পুণ্যস্নানে শেষ হবে সুন্দরবনের রাসমেলা

আগের সংবাদ

মিলছে আইএমএফের ঋণ > বাংলাদেশের ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা যে কোনো সময়ের চেয়ে ভালো : রাহুল আনন্দ

পরের সংবাদ

প্রাকৃতিক গ্যাস মজুত করবে ইউরোপ

প্রকাশিত: নভেম্বর ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ইউরোপের দেশগুলোয় নিকট ভবিষ্যতে প্রাকৃতিক গ্যাসের মারাত্মক সংকট দেখা দিতে পারে। এজন্য ইউরোপে প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার অতিসত্বর কমাতে পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দিচ্ছে অঞ্চলটির খ্যাতনামা গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো। ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি (আইএএ) স¤প্রতি একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলমান ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট জ্বালানি সংকট মোকাবিলা করতে পারলেও পুরোপুরি নির্ভার থাকতে পারছে না ইউরোপ। সংস্থাটি সতর্ক করে বলছে, আসন্ন শীতে বাসগৃহ উষ্ণ রাখতে ও বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বাড়তি জ্বালানির প্রয়োজন পড়বে।
আইইএ বলছে, ইউরোপ গ্রীষ্ম মৌসুমে রাশিয়ান গ্যাস সরবরাহ থেকে কিছুটা লাভবান হয়েছে এবং তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস বা এলএনজির অপ্রতুল শিপলোডের ফলে চীনের সরবরাহ হ্রাস পেয়েছে, এ কারণগুলো গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করতে হবে। প্যারিসভিত্তিক সংস্থাটি বলছে, মৃদু আবহাওয়া থাকা সত্ত্বেও গত আগস্টে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম অত্যন্ত শীর্ষে উঠেছিল।
আইইএয়ের নির্বাহী পরিচালক ফাতিহ বিরল বলেছেন, বর্তমানে আবহাওয়া স্বাভাবিক, গ্যাসের দামও কম। এছাড়া পর্যাপ্ত মজুত নিয়ে আত্মতুষ্টির বিপদ নিয়ে এরই মধ্যে অনেকেই কথা বলতে শুরু করেছে। আমাদের মনে রাখতে হবে আমরা এখনো পুরোপুরি সংকট থেকে বের হয়ে যাইনি। এজন্য দেশগুলোকে জ্বালানি সক্ষমতা বৃদ্ধিতে পুরোদস্তুর কাজ করতে হবে। নয়াবনযোগ্য জ্বালানিশক্তি বাড়িয়ে ও তাপবিদ্যুৎ কারখানার অবকাঠামোগত নির্মাণ উন্নয়ন করতে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে হবে। একই সময়ে গ্যাসের চাহিদা কমাতে যথাসম্ভব পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করতে হবে।
ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধের প্রভাবে অধিকাংশ রাশিয়ান গ্যাস সরবরাহ পাইপলাইন ইউরোপ থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। ফলে ইউরোপে শীতকালীন জ্বালানি সংকট দেখা দিয়েছে। বছরের প্রথমার্ধে রাশিয়ান গ্যাসের সরবরাহ স্বাভাবিকের কাছাকাছি ছিল।
দেশটি তখন থেকে গ্যাস সরবরাহের প্রায় সব প্রবাহ বন্ধ করে দিয়েছিল, যা আগামী বছর একেবারেই বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিসংখ্যান বলছে, যেখানে শীতকালীন মৌসুমে জ্বালানির চাহিদা বেশি থাকে, সেখানে আগামী গ্রীষ্মেই তিন হাজার কোটি ঘনমিটার গ্যাস ঘাটতির সম্মুখীন হতে পারে ইউরোপ। এছাড়া চিন্তার আরেকটি বিষয় হলো ইউরোপীয় অঞ্চলে ২০২৩-২৪ শীতের মৌসুমের আগে স্টোরেজগুলো পূর্ণ করতে আরো প্রায় অর্ধেক পরিমাণ গ্যাস লাগবে। স্টোরেজগুলো ৯৫ শতাংশ গ্যাস সংগ্রহ করা যাবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সরকারপ্রধানরা শীতকালে গ্যাসের ব্যবহার ১৫ শতাংশ কমাতে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ এবং সংরক্ষণ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিশক্তি বৃদ্ধির দিকে জোর দিচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়