কাগজ প্রতিবেদক : অর্থ পাচারকারীদের গুলি করা করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেন, যারা জনগণের টাকা আত্মসাৎ করে তাদের ‘শুট ডাউন’ করা উচিত। এটাই শাস্তি হওয়া উচিত। বেসিক ব্যাংকের অর্থপাচার মামলার আসামি রাজধানীর শান্তিনগর শাখার তৎকালীন ম্যানেজার মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর জামিন শুনানিতে গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
৫ বছরেও বেসিক ব্যাংকের ৫৬ মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া এবং অভিযোগপত্র না দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে আদালত বলেন, অর্থ পাচারকারীরা জাতির শত্রæ। কেন এসব মামলার ট্রায়াল হবে না? দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, কেন চার্জশিট দিচ্ছেন না? এদিন বেসিক ব্যাংকের শান্তিনগর শাখার তৎকালীন ম্যানেজার মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর বিরুদ্ধে করা ৩টি মামলায় তাকে জামিন দেননি হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আসামির বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ৬টি মামলার তদন্তকাজ শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। অন্যদিকে বেসিক ব্যাংকের ৪ হাজার কোটি টাকা লুটপাটের ঘটনায় দায়ের হওয়া সব মামলার সর্বশেষ অগ্রগতির তথ্য আগামী ২১ নভেম্বরের মধ্যে জানাতে দুদককে নির্দেশ দিয়েছেন।
এ সময় আদালতে আসামিপক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট আবুল হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। আবুল হোসেন বলেন, ৫ বছর পার হলেও দুদক মামলায় চার্জশিট দিচ্ছে না। বিচারকাজও শেষ হচ্ছে না। আদালত অর্থ পাচারকারীদের জাতির শত্রæ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। কেন এসব মামলার ট্রায়াল হবে না, সে প্রশ্নও রেখেছেন।
উল্লেখ্য, বেসিক ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর বিরুদ্ধে করা ১৯টি মামলার মধ্যে ১৫টি মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।