স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী : আতঙ্কিত হওয়ার মতো অবস্থায় নেই বাংলাদেশ

আগের সংবাদ

সরকারি ওষুধ সিন্ডিকেটের পেটে : রোগীর ভাগ্যে জোটে যৎসামান্য, বিনামূল্যে মিলে কোন ওষুধ জানেন না রোগী, তিন স্তরে পাচার হয়

পরের সংবাদ

চট্টগ্রামে ৩টি বন্যপ্রাণীসহ পাচারকারী গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রামের পার্বত্য এলাকা থেকে বিপন্ন ও বিলুপ্ত প্রজাতির বন্যপ্রাণী ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করে দিচ্ছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। কক্সবাজারের পাহাড়ি জঙ্গল থেকে বন্যপ্রাণী ধরে পাচারের জন্য ঢাকায় নেয়ার সময় গত বৃহস্পতিবার রাতে হানিফ পরিবহনের একটি বাস তল্লাশি করে এরশাদ (৩৫) নামে এক যাত্রীকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেছে লোহাগাড়া থানা পুলিশ। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি রেঞ্জ বন কর্মকর্তা কার্যালয়ের সামনে এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় বিপন্ন প্রজাতির একটি সজারু ও ২টি লজ্জাবতী বানর উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত এরশাদ পাচারকারী চক্রের সদস্য, তিনি কুমিল্লা জেলার মুরাদপুর থানাধীন আকবপুর ইউনিয়নের করইবাড়ি দক্ষিণপাড়া গ্রামের নোয়াব মিয়ার ছেলে।
লোহাগাড়া থানার ওসি মো. আতিকুর রহমান বলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি রেঞ্জ বন কর্মকর্তা কার্যালয়ের সামনে হানিফ পরিবহনের একটি বাস থেকে বিপন্ন প্রজাতির একটি সজারু, দুইটি লজ্জাপতি বানরসহ এক পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অবৈধভাবে বন্যপ্রাণী শিকার ও পাচার করার দায়ে আটক পাচারকারীর বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। উদ্ধারকরা বন্যপ্রাণিগুলো নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পাঠাতে চুনতি রেঞ্জ বন রেঞ্জ কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত সজারু ও লজ্জাবতী বানর চট্টগ্রামে বন বিভাগের চুনতি রেঞ্জ বন কর্মকর্তা মাহমুদ হোসাইনের মাধ্যমে আবারো জঙ্গলে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছি, বান্দরবানের আলীকদম থেকে সজারু ও লজ্জাবতী বানর দুটি ধরা হয়েছে। সেগুলো বান্দরবান থেকে কয়েক ধাপে হাতবদল হয়ে কক্সবাজারে পৌঁছে। পাচারকারী সিন্ডিকেটের সদস্য এরশাদের দায়িত্ব ছিল সেগুলো চট্টগ্রাম শহরে পৌঁছে দেয়া। সেখানে আবারো হাতবদল হয়ে পৌঁছানোর কথা ছিল ঢাকায়। কিন্তু আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বন্যপ্রাণীগুলো উদ্ধার করে পাচারের হাত থেকে রক্ষা করেছি। এর আগেও আমরা তিন দফা পাচারের সময় বিভিন্ন বন্যপ্রাণী উদ্ধার করেছি। বনের প্রাণী বনেই থাকবে। বন্যপ্রাণী শিকার ও পাচার আইনে নিষিদ্ধ। পাচারকারী সিন্ডিকেটে আরো কারা আছে, আমরা তাদের বিষয়ে তদন্ত করছি।
বন্যপ্রাণী গবেষকদের দেয়া তথ্যমতে, বাংলাদেশে লজ্জাবতী বানর ‘বিলুপ্তপ্রায়’ বন্যপ্রাণী হিসেবে চিহ্নিত। এছাড়া আইইউসিএন এর লাল তালিকায় সংকটাপন্ন হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এই প্রাণীটিকে। বাংলাদেশে পাহাড়ি চিরসবুজ বনে কিছু লজ্জাবতী বানরের দেখা মেলে। অনেক সময় লোকালয়ে গাছের উঁচু শাখায়ও এদের দেখা মেলে। সজারু বাংলাদেশে এখন ‘বিপন্নপ্রায়’ বন্যপ্রাণী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত। ইঁদুর গোত্রের কাঁটাযুক্ত এই প্রাণী আগে দেশের গ্রামাঞ্চলে এবং বনজঙ্গলে দেখা গেলেও এখন শুধু চিরসবুজ পাহাড়ি বন ও সুন্দরবনে কিছু টিকে আছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়