স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী : আতঙ্কিত হওয়ার মতো অবস্থায় নেই বাংলাদেশ

আগের সংবাদ

সরকারি ওষুধ সিন্ডিকেটের পেটে : রোগীর ভাগ্যে জোটে যৎসামান্য, বিনামূল্যে মিলে কোন ওষুধ জানেন না রোগী, তিন স্তরে পাচার হয়

পরের সংবাদ

গ্যালারি কায়ার আয়োজন : মানবিক পৃথিবীর অন্বেষণে নগরবাসী বর্মণ

প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশের চিত্রকলায় নিজের স্বতন্ত্র ধারা নিয়ে হাজির হয়েছেন নগরবাসী বর্মণ। শিল্পী কিছুটা আত্মগতের মতোই ক্যানভাসে নিজেকে মেলে ধরেন। ক্যানভাস হয়ে ওঠে স্মৃতিময় আখ্যান। তিনি হয়ে ওঠেন শিল্প সৃষ্টির পথের পথিক। তার ক্যানভাসে উঠে আসে, নৌকা, মাছ, তেলের কুপি। যা নানা জ্যামিতিক ফর্মে, রঙের উজ্জ্বলতায়, আলো-ছায়ার দোলা দিয়ে যায়। আর সেই সঙ্গে মানুষের সংগ্রাম, বেদনা ও উৎসবের আখ্যান তুলে ধরে। এর মধ্য দিয়ে তিনি মানবিক এক পৃথিবীর অন্বেষণ করে চলেছেন পৃথিবীকে বাসযোগ্য করার লক্ষ্যে। নইলে যে ভবিষ্যৎ পৃথিবী বাসযোগ্যতা হারাবে। প্রদর্শিত চিত্রকলায় যেন সে কথাই উচ্চারিত হলো।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় উত্তরার গ্যালারি কায়ায় শিল্পী নগরবাসী বর্মণের তৃতীয় একক চিত্র প্রদর্শনীটি প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন করেন আন্তর্জাতিক বিজ্ঞাপনী সংস্থা গ্রে অ্যাডভার্টাইজিং লি. এর বাংলাদেশ প্রধান গাউসুল আলম শাওন। বিশেষ অতিথি ছিলেন- অভিনয়শিল্পী ও এফবিসিসিআই এর পরিচালক শমী কায়সার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন গ্যালারি কায়ার পরিচালক শিল্পী গৌতম চক্রবর্তী। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন শিল্পী নগরবাসী বর্মণ।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি গাউসুল আলম শাওন বলেন, চিত্রকলা, বইপড়া আমাদের কল্পনার জগতকে বড় করে। শিল্পচর্চার মধ্য দিয়েই আমরা যান্ত্রিক জীবন থেকে বেরিয়ে আসতে পারি। প্রদর্শনী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নগরবাসী তার কাজে এমন জগতের কথা বলেন, যা সাধারণ চোখে দেখা মেলে না। তিনি ছবিতে সহজ জীবনের কথা বলেন।
শমী কায়সার বলেন, ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য আমাদের সাংস্কৃতিক পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। নিজের জীবনের স্মৃতিচারণ করে তিনি আরো বলেন, নিজেকে দিয়ে জানি রঙতুলি আর সংগীত নিয়ে বড় হতে পারলে মানুষ সংস্কৃতিমনস্ক হয়ে ওঠে। আমি ছোটবেলায় অনেক শিল্পী-সাহিত্যিকের সান্নিধ্য পেয়েছি যা আমাকে পরবর্তী জীবনে নানাভাবে সমৃদ্ধ করেছে। গৌতম চক্রবর্তী

বলেন, ছাপচিত্রে নগরবাসী বর্মণ একাগ্র শিল্পী হিসেবে খ্যাতি পেয়েছেন। স্মৃতির বিস্তার তার শিল্প সৃষ্টির মূল প্রেরণা। মৎস্যজীবী একটা আবহ থেকে সেই মানুষগুলোর সংগ্রাম, বেদনা, আনন্দ আর উৎসবই তার পটজুড়ে।
শিল্পী নগরবাসী বর্মণ বলেন, মানুষের আনন্দ-বেদনার কথাই আমি বলতে চাই। মানুষ সাধারণভাবে বাঁচতে চায়। কিন্তু সেটাও সবাই পারে না। ঘরে খাবার থাকে না। বেঁচে থাকার সামান্য উপকরণগুলো থাকে না। সেই না থাকা জীবনের মাঝেও মানুষ আনন্দ খুঁজে নিতে চায়। ক্যানভাসে সেসব কথাই বলতে চাই।
প্রদর্শনীতে ৫০টি শিল্পকর্ম স্থান পেয়েছে। এর মধ্যে ছাপচিত্র, ড্রয়িং, জলরঙ, অ্যক্রেলিক, চারকোল, এচিং, উডকাট, লিনোকাট উল্লেখযোগ্য। প্রদর্শনী চলবে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত প্রদর্শনীর দরজা খোলা থাকবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়