পুণ্যস্নানে শেষ হবে সুন্দরবনের রাসমেলা

আগের সংবাদ

মিলছে আইএমএফের ঋণ > বাংলাদেশের ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা যে কোনো সময়ের চেয়ে ভালো : রাহুল আনন্দ

পরের সংবাদ

বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ : প্রস্তুত হচ্ছে ফরিদপুরের আব্দুল আজিজ ইনস্টিটিউট মাঠ

প্রকাশিত: নভেম্বর ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মশিউর রহমান খোকন/বিভাষ দত্ত, ফরিদপুর থেকে : নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ, দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি এবং চার নেতাকে হত্যার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় চলমান কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় আগামী ১২ নভেম্বর গণসমাবেশের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে ফরিদপুর জেলা বিএনপি। এজন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে ফরিদপুরের কোমরপুর আব্দুল আজিজ ইনস্টিটিউট মাঠ। অন্যদিকে সমাবেশের আগের দিন ১১ নভেম্বর থেকে ১২ নভেম্বর রাত পর্যন্ত পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ফরিদপুর জেলা মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। এছাড়া সমাবেশের আগের দিন ১১ নভেম্বর বিকালে বিক্ষোভ-সমাবেশের ডাক দিয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। সব মিলিয়ে সরগরম হয়ে উঠছে ফরিদপুরের রাজনীতি।
বিএনপির ফরিদপুর বিভাগের অন্তর্গত পাঁচটি জেলার বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ও সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীরা গত শনিবার জেলা কার্যালয়ে এক সভা করে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে গণসমাবেশ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। গত রবিবার বিএনপির কেন্দ্রীয় জেলা নেতারা বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসক ও দুপুর ২টায় পুলিশ সুপারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সমাবেশের জন্য রাজেন্দ্র কলেজের মাঠ দেয়ার আবেদন করেন। তবে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার উভয়েই এ প্রস্তাব নাকচ করে দেন।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়, রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে এ জাতীয় সমাবেশ হলে চলমান এইচএসসি পরীক্ষা ব্যাহত হবে, শহরে যানজট সৃষ্টি হবে এবং দলীয় ও ভিন্ন দলের রাজনীতির বিভেদের মধ্যে অনাকাক্সিক্ষত পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়াও শহরে উপর অসংখ্য হাসপাতাল ক্লিনিক রয়েছে যেখানে রোগীরা ভর্তি রয়েছেন, তাদের সেবাদানে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হতে পারে।
গণসমাবেশের জন্য প্রস্তাবিত মাঠ বরাদ্দ না পাওয়ার পর প্রশাসনের প্রস্তাবিত মাঠ মেনে নিয়েছে জেলা বিএনপি। সে লক্ষ্যে গত সোমবার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পাশে অবস্থিত কোমরপুর আব্দুল আজিজ ইনস্টিটিউটের মাঠটি পরিদর্শন করে কেন্দ্রীয় ও জেলা বিএনপি।
গতকাল মঙ্গলবার বিকালে ফরিদপুরের বিভাগীয় গণসমাবেশস্থল পরিদর্শন করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ফরিদপুর বিভাগীয় গণসমাবেশের প্রধান সমন্বয়কারী ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, গণসমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করা, জনসমাগম সংকুচিত করা এবং গণদুর্ভোগ সৃষ্টির জন্য বাস মিনিবাস মালিক সমিতির নাম ব্যবহার করছে সরকার। কিন্তু এভাবে জন¯্রােত থামানো যাবে না। গণতন্ত্রের আন্দোলনে বরিশালের ন্যায় ফরিদপুরের জনগণ সম্পৃক্ত হবে এবং ১০ ডিসেম্বর ঢাকার মহাসমাবেশের মাধ্যমে আন্দোলনের প্রথম অধ্যায়ের সমাপ্তি হয়ে দ্বিতীয় অধ্যায়ের সূচনা হবে ইনশাআল্লাহ।
এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহিরুল হক শাহজাদা মিয়া, ফরিদপুর বিভাগীয় গণসমাবেশের সমন্বয়কারী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম, কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান মাসুক, মো. সেলিমুজ্জামান সেলিম, মহিলাদলের যুগ্ম সম্পাদক চৌধুরী নায়াবা ইউসুফ, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসভাপতি মাহবুবুল হাসান ভূঁইয়া পিংকু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেছ আলী ইছা বলেন, দেশের অন্য সব জায়গায় বিএনপির প্রত্যাশিত মাঠে গণসমাবেশ হয়েছে। কিন্তু ফরিদপুরে এর ব্যতিক্রম ঘটল।
এদিকে গণসমাবেশের আগের দিন ১১ নভেম্বর বিকালে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক ও শাহ মোহাম্মদ

ইশতিয়াক আরিফ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী ১১ নভেম্বর শুক্রবার ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ফরিদপুর শহরস্থ শেখ রাসেল স্কোয়ারে বিকাল ৩টায় একটি বিক্ষোভ মিছিল ও মিছিল শেষে ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়েছে।
এদিকে ফরিদপুর জেলা মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ মহাসড়কের নিরাপত্তা, অবৈধ নসিমন, করিমন, ভটভটি, মাহিদ্র, ব্যাটারিচালিত রিকশা, ইজিবাইক ও ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেলসহ সব ধরনের থ্রি-হুইলার চলাচল বন্ধের দাবি ৩৬ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে। দাবি না মানলে আগামী ১১ নভেম্বর সকাল ৬টা থেকে ১২ নভেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত ফরিদপুর জেলা বাস টার্মিলাল থেকে আঞ্চলিক বাস ও মিনিবাসসহ দূরপাল্লার সব রুটের বাস চলাচল বন্ধ রাখা হবে। গত ৫ নভেম্বর এ ঘোষণা দেয় মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়