পুণ্যস্নানে শেষ হবে সুন্দরবনের রাসমেলা

আগের সংবাদ

মিলছে আইএমএফের ঋণ > বাংলাদেশের ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা যে কোনো সময়ের চেয়ে ভালো : রাহুল আনন্দ

পরের সংবাদ

ব্যয় হবে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা : ৭ প্রকল্প একনেকে অনুমোদন

প্রকাশিত: নভেম্বর ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সাত প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৯৮১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৩ হাজার ৩৯২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা, আর বৈদেশিক ঋণ সহায়তা থেকে ৩২২ কোটি ২১ লাখ টাকা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ২৬৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা সচিব মামুন-আল-রশীদ, ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) সত্যজিত কর্মকার, আইএমইডির সচিব আবু হেনা মোর্শেদ জামান এবং তথ্য ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন।
একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে- চট্টগ্রামের মিরসরাই ও স›দ্বীপ, কক্সবাজারের সোনাদিয়া দ্বীপ ও টেকনাফ অংশের জেটিসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনাদি নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৯১৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় অঞ্চল-২ ও অঞ্চল-৪ এর ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক অবকাঠামোসহ অঞ্চল-২ অঞ্চল-৫ এর সার্ভিস প্যাসেজগুলোর উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৬৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ভবন এলাকার বৈদ্যুতিক-যান্ত্রিক ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ অন্যান্য উন্নয়ন কাজের ব্যয় ধরা হয়েছে ৯২ কোটি ১৭ লাখ টাকা। বারৈয়ারহাট-হেঁয়াকো-রামগড় সড়ক প্রশস্তকরণে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৬১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।
নবীনগর-আশুগঞ্জ সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮৩ কোটি ৪১ লাখ টাকা। দিনাজপুর অঞ্চলে টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৫ কোটি ৩২ লাখ টাকা। চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থার স¤প্রসারণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫০২ কোটি ৪১ লাখ টাকা। এদিকে ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়া চতুর্থবার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ২টি প্রকল্পের। এগুলো হলো- খুলনা শিপইয়ার্ড সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন প্রকল্প এবং বরিশাল মেট্রোপলিটন ও খুলনা পুলিশ লাইন নির্মাণ প্রকল্প।
প্রকল্পের বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, স›দ্বীপসহ দেশের উপকূলীয় অনেক স্থানে জেটি নির্মাণ করা হলে স্থানীয়সহ পর্যটকদের সুবিধা হবে। ঢাকা সিটি করপোরেশনের যেসব এলাকায় অবকাঠামো ঘাটতি আছে। অনুমোদিত প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সেই ঘাটতির অনেকটাই পূরণ হবে। একনেক বৈঠকে ডেঙ্গু থেকে সচেতন থাকারও নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, আমরা করোনা পরিস্থিতি আয়ত্তে এনেছি। এখন অনেক বেশি সর্তক হতে হবে। এক্ষেত্রে সিটি করপোরেশন, স্বাস্থ্য বিভাগকে সচেতন হতে হবে এবং সাধারণ নাগরিকদের সচেতনতা বাড়াতে হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, কৃষি আমাদের প্রাণ। তাই আন্তর্জাতিকভাবে অবস্থা খারাপ হলেও কৃষি যদি ঠিক থাকে আমরা খেয়ে চলতে পারব। বর্তমানে মাঠে আমন ধান সোনালি রং ধারণ করেছে। আশা করছি ভালো হবে।
সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো আছে।
বিশেষ করে চলতি অর্থবছরের ৩ মাসে রেমিট্যান্স যা এসেছে গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে তা বেশি। রপ্তানি গত চার মাসে ১৬ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১৫ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার। সুতরাং আমাদের রপ্তানি বেড়েছে। সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ এ বছর এসেছে ৪৫৭ মিলিয়ন ডলার। গত বছর একই সময়ে ছিল ৩৭৫ মিলিয়ন ডলার।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, এলসি খোলার পরিমাণ কমে ১৮ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন হয়েছে। যেটা গত অর্থবছর হয়েছে ২০ বিলিয়ন ডলার। রিজার্ভের হিসাব ঠিকে আছে। আইএমএফ একমত হলো কিনা তাতে আমাদের কিছু এসে যায় না বলেও মন্তব্য করেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়