পুণ্যস্নানে শেষ হবে সুন্দরবনের রাসমেলা

আগের সংবাদ

মিলছে আইএমএফের ঋণ > বাংলাদেশের ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা যে কোনো সময়ের চেয়ে ভালো : রাহুল আনন্দ

পরের সংবাদ

নিতাইগঞ্জে আবার বেড়েছে ডালের দাম

প্রকাশিত: নভেম্বর ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : দেশের বৃহত্তম পাইকারি বাজার নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জে আবারো বাড়ল ডালের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের ডালের দামই কেজিতে ৩-৫ টাকা বেড়েছে। তবে দাম বাড়লেও বেচাকেনায় মন্দার কথা জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, মফস্বলের ক্রেতারা এখন আর আগের মতো নিতাইগঞ্জ থেকে পণ্য কিনতে আসেন না, ফলে ব্যবসায় মন্দা দেখা দিয়েছে। বাজারে দেশি মসুর ডাল পাইকারি বেচাকেনা হচ্ছে ১২৬ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১২২ টাকা। সে হিসাবে বেড়েছে কেজিপ্রতি ৪ টাকা। দিল্লি সুপার ক্যাঙ্গারু ডালের (৫০ কেজির বস্তা) কেজি ১৩২ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগেও ছিল ১২৮ টাকা। দিল্লি সুপার ডাল (৩০ কেজির বস্তা) বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে ১২৯ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১২৫ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডালটির দাম বেড়েছে ৪ টাকা। বোল্ডার বা আস্ত মসুর ডাল নিতাইগঞ্জ বাজারে বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৯২ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগেও ছিল ৮৮ টাকা। বোল্ডা বা ভাঙা মসুর ডালের বর্তমান দাম ৮৭ টাকা কেজি, যা সাতদিন আগে ছিল ৮৫ টাকা।
সপ্তাহের ব্যবধানে এসব ডালের দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ৩-৪ টাকা।
গত সপ্তাহে যে খেসারি ডাল বিক্রি হয়েছে ৬৮ টাকায়, চলতি সপ্তাহে তার দাম উঠেছে ৭২ টাকায়। মুগডাল বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে প্রকারভেদে ৭৬-১০১ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগেও ছিল ৭২-৯৬ টাকা। সে হিসাবে দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৪-৮ টাকা পর্যন্ত।
অ্যাংকর ডাল বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে ৬২ টাকা কেজি দরে, যা এক সপ্তাহ আগেও ছিল ৬০ টাকা। ডাবলির বর্তমান দাম কেজিপ্রতি ৬১ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫৮ টাকা। অর্থাৎ অ্যাংকর ও ডাবলির দাম কেজিতে বেড়েছে যথাক্রমে ২ ও ৩ টাকা। বুটের ডালের বর্তমান বাজারমূল্য ৭৬ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৭৪ টাকা।
মিলমালিকরা জানিয়েছেন- বাজারে ডলারের দাম বেশি। তাই তাদের বেশি দামে পণ্য কিনে বিক্রি করতে হচ্ছে। নিতাইগঞ্জের ৭০-৮০টি ডালের মিল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে এখন আমাদের বিভিন্ন করপোরেট কোম্পানি থেকে ডাল কিনে এনে বাজারে বিক্রি করতে হচ্ছে। যার কারণে মিল থেকে যে রেট বেঁধে দেয়া হচ্ছে, সে রেটেই বেচাকেনা করতে হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, এখন ডালের বাজার করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ন্ত্রণ করে। তারা বাজারে যে রেট বেঁধে দেয় তা অনুযায়ীই আমাদের বেচাকেনা করতে হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়