার মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন এই দুই নেতা।
এবিসি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৪ থেকে ১৬ নভেম্বর ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে জি-২০ সম্মেলন। যেখানে বাইডেন ও শি উভয়ই যোগ দেবেন বলে নিশ্চিত করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনে আশাতীত ভালো ফল করে উজ্জীবিত জো বাইডেন এক সপ্তাহের জন্য জলবায়ু সম্মেলন, আসিয়ান সম্মেলন ও জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে মিসর ও এশিয়া সফর শুরু করেছেন। এ সফরে পররাষ্ট্রনীতির বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করবেন তিনি। এশিয়া সফর শুরুর আগে জো বাইডেন জানান, তার লক্ষ্য হচ্ছে শি জিন পিংয়ের অগ্রাধিকার ও উদ্বেগের বিষয়গুলো গভীরভাবে বোঝা। ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি-২০ সম্মেলনের এক ফাঁকে তারা একান্তে কথা বলবেন। শি জিন পিংকে তিনি প্রত্যেকের ‘রেড লাইন’ কত দূর, তা জানিয়ে দেবেন। যুক্তরাষ্ট্র ও চীন যাতে পরস্পরের সঙ্গে সংঘর্ষে না জড়ায়, সে জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের স্বার্থের বিষয়গুলো নিয়ে তারা কথা বলবেন বলে জানান বাইডেন।
২০২১ সালের জানুয়ারিতে বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে বেইজিং ও ওয়াশিংটন দুই দেশের প্রেসিডেন্টের সরাসরি সাক্ষাতের চেষ্টা করে যাচ্ছে। এর আগে দুই নেতা একাধিকবার ফোনে কথা বলেছেন ও ভার্চ্যুয়ালি বৈঠক করেছেন। এর মধ্যেই দুই নেতাকে তাদের দেশের দুটি বড় রাজনৈতিক ঘটনার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। চীনের পার্টি কংগ্রেসে শি জিন পিং আবার সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনে জো বাইডেনের ডেমোক্রেটিক পার্টি অপ্রত্যাশিতভাবে ভালো করেছে।
বাইডেনের পক্ষ থেকে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আন্তর্জাতিক নিয়ম চালু রাখার বিষয়ে তাদের প্রতিশ্রæতি পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে। এ অঞ্চলে বাণিজ্য ও বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চীনের সম্পর্কের বিষয়টি নিয়েও তিনি কথা বলবেন। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের নি¤œ কক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি হয়।
এদিকে জি-২০ সম্মেলনে সরাসরি যোগ দিচ্ছেন না পুতিন। ইন্দোনেশিয়ার এক সরকারি কর্মকর্তা জানান, এবারের জি-২০ সম্মেলনে সশরীরে আসছেন না পুতিন। তবে তিনি ভার্চ্যুয়ালি থাকবেন। ইন্দোনেশিয়ার পক্ষ থেকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তিনি জানান, পুতিন গেলে তিনি যাবেন না। তিনিও ভার্চুয়ালি যোগ দিতে পারেন।
দুই পরাশক্তির বৈঠককে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে হিসেবে কষছেন বিশ্লেষকরা। পুরো বিশ্ব যখন একটা চরম অস্থিরতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তখন বহুল প্রতীক্ষিত বৈঠকটি হতে যাচ্ছে। বৈঠক প্রসঙ্গে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, আমি নিশ্চিত তাইওয়ান ইস্যুতে আলোচনা হবে। আমাদের রেড লাইন কোনটি সেটি নিয়েও কথা বলব। তবে তাইওয়ান প্রসঙ্গে মার্কিন মৌলিক নীতিতে কোনো ছাড় দিতে রাজি নয় বলে জানান বাইডেন। করোনা মহামারির কারণে শি জিন পিং স্বাস্থ্যবিধি মেনে দীর্ঘদিন চীনেই অবস্থান করেন। তবে সম্প্রতি বিদেশে ভ্রমণ করছেন তিনি।
তাইওয়ান ইস্যুতে চলতি বছর যুক্তরাষ্টের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক আরো তলানিতে ঠেকেছে। বেইজিংয়ের হুমকি উপেক্ষা করেই তাইপেকে অস্ত্র সহায়তা দেয়ার ঘোষণাও দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। এমনকি দ্বীপটিতে মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের আসা- যাওয়াও চোখে পড়ার মতো। এ বিষয়টিকে ভালোভাবে নিচ্ছে না চীন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়