স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী : আতঙ্কিত হওয়ার মতো অবস্থায় নেই বাংলাদেশ

আগের সংবাদ

সরকারি ওষুধ সিন্ডিকেটের পেটে : রোগীর ভাগ্যে জোটে যৎসামান্য, বিনামূল্যে মিলে কোন ওষুধ জানেন না রোগী, তিন স্তরে পাচার হয়

পরের সংবাদ

ইসরায়েলি-ফিলিস্তিনিরা এক সঙ্গে বিশ্বকাপ দেখতে যাবে

প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : আর মাত্র ৮ দিন পর মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে পর্দা উঠছে বিশ্বকাপ ফুটবলের ২২তম আসরের। দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ খ্যাত এ ক্রীড়াযজ্ঞকে সামনে রেখে আয়োজক দেশ কাতার ইতোমধ্যে সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছে। এ বিশ্বকাপে ইসরায়েল থেকে বিমানে সরাসরি কাতারে যাওয়া যাবে। ফিফা জানিয়েছে, সরাসরি এই ফ্লাইটে করে ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি নাগরিকেরা কাতারে গিয়ে বিশ্বকাপ ফুটবল দেখতে পারবেন।
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের সম্পর্ক উন্নয়নে এই চুক্তি সম্পন্ন করেছে বলে জানিয়েছে ফিফা। সংস্থাটির সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো বলেন,‘এই ঐতিহাসিক ঘোষণার মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের একটি ভিত তৈরি হলো। এই চুক্তির মাধ্যমে ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি নাগরিকেরা একই ফ্লাইটে কাতারে গিয়ে বিশ্বকাপ ফুটবল উপভোগ করতে পারবেন।’
তবে ইসরায়েল যদি কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে এই চুক্তি বাতিল হতে পারে বলে জানিয়েছেন কাতারি সরকারের এক কর্মকর্তা। এএফপিকে তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলিদের জানানো হয়েছে, এই সময় গাজা, জেরুজালেম ও পশ্চিম তীরে যে কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে চুক্তি বাতিল হতে পারে, যার মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট সার্ভিসও আছে।’
মধ্য এশিয়ার কোনো মুসলিম দেশ হিসেবে প্রথমবার ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজন করতে যাচ্ছে কাতার। বিশ্ব আসরের আয়োজনকে বাস্তবে রূপ দিতে দেশটিকে পশ্চিমা মিডিয়ার বাধার মুখে পড়তে হয়েছে বেশ কয়েকবার। কিন্তু সেসব বাধা শক্তভাবে মোকাবিলা করে সফল টুর্নামেন্ট আয়োজনের দিকে আগাচ্ছে দেশটি।
বিশ্বকাপ আসরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিইও নাসের আল খাতার জানিয়েছেন, কাতারের বিশ্বকাপ নিয়ে উন্মাদনার কোনো কমতি নেই দর্শকদের মধ্যে। তবে বিদেশি দর্শকদের অবশ্যই কাতারের আঞ্চলিক সংস্কৃতিকে সম্মান জানাতে হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,‘আমাদের মূল ফোকাস এখন টুর্নামেন্টের দিকে। কিভাবে এটাকে সফলভাবে আয়োজন করা যায়, সেটা নিয়েই ভাবছি আমরা। বিশ্বকাপের টিকেটের জন্য মোট ৪০ মিলিয়ন মানুষের আবেদন পেয়েছি। ইতোমধ্যে তিন মিলিয়ন টিকেট বিক্রি হয়েছে। আর এটাই ছিল নির্ধারিত দর্শক সীমা। আমাদের এখানে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি। কিন্তু অবশ্যই আমাদের সংস্কৃতিকে সম্মান করতে হবে সকলকে।’
এই বিশ্বকাপ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে কাতারের চেহারা বদলে দেবে বলে মনে করেন নাসের আল খাতার। তার ভাষ্য, ‘টুর্নামেন্টের দায়িত্ব পাওয়ার প্রথম দিন থেকেই আমরা কাতারবিরোধী সংবাদপত্র এবং মিডিয়া সাইটগুলোর দিকে একটুও মনোযোগ দেইনি। আয়োজক হিসেবে ঘোষিত হওয়ার পর থেকেই কাতার অনেক গণমাধ্যমের দ্বারা প্রচারণার শিকার হয়েছে।’ তিনি আরো বলেন,‘ইউরোপীয় দেশগুলো মনে করে এই টুর্নামেন্টের মধ্য দিয়ে তাদের ওপর একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করা হবে। তাই কিছু সমালোচনা হয়েছিল রাজনৈতিক ও বর্ণবাদী লক্ষ্যকে বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে। একটি আরব ও ইসলামিক দেশ বিশ্বকাপ আয়োজন করবে, এটার কোনো গ্রহণযোগ্যতাই ছিল না তাদের কাছে।
মিডিয়া কিংবা আইনি স্তরে কাতার সেসব সমালোচনার মোকাবিলা করেছে।’
আগামী ২০ নভেম্বর ইকুয়েডরের বিপক্ষে কাতারের ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়াবে এবারের ফুটবল বিশ্বকাপ। ৩২ দলের এ বিশ্ব আসরের পর্দা নামবে ডিসেম্বরের ২৮ তারিখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়