পুণ্যস্নানে শেষ হবে সুন্দরবনের রাসমেলা

আগের সংবাদ

মিলছে আইএমএফের ঋণ > বাংলাদেশের ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা যে কোনো সময়ের চেয়ে ভালো : রাহুল আনন্দ

পরের সংবাদ

পৃথক ৩টি হত্যা মামলা : বগুড়া ও ল²ীপুরে ১৭ আসামির যাবজ্জীবন

প্রকাশিত: নভেম্বর ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : বগুড়ায় মাইক্রোবাস চালক হত্যার দায়ে ৯ জন, ল²ীপুরে যুবলীগ নেতা আবদুল হান্নান সুমন হত্যায় ৬ জন ও হানিফ হত্যা মামলায় ২ জনসহ মোট ১৭ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন পৃথক আদালত। গতকাল মঙ্গলবার ওইসব হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। নিচে প্রতিনিধিদের পাঠানো রিপোর্ট-
বগুড়া : জেলার শেরপুর উপজেলায় নুরুল হক (৪০) নামে এক মাইক্রোবাস চালককে হত্যার ঘটনায় ৯ আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া প্রত্যেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। গতকাল দুপুরে বগুড়ার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক হাবিবা মণ্ডল এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- শাহিন, ইলিয়াস, শাহাজুদ্দিন, নজরুল ইসলাম নজু, রাসেল, আমির, জালাল গাজী ওরফে পলাশ গাজী, রোকেয়া বেগম, শহিনুর রহমান। আসামিদের মধ্যে জালাল গাজী ওরফে পলাশ গাজী, রোকেয়া বেগম, শাহিনুর রহমান পলাতক রয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট নাছিমুল করিম হলি বলেন, ২০১৫ সালের ১ জুলাই শেরপুরের মির্জাপুর এলাকায় সুনামগঞ্জের আমবাড়ি এলাকার নরুল হক নামে এক মাইক্রোবাস চালককে হত্যা করে আসামিরা পুকুরে ফেলে রেখে যান। মাইক্রোবাস চুরির উদ্দেশ্যে তারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটান। এ ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হলেও তিনজন শুরু থেকেই পলাতক রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আদালত ৯ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন এবং সাজাপ্রাপ্ত অন্যান্য পলাতক আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আদেশ দেন।
ল²ীপুর : ল²ীপুরে পৃথক দুই হত্যা মামলায় ৮ জনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেকের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরো এক বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন। যুবলীগ নেতা আবদুল হান্নান সুমন হত্যায় ৬ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এ মামলায় দুইজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। অপরদিকে হানিফ হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন সাজা দেয়া হয়েছে। এ মামলায় ৬ জনকে খালাস দেয়া হয়। মামলার আসামি ইলিয়াস কোবরা মারা যাওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়। দুই রায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা পলাতক।
যুবলীগ নেতা সুমন হত্যায় সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- কাউছার, খোরশেদ আলম, সোহেল রানা, সোহাগ, রাব্বী ও কালা শাহাদাত। তারা সদর উপজেলার দত্তপাড়া, গোপালপুর ও দক্ষিণ মাগুরী গ্রামের বাসিন্দা। এ মামলায় খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- বাবুল ওরফে বাবলু ও মানিক এলাহি বাবুল। তারা দত্তপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। ভিকটিম সুমন উত্তর জয়পুর ইউনিয়ন যুবলীগের সক্রিয় নেতা ছিলেন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের ৬ ডিসেম্বর ছেলে সাইফ হান্নানকে নিয়ে রিকশাযোগে সুমন বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। পথে আসামিরা তার গতিরোধ করে। এ সময় আসামিরা তাকে রিকশা থেকে নামিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে মৃত ভেবে আসামিরা পালিয়ে যায়। তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ৮ ডিসেম্বর ভিকটিমের মা সুফিয়া বেগম বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। ২০১৬ সালের ২৩ আগস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ৮ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
অপরদিকে হানিফ হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- দিদার হোসেন ও ফারুক হোসেন। তারা সদরের উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের উত্তর মাগুরী গ্রামের বাসিন্দা। এ মামলায় মো. ইলিয়াস ওরফে ইলিয়াস কোবরাও সাজা আওতায় থাকলেও তিনি মারা যাওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- মো. রিপন, মো. রনি, ওমর ফারুক, ইসমাইল হোসেন মুন্সি, মো. বাবলু, মো. রিয়াদ। এ মামলার অন্য আসামি জসিম উদ্দিন ২০১৫ সালের ৮ জুন সন্ত্রাসীদের সঙ্গে গোলাগুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এতে তাকেও মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছিল।
এজাহার সূত্র জানায়, চাঁদার দাবিতে ২০১৫ সালের ৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আসামিরা হানিফকে গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় ১৫ মে হানিফের বোন মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। ২০১৬ সালের ২৭ মার্চ তদন্তকারী কর্মকর্তা ও চন্দ্রগঞ্জ থানার এসআই জাহাঙ্গীর আলম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে এ রায় দেন। জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) এডভোকেট জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়