পুণ্যস্নানে শেষ হবে সুন্দরবনের রাসমেলা

আগের সংবাদ

মিলছে আইএমএফের ঋণ > বাংলাদেশের ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা যে কোনো সময়ের চেয়ে ভালো : রাহুল আনন্দ

পরের সংবাদ

রাজপথে শব্দদূষণ বেশি কুমিল্লায় : কানে কম শোনা সমস্যা বেশি রিকশাচালকদের

প্রকাশিত: নভেম্বর ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশসহ বিশ্বের বহু দেশে দিন দিন মারাত্মক আকার নিয়েছে শব্দদূষণ। পেশাগত কারণে এই সমস্যার তারতম্য হয়। বাংলাদেশের এই সমস্যায় সবচেয়ে বেশি ভুগছেন রিকশাচালকরা। ঢাকাসহ সব সিটি করপোরেশনে প্রায় ৪২ ভাগ রিকশাচলকই এই শব্দদূষণের শিকার। তাদের পর এই সমস্যায় বেশি ভোগেন ট্রাফিক পুলিশ ও লেগুনা চালকরা।
‘বাংলাদেশের রাজপথে শব্দদূষণ এবং শব্দদূষণের কারণে রাজপথে কর্মরত পেশাজীবীদের শ্রবণ সমস্যা’ নিয়ে করা এক গবেষণায় এমন তথ্যই মিলেছে।
গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সের ইব্রাহিম অডিটোরিয়ামে গবেষণার ফলাফল তুলে ধরেন প্রধান গবেষক ড. সাইকা নিজাম। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সের উপচার্য অধ্যাপক ড. ফরিদুল আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত এই গবেষণা কার্যক্রম চলে। গবেষণায় ঢাকার দুই (উত্তর ও দক্ষিণ) সিটি করপোরেশনসহ রাজশাহী, কুমিল্লা এবং সিলেট সিটি করপোরেশনের শব্দদূষণের মাত্রা পরিমাপ করা হয়েছে। এসব সিটি করপোরেশনের রাজপথে কর্মরত ৬৪৭ জন পেশাজীবীর (ট্রাফিক পুলিশ ও সার্জেন্ট, বাসচালক ও হেলপার, পিক-আপ চালক, সিএনজি অটোরিকশা চালক, লেগুনাচালক, দোকানদার, মোটরসাইকেল, রিকশাচালক এবং প্রাইভেটকার) শ্রবণশক্তি পরিমাপ করা হয়েছে।
গবেষণায় বলা হয়, জরিপে অংশ নেয়াদের প্রতি ৪ জনে ১ জন কানে কম শোনার সমস্যায় ভুগছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪২ শতাংশই রিকশাচালক। এছাড়া প্রায় ৩১ শতাংশ ট্রাফিক পুলিশ, ২৪ শতাংশ সিএনজি অটোরিকশা চালক, ২৪ শতাংশ দোকানদার, ১৬ শতাংশ বাসচালক, ১৫ শতাংশ প্রাইভেটকার চালক এবং ১৩ শতাংশ মোটরসাইকেল চালক কম শোনা সমস্যায় ভুগছেন। ভুক্তভোগীদের ৭ শতাংশের শ্রবণ সহায়ক যন্ত্র (কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট) ব্যবহার জরুরি। আর সিটি করপোরেশন হিসেবে কুমিল্লা সবচেয়ে বেশি শব্দদূষণের শিকার। কুমিল্লা বিভাগের ৫৫ শতাংশ মানুষ শব্দদূষণের শিকার। সিলেটে প্রায় ৩১ শতাংশ, ঢাকায় ২২ দশমিক ৩ শতাংশ, রাজশাহীতে প্রায় ১৪ শতাংশ রাজপথে কর্মরত পেশাজীবী শব্দদূষণে ভুগছেন।
গবেষণায় দূষণের উৎস এবং মাত্রা কমানোর জন্য বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নেয়ার সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এগুলো হলো- রাজপথে পেশাজীবীদের কর্মঘণ্টা কমানো, যেখানে প্রয়োজন সেখানে উপযুক্ত ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম নিশ্চিত করা, রিকশাচালক ও ট্রাফিক পুলিশের প্রতি বিশেষ নজর, নিয়মিত শ্রবণ পরীক্ষা প্রভৃতি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়