স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী : আতঙ্কিত হওয়ার মতো অবস্থায় নেই বাংলাদেশ

আগের সংবাদ

সরকারি ওষুধ সিন্ডিকেটের পেটে : রোগীর ভাগ্যে জোটে যৎসামান্য, বিনামূল্যে মিলে কোন ওষুধ জানেন না রোগী, তিন স্তরে পাচার হয়

পরের সংবাদ

কংগ্রেসের রিমোট কন্ট্রোল কার হাতে?

প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মল্লিকার্জুন খড়গে সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সভাপতি হলেন। গান্ধী পরিবারের বাইরে এর আগেও একাধিকবার এমনটা হয়েছে। তবে গান্ধী পরিবারের নিয়ন্ত্রণমুক্ত হতে পারেনি কখনো এই শতাব্দীপ্রাচীন দলটি। অলক্ষে ধীরে ধীরে ভারতের রাজনীতিতে কংগ্রেসের অবস্থান সেই এক জায়গায়ই থেকে গিয়েছে। গান্ধী পরিবারের হাতেই কংগ্রেসের রিমোট কন্ট্রোল। যদি এমনটাই না হবে, তবে সেই কবেই পট্টভি সীরামাইয়ার পরিবর্তে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর মতো ব্যক্তিত্ব কংগ্রেসের নেতৃত্বে আসতেন। সে তো ১৯৩৯ সালের কথা। আজ ২০২২ সালের দৃশ্যপট। কিন্তু আজো কংগ্রেস নেতারা মানসিকভাবে গান্ধী পরিবারের কর্তৃত্ব ছাড়া দিশেহারা। তারা মনে করেন, কংগ্রেসে গান্ধী পরিবার হলো দলে মস্ত বড় সিমেন্টিং ফ্যাক্টর।
সবার অলক্ষে ভারতের রাজনীতি ধীরে ধীরে হয়ে উঠেছে একমুখী এবং বৈচিত্র্যহীন। এখন তারা আর কোনো কৃষক নেতাকে পায় না, শ্রমিক নেতাকে পায় না। তাদের আর সিনিয়রদের পাশাপাশি জুনিয়রদের পৃথকভাবে ঔজ্জ্বল্য চোখে পড়ে না। গুরুত্বপূর্ণ কোনো ছাত্র কিংবা যুবনেতার নাম আলাদা করে চর্চায় নেই সে দেশে। এখন আর দীর্ঘদিন ধরে ছাত্র আন্দোলন, শ্রমিক আন্দোলন, কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত এবং গ্রামে-গঞ্জে ঘুরে বেড়ানো নেতা-নেত্রীর বড় বেশি একটা দেখা যায় না। যে ভারত ছিল একসময় শ্রমিক ও কৃষক আন্দোলনের ভরকেন্দ্র, তা আজ প্রায় অন্তর্হিত। তাদের সেই বৈচিত্র্যমুখী রাজনীতির চিত্র এখন আর নেই। তাই সেখানে আর সারের দামবৃদ্ধি, ন্যূনতম সহায়কমূল্য অথবা সরকারের খাদ্যশস্য সংগ্রহের নীতিমালা ইত্যাদি নিয়ে কৃষক কিংবা শ্রমিকবিরোধী ইস্যুতে তীব্র সরকারবিরোধী আন্দোলন বা বিক্ষোভ দেখা যায় না। তাদের রাজনীতি অনেকটাই এখন কেন্দ্রভিত্তিক এবং শহরে সীমাবদ্ধ। বর্তমান ভারতীয় রাজনীতিতে শাসক ও বিরোধী নেতা-নেত্রী হতে গেলে অন্তত নিউক্লিয়াস চরিত্র প্রয়োজন। উজ্জ্বল ও প্রবল প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব ছাড়া কোনো দলেরই দীর্ঘমেয়াদি সাফল্য ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। প্রবল উজ্জ্বল ও প্রভাবশালী নেতা-নেত্রীর মুখ না থাকলে অথবা তার গ্রহণযোগ্যতা কম হয়ে গেলে একদা দাপটে দল ক্রমেই দুর্বল হয়ে যায়। এমন রাহুগ্রাসেই পড়েছে ভারতের জাতীয় কংগ্রেস। একই রাস্তায় দেখি শিবসেনা, কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া, বহুজন সমাজ পার্টি ও এআইডিএমকে দলকেও। বর্তমান রাজনৈতিক যুগটাই যেন পাল্টে গেছে। এখানে থাকতে হবে গণসংগঠনের মাধ্যমে মাটির সঙ্গে মিশে গিয়ে ঘরে ঘরে সংযোগ স্থাপনের কালেকটিভ লিডারশিপ অথবা প্রবল দাপুটে একজন প্রধান সেনাপতি হয়ে। এ দুটো ছাড়া যে রাজনীতি গুরুত্বহীন- কংগ্রেসের ঘুমিয়ে পড়া অবস্থান থেকেই তা টের পাওয়া যায়।
যুদ্ধের ফলাফল আগেই জানা ছিল। হারলেন শশী তারুর। প্রার্থী নেই গান্ধী পরিবারের। জিতলেন মল্লিকার্জুন খড়গে। সাতগুণ বেশি ভোট পেয়ে কংগ্রেসের সভাপতি হলেন সেই খড়গে। যিনি জানিয়েই রেখেছিলেন, সভাপতি হলে ‘পরিবার’-এর পরামর্শ নিতে তিনি ইতস্তত করবেন না। অর্থাৎ কংগ্রেস যেখানে থাকার কথা, সেখানেই থাকল। সভাপতির পদে যিনিই থাকুন, পার্টি চলবে পরিবারের ইচ্ছেতেই। কয়েক বছরের মধ্যে যদি খড়গেকে রাহুল বা প্রিয়াংকার জন্য ২৪ আকবর রোডের সিংহাসন খালি করে দিতে হয়- তাতে আশ্চর্য হওয়ার কারণ থাকবে না। সবাই জানত, সভাপতির আসনে হয় রাহুল বা প্রিয়াংকা আসবেন অথবা খড়গের মতোই অন্য কেউ। প্রায় সব রাজ্যের নবগঠিত প্রদেশ কাউন্সিল সর্বসম্মতভাবে প্রস্তাব পাস করেছিল, তারা সভাপতির পদে রাহুল গান্ধীকেই চায়। মূলত রাহুল গান্ধীর অনড় মনোভাবের জন্য ২৪ বছর পর দলটিকে আবার একজন অ-গান্ধীকে সভাপতির পদে নির্বাচিত করতে হয়েছে। সেখানেই প্রশ্ন- একদিকে গত ১০ বছর রাহুল গান্ধীর ব্যর্থতা, যাকে কাজে লাগিয়েছে নরেন্দ্র মোদির বিজেপি। রাহুল গান্ধী সেই আক্রমণ সামলাতে পারেননি, দলও নয়। সোনিয়া গান্ধী ইতোমধ্যে বয়সের ভারে অনেকটাই পিছপা। ২০০৪-এ প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর আত্মত্যাগের জৌলুসও সময়ের দৌড়ে ফিকে হয়ে এসেছে। কিন্তু তার পরও কংগ্রেসের নেতারা নেতৃত্বে অক্ষম সোনিয়া-রাহুল-প্রিয়াংকাকে ঝেরে ফেলে নতুন করে সংগঠন তৈরি করতে সক্ষম হননি এখনো। কিন্তু কেন পারছে না কংগ্রেস নেতারা? এ প্রশ্নের আংশিক উত্তর রয়েছে ইতিহাসে। সদা সন্ত্রস্ত ইন্দিরা গান্ধী এবং ক্ষমতামত্ত সঞ্জয় গান্ধী দলে তাদের নিজ নিজ প্রভাবের আনুগত্যকে প্রশ্নাতীত করে তুলতে সক্ষম হয়েছিলেন। কংগ্রেসে একটি গোষ্ঠীদ্ব›েদ্বর ধারাবাহিক সংস্কৃতি বজায় আছে টানা ৫০ বছর ধরেই। আর সেই গোষ্ঠীদ্ব›েদ্বর থার্ড আম্পায়ারের ভূমিকায় নেহরু-গান্ধী পরিবার স্থায়ীভাবেই বসে আছে। তাই আজ সবকিছুর পরও তাদের ওপরই ভরসা সবার।
রাজনৈতিক উচ্চাকাক্সক্ষা আছে- কংগ্রেসের এমন নেতারা একের পর এক দল ছেড়েছেন। ১৯২৩ থেকে ১৯৭৭ পর্যন্ত প্রায় ২০ বার ভেঙেছে কংগ্রেস। তাদের মধ্যে যেমন আছেন শরদ পওয়ার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, জগন রেড্ডির মতো নেতারাও। তবে মমতা আর জগন রেড্ডিই শেষ নেতা, যারা কংগ্রেস ভেঙে সফলভাবে নিজের দল চালাতে পারছেন। ইতোমধ্যে বিভিন্ন রাজ্যের অনেক কংগ্রেস বিধায়করা সরাসরি যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। জোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, সুনীল জাখর, আরপিএন সিংহর মতো ভারি ওজনের নেতারাও আছেন। অনুমান করা হচ্ছে, গুলাম নবী আজাদও সহসাই সে পথে হাঁটবেন। কংগ্রেসের বর্তমান অবস্থান মনে করিয়ে দেয় যে, সেখানে এমন কোনো নেতা নেই- যার নিজের জোরে দল চালানোর সাধ্য আছে। ২০২০ সালে ২৩ জন বিক্ষুব্ধ নেতা পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছিলেন। কিন্তু তাতেও কোনো লাভ হয়নি। কংগ্রেস অনেক আগে থেকেই পরিবারতন্ত্রের একটা চক্রব্যুহে ঢুকে বসে আছে। সেখান থেকে বেরোনোর রাস্তা কারো জানা নেই। ভারতে বিজেপিবিরোধী প্রকৃত ধর্মনিরপেক্ষ, উদার বহুত্ববাদী পরিসরে কংগ্রেসের এখনো কোনো বিকল্প নেই। এখনো প্রতি পাঁচজন ভারতীয়ের মধ্যে একজন কংগ্রেসকেই ভোট দিচ্ছেন। এ সংখ্যা ইতোমধ্যে আরো অনেক বেড়ে যেতে পারত, যদি কংগ্রেসের নেতৃত্বে রাহুল গান্ধী ব্যর্থ না হতেন। রাহুলের ব্যর্থতা কংগ্রেসকে অনেকটাই পিছিয়ে দিয়েছে। শক্তিশালী বিজেপি আর নরেন্দ্র মোদির কারিশমায় কংগ্রেস আরো যেন অনেকটাই মুখ থুবড়ে পড়েছে। কংগ্রেসের অভ্যন্তরে গণতন্ত্রের রূপ নিয়ে এবার একটি ¯পষ্ট ধারণা পাওয়া গেল। কংগ্রেসের সংবিধান বলছে, প্রথমে দলের তৃণমূল স্তরে নির্বাচন করে ব্লক কংগ্রেস প্রতিনিধি নির্বাচিত হবে। দেশে নয় হাজারেরও বেশি ব্লক কংগ্রেস কমিটি রয়েছে। এই ব্লক কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা ভোট দিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির প্রতিনিধি ঠিক করবেন। এ প্রতিনিধিরাই কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে ভোট দেবেন, যাদের সংখ্যা প্রায় ৯ হাজার ৮০০ জন। কার্যক্ষেত্রে হয়েছে উল্টোটা। কোনো ব্লকেই নির্বাচন হয়নি। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির কার্যালয় থেকেই ব্লক কমিটির প্রতিনিধিদের বাছাই করা হয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিরাই মল্লিকার্জুন খড়গেকে সমর্থন করে বুঝিয়ে দিয়েছেন, কাকে ভোট দিতে হবে। ১৯৯৮ সালে ঠিক এমন কায়দায়ই সোনিয়া গান্ধী সীতারাম কেশরীকে হটিয়ে কংগ্রেসের শীর্ষপদে বসেছিলেন। ২০০০ সালেও এমন একটি নির্বাচনে সোনিয়া গান্ধীই সভাপতি নির্বাচিত হন। হারিয়ে দেন জিতেন্দ্র প্রসাদকে। এবার ২২ বছর পর কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে আবার ভোটাভুটি হলো। কিন্তু কৌশলটা ঠিক একই থাকল। গত ২২ বছরে বিজেপিতে ৯ জন সভাপতি এসেছেন। কোনোবারই নির্বাচন হয়নি- ভোটাভুটি তো দূরের কথা! কংগ্রেস-বিজেপি ছাড়া দেশের অন্য দলগুলোরও একই অবস্থা। গণতন্ত্রের কেন্দ্রিকতার ধোঁয়া তুললেও গদি দখলের ক্ষেত্রে কয়েকজনের দৃষ্টিভঙ্গিই বড় হয়ে দেখা দেয়। জাতীয় আর আঞ্চলিক দলে প্রশ্ন একটাই- শীর্ষপদের উত্তরাধিকারী কে হবেন? পুত্র না-কি কন্যা, না-কি ভাইপো? আঞ্চলিক দলগুলোর মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শরদ পওয়ার, মুলায়ম সিং যাদব থেকে লালু প্রসাদ যাদব, করুণানিধি থেকে চন্দ্রশেখর রাও- সব দলেই এক ছবি। এসব দলে অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র যেন সোনার পাথরবাটি। তবে ১৩৭ বছরের পুরনো দল কংগ্রেস বাকিদের সামনে অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের প্রকৃত নমুনা তুলতে পারত।
মানুষ একটি রাজনৈতিক দলকে তখনই ক্ষমতায় আনে, যখন তারা দেখতে পায় ক্ষমতায় না থেকেও দলটিকে ক্ষমতাশালী মনে হচ্ছে। জনমানসে ভাবমূর্তি দুর্বল হলে কোনো দলের পক্ষেই ক্ষমতা দখল করা সম্ভব নয়। উদারপন্থি, ধর্মনিরপেক্ষ এবং কিছুটা সমাজতন্ত্রের দিকে ঝুঁকে থাকা মানুষের পছন্দের রাজনৈতিক দল কংগ্রেস। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এ দলটি তারপরও ক্রমেই নিজেদের পায়ের নিচের জমি হারিয়ে ফেলছে, যা খুঁজতে যাওয়ার বিশেষ প্রয়োজন ছিল কংগ্রেসের নেতৃত্বের। কিন্তু বিভক্ত ভারতে অনায়াসে জুড়ে ফেলতে পারেন এমন নেতা কংগ্রেসে এ মুহূর্তে নেই। এখানে প্রয়োজন ছিল জওহরলাল নেহরু কিংবা ইন্দিরা গান্ধীর মতো রাজনৈতিক কারিশমা সংবলিত নেতা- যার অভাব রাহুল, সোনিয়া বা প্রিয়াংকা গান্ধীর মধ্যে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তারপরও পরিবারতন্ত্রের বাইরে কংগ্রেস যেতে পারছে না। কংগ্রেস যে মূলগতভাবে পরিবারতান্ত্রিক, তা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। কিন্তু আজ কংগ্রেস এমন একটি রাজনৈতিক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে যে, পরিবারতন্ত্র নামক বিচ্যুতিকে আপাতত মেনে নেয়া ছাড়া তাদের আর কোনো উপায় নেই। তবে ভারতের কংগ্রেসের কাছে শিক্ষণীয় উপকরণ হতে পারে আমেরিকার বাইডেন এবং জার্মানির ওলাফ শোলৎজ। তাদের পূর্বসূরি অর্থাৎ ডোনাল্ড ট্রাম্প বা অ্যাঙ্গেলা মের্কেলের মতো ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা এদের কারো ছিল না। দুজনই জোট রাজনীতিকে আঁকড়ে ধরে নির্বাচন বৈতরণী পার হয়েছেন। এ আঙ্গিকে তাই এটুকু বলা যায়, কংগ্রেসের আশা এবং কংগ্রেসকে নিয়ে আশা তাই এখনো আছে।
২০২৪-এর নির্বাচনে বিজেপি জিতলে ভারতের ‘হিন্দুরাষ্ট্র’ হওয়া স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। আরো কী কী হতে পারে, তার একটি ইঙ্গিত পাওয়া যায় তুরস্কের এরদোয়ান এবং হাঙ্গেরির ওরবান রাজত্বের দিকে তাকালে। এরদোয়ান ক্ষমতায় আছেন ১৯ বছর ধরে, আর ওরবান ১২ বছর ধরে। এরদোয়ানের দেশে যে-ই তার সমালোচনা করেছেন, ধরে ধরে তাকেই জেলে ঢোকানো হয়েছে। ওরবানের হাঙ্গেরিতে মুসলিম শরণার্থীদের ঢোকা বন্ধ হয়ে গেছে। নামে এসব দেশে গণতন্ত্র- কার্যত চলছে স্বৈরতন্ত্র। তাই আজো হয়তো সময় শেষ হয়ে যায়নি কংগ্রেসের। একজন নেতা এগিয়ে আসবেন, অনুপ্রাণিত করবেন সামনের কোনো একদিনে- এমনটাই কামনা করছে কংগ্রেসের শুভাকাক্সক্ষীরা। যেমন করেছিলেন একদিন মহাত্মা গান্ধী তার অহিংসা, অসহযোগ ও আইন অমান্যের মতো অভিনব রাজনৈতিক ভাবনা দিয়ে। জওহরলাল নেহরু জোটনিরপেক্ষতা, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং সমাজতন্ত্রের উচ্চ ধারণার প্রতি জনগণকে প্রাণিত করেছিলেন। ইন্দিরা গান্ধী জাতিকে বড় আকারে স্বপ্ন দেখার আহ্বান জানিয়েছিলেন। সোনালি চতুর্ভূজের মতো উচ্চাভিলাষী প্রকল্পের মাধ্যমে জাতির কাছ থেকে গুরুত্ব আদায় করেছিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ী। ঠিক তেমন করে জয়প্রকাশ নারায়ণের মতো একজন নেতাকে কংগ্রেস পাবে- যিনি এ কঠিন সময়ে মৌলবাদী সাধারণ শত্রæর বিরুদ্ধে ভারতের জনগণকে একজোট করতে পারবেন।

সুধীর সাহা : কলাম লেখক।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়