পুণ্যস্নানে শেষ হবে সুন্দরবনের রাসমেলা

আগের সংবাদ

মিলছে আইএমএফের ঋণ > বাংলাদেশের ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা যে কোনো সময়ের চেয়ে ভালো : রাহুল আনন্দ

পরের সংবাদ

খুলনায় স্কুলছাত্রী ধর্ষণের দায়ে ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত: নভেম্বর ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বাবুল আকতার, খুলনা থেকে : খুলনার সোনাডাঙ্গা বিহারি কলোনি এলাকার এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৩-এর বিচারক আব্দুস ছালাম খান এ রায় ঘোষণা করেন। এছাড়া এ মামলার অপর ৪ আসামি অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের ৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মোরশেদুল ইসলাম শান্ত ওরফে শান্ত বিশ্বাস, শেখ শাহাদাত হোসেন, মো. রাব্বি হাসান পরশ, মো. মাহামুদ হাসান আকাশ, কাজী আরিফুল ইসলাম প্রীতম ও মো. মিম হোসেন। তবে শান্ত বিশ্বাস, শাহাদাত হোসেন ও প্রীতম পলাতক রয়েছে।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল (পিপি) ফরিদ আহমেদ জানান, ২০১৯ সালের ১ জুলাই সোনাডাঙ্গা থানার ফারাজীপাড়া বিকে রায় রোডের বাসিন্দা ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাবের কথা বলে ৬ বন্ধু মিলে ধর্ষণ করে। এসময় আরো ৩ জন সেখানে ধর্ষণের ভিডিওচিত্রও ধারণ করে। এ ঘটনায় সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন এবং পর্নগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়। গতকাল এই মামলার ৬ আসামির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিলেন আদালত।
মামলার বিবরণে জানা যায়, মোরশেদুল ইসলাম শান্তর সঙ্গে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ওই স্কুলছাত্রীর পরিচয় হয়। এর সূত্র ধরে ২০১৯ সালের ২৯ জুন বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাকে ডেকে নেয় শান্ত। নগরীর সাহেবের কবরখানা এলাকায় দুজন একসঙ্গে মিলিত হয়। সেখান থেকে মেয়েটিকে সোনাডাঙ্গা থানাধীন বিহারি কলোনিতে নুরুন্নবীর ভাড়াবাড়িতে নেয়া হয়। প্রথমে শান্ত তাকে ধর্ষণ করে। এসময় অন্যরা ভিডিও ধারণ করে এবং সেই ভিডিও দেখিয়ে ভয়ভীতির হুমকি দিয়ে উপস্থিত ৫ জন পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এই ঘটনা মেয়েটি তার বড়বোনকে খুলে বলে। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরের দিন বড়বোন বাদী হয়ে সোনাডাঙ্গা থানায় ৯ জনের নাম উল্লেখ মামলা করেন। একই বছরের ১৩ নভেম্বর ১০ জন আসামির নাম উল্লেখ করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সোনাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মমতাজুল হক আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা চলাকালে ৩০ জনের মধ্যে ১৩ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়