পুণ্যস্নানে শেষ হবে সুন্দরবনের রাসমেলা

আগের সংবাদ

মিলছে আইএমএফের ঋণ > বাংলাদেশের ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা যে কোনো সময়ের চেয়ে ভালো : রাহুল আনন্দ

পরের সংবাদ

পরিত্যক্ত বাস টার্মিনাল ইজারা দেয় পৌরসভা : চুয়াডাঙ্গা

প্রকাশিত: নভেম্বর ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি : চুয়াডাঙ্গা বাস টার্মিনালটি পরিত্যক্ত হলেও সেটি ইজারা দিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ। টার্মিনালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও যাত্রী সেবার মান নি¤œমুখী। শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বাস কাউন্টার, পার্কিং, যাত্রী উঠানো-নামানোর কারণে যানযট ও ভোগান্তি লেগেই থাকে।
সন্ধ্যা নামলেই মাদকসেবীদের নিয়ন্ত্রণে চলে যায় বাস টার্মিনাল এলাকা। এ দুর্ভোগ দেখার যেন কেউ নেই।
অভিযোগ রয়েছে, ব্যবহারের অনুপযোগী হলেও প্রতি বছর বাস টার্মিনালটি ইজারা দিচ্ছে চুয়াডাঙ্গা পৌর কর্তৃপক্ষ। এ বছর ছয় লাখ ৭০ হাজার টাকায় টার্মিনালটি ইজারা দেয়া হয়।
সাধারণ মানুষের দাবি, নতুন করে বাস টার্মিনাল নির্মাণ করা হোক। মানুষের দুর্ভোগ লাঘবসহ যানযট নিরসন হোক। মানুষ স্বাভাবিকভাবে চলাচল করুক।
সরেজমিনে দেখা গেছে, টার্মিনাল প্রতিষ্ঠার পর থেকে সংস্কার ও উন্নয়নের কোনো ছোঁয়া লাগেনি। বাস টার্মিনাল ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় দিনের বেলাই শুনশান নীরবতা থাকে। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে বদলে যাচ্ছে দৃশ্যপট। রাত গভীর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশ ভয়ংকর হয়ে উঠে। টার্মিনালটি মাদকসেবীদের নিরাপদ আশ্রয়ে পরিণত হয়েছে।
নারী বিশ্রামাগার থাকলেও নেই পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা। মূলত লাইট, ফ্যান, টয়লেট, বসার জায়গাসহ অন্য কোনো সুবিধা নেই। নিরাপত্তা ব্যবস্থা অদৃশ্যমান। শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সড়কের ওপর যত্রতত্র যানবাহন পার্কিং করে রাখেন চালকরা। যার কারণে যানজট লেগেই থাকে।
জানা গেছে, ১৯৯৪ সালে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার নুরনগর পাড়ায় চার বিঘা জমির ওপর ওই বাস টার্মিনাল গড়ে ওঠে। টার্মিনালে ৬৪টি ঘরের মধ্যে এবার ৩১টি ভাড়া দেয় পৌর কর্তৃপক্ষ। প্রতিটি ঘর ৩০০ টাকায় ভাড়া নেয় ব্যক্তি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
এদিকে ৬৪টি ঘরের মধ্যে ৩১টি ঘর ভাড়া হলেও এর মধ্যে হাতে গোনা কয়েকটি বাস কাউন্টার রয়েছে। তাই সিংহ ভাগ দোকান বন্ধ থাকে।
বাস চালক আমিনুল বলেন, ‘টার্মিনালে পরিবহন রেখে কোথাও যাব সে উপায় নেই। কারণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। নাইট গার্ড ও সিসি ক্যামেরা নেই। মালিকের গাড়ি চুরি হয়ে গেলে জবাব দেয়ার মতো কোনো উত্তর থাকবে না।’
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সরোজগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা হেকমত আলি বলেন, ‘আমাদের যে কোনো প্রয়োজনে চুয়াডাঙ্গায় আসতে হয়। তবে বাস টার্মিনাল এলাকা নিরাপদ মনে করি না।’
চুয়াডাঙ্গা জেলা বাস-মিনিবাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম জানান, ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ায় বাস টার্মিনালটি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। এ কারণে দূরপাল্লা ও আন্তঃজেলা পরিবহনগুলো টার্মিনালের বাইরে শহরে অবস্থান করে। এতে যানজট তৈরি হয়। এছাড়া রেলগেটের কারণে গাড়ির ট্রিপ টাইমে জটিলতা সৃষ্টি হয়।
চুয়াডাঙ্গা পৌর সভার নগর উন্নয়ন কমিটির সভাপতি কামরুজ্জামান চাঁদ জানান, বাস টার্মিনালটি ইজারা দেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে পৌর কর্তৃপক্ষের কিছু টাকা উপার্জন হয়। তবে এটি পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। একই সঙ্গে মাদকসেবীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। পৌরসভার মিটিংয়ে বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছে। এক বছরের মধ্যে নতুন বাস টার্মিনাল নির্মাণ করতে পারবেন বলে আশাবাদী তিনি।
চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন জানান, মাদকসেবী ও বিক্রেতাদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়