স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী : আতঙ্কিত হওয়ার মতো অবস্থায় নেই বাংলাদেশ

আগের সংবাদ

সরকারি ওষুধ সিন্ডিকেটের পেটে : রোগীর ভাগ্যে জোটে যৎসামান্য, বিনামূল্যে মিলে কোন ওষুধ জানেন না রোগী, তিন স্তরে পাচার হয়

পরের সংবাদ

জন্মনিবন্ধনের ভুল সংশোধনে ভোগান্তিতে নবাবগঞ্জবাসী

প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : নবাবগঞ্জে জন্মনিবন্ধনের ভুল সংশোধনে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ নাগরিকরা। ভোগান্তির শিকার একজন বলেন, আমরা সাধারণ মানুষের এখানে কিছু করণীয় নেই। এখানে উপরের যারা আছেন তারা হয়তো একটি প্রক্রিয়া বের করে আনলে মানুষের সুবিধা হবে। আমার ভাতিজাকে ভুল জন্ম তারিখের জন্মনিবন্ধন দিয়েই স্কুলে ভর্তি করাতে হয়েছে।
জন্মনিবন্ধন সংক্রান্ত এমন সমস্যা এখন প্রতিটি পর্যায়ে। ডিজিটাল জন্মনিবন্ধন এখন অনেকের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নানান জটিলতার কারণে বিভিন্ন পর্যায়ে ঘুরেও সমাধান মিলছে না অনেকের। ভুক্তভোগীরা বলছেন, জন্মনিবন্ধনের মতো প্রয়োজনীয় একটি বিষয়ে এত জটিলতা রাখা বাস্তব সম্মত নয়। সাধারণ মানুষের জন্য সহজ পদ্ধতি হলে এ ধরনের ভোগান্তি হতো না বলে মনে করছেন তারা।
ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০০১ সালের পর যাদের জন্ম, তাদের জন্মনিবন্ধনের জন্য বাবা-মায়ের জন্মসনদ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রে ডিজিটাল জন্মনিবন্ধন বাধ্যতামূলক করায় সন্তানের জন্মসনদ নিতে গিয়েও ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে অভিভাবকদের। একই সঙ্গে কারো মৃত্যুসনদ নিতে হলেও প্রয়োজন হচ্ছে ডিজিটাল জন্মসনদের। সব মিলিয়ে চরম জটিলতায় পড়ছেন সেবাগ্রহীতারা। উপজেলা নির্বাচন অফিস ঘুরে দেখা যায়, সেখানে ভুক্তভোগীরা তাদের নানান অভিযোগের কথা বলেছেন। ইউনিয়ন বা ওয়ার্ড পর্যায়ে জন্মনিবন্ধনে ব্যর্থ হলে অনেকেই শরণাপন্ন হন উপজেলা নির্বাচন অফিসের। তবে সেখানে নানা কারণে সঠিক সেবা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ অনেকের।
নিবন্ধন সংক্রান্ত জটিলতা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. আতাউল হক বলেন, যে জন্মনিবন্ধন যেখানে করেছে সংশোধন যদি করতে হয়, সেখানে আবেদন করে। সেখানে সমস্যা হলে পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে সংশোধনী হয়। এটা অনলাইনে এখানে করতে হবে, তারপর পাঠাতে হবে। যেহেতু ভুল হয়েছে সংশোধনের প্রক্রিয়া তো এভাবেই হবে। তিনি বলেন, জন্মনিবন্ধন নতুন করে করতে চাইলে তার বাসস্থান যেখানে হোক, উনি যেখানে বসবাস করছেন সে এলাকায় নিবন্ধনের আবেদন করতে পারেন, সমস্যা নেই। নিজেদের সীমাবদ্ধতা নিয়ে তিনি বলেন, এখন সব চাপ একসঙ্গে। এক লাখ মানুষ যদি আমাদের সফটওয়্যারে ঢোকে তাহলে বোঝেন আমাদের চাপ কেমন আছে। আর সংশোধনের ক্ষেত্রেও এখন আমাদের প্রতিটি জায়গায় প্রতিদিন ২ থেকে ৩ হাজার আবেদন আসছে। কিন্তু সারাদিন মনোযোগ দিয়ে করলেও ৩শ’র বেশি করা যায় না। আমাদের অন্য কাজও আছে, পাসওয়ার্ড অন্য কাউকে শেয়ার করেও করা সম্ভব না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়