পুণ্যস্নানে শেষ হবে সুন্দরবনের রাসমেলা

আগের সংবাদ

মিলছে আইএমএফের ঋণ > বাংলাদেশের ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা যে কোনো সময়ের চেয়ে ভালো : রাহুল আনন্দ

পরের সংবাদ

ক্ষেতলালের ৯ বিদ্যালয় : প্রধান ও সহকারী শিক্ষক সংকটে পাঠদান ব্যাহত

প্রকাশিত: নভেম্বর ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আখতারুজ্জামান তালুকদার, ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) থেকে : জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৯ জন প্রধান শিক্ষক ও ৪ জন সহকারী শিক্ষকের পদ দীর্ঘ ৪ বছর ধরে শূন্য থাকায় ওইসব বিদ্যালয়ের দাপ্তরিক ও পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এদিকে শিক্ষক সংকট থাকার কারণে ওইসব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদান দিতে হিমশিম খাচ্ছেন শিক্ষকরা।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় মোট ৪৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে বেজার, মির্জাপুর ফেরসা, উত্তর হাটশহর, বারইল, পর্শ্চিম দুর্গাপুর, নওটিকা কেশরতাসহ ৭টি বিদ্যালয়ে চার বছর ধরে এবং ক্ষেতলাল মডেল ও আকলাস-শিবপুর-শ্যামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘ কয়েক মাস থেকে প্রধান শিক্ষক এবং উপজেলার মহব্বতপুর, আটিমুকুল, আকলাশ-শিবপুর-শ্যামপুর ও রোয়াইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪ জন সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য। এতে দাপ্তরিক ও পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। ফলে ওইসব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এমন অভিযোগ অভিভাবকদের। অন্যদিকে শূন্য থাকা ওইসব বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন ও পাঠদানসহ দাপ্তরিক কার্যক্রম চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। উপজেলার বেজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে থাকা সহকারী শিক্ষক ফেরদৌসী রানা চেীধুরী বলেন, ‘একসঙ্গে দুটি পদের দায়িত্ব পালন করা কষ্টকর। দাপ্তরিক কার্যক্রম সামাল দিতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে তেমন সুযোগ হয় না। সেই কারণে অন্য সহকারী শিক্ষকদের উপর চাপ বেশি পড়ে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সহকারী শিক্ষক বলেন, বিগত ৪ বছর এর বেশি সময় ধরে আমি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছি। এখানে প্রধান শিক্ষকসহ দুটি পদ ৪ বছর ধরে শূন্য রয়েছে। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান এবং বিদ্যালয়ের অন্যান্য কাজ-কর্ম সামাল দেয়া খুব কঠিন হয়ে পড়েছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক শাহ বলেন, প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদের চাহিদা পূরণের জন্য ইতোমধ্যেই সহকারী শিক্ষকদের কাছ থেকে পদোন্নতির আবেদন নেয়া হয়েছে। শূন্য পদে সহকারী শিক্ষক নতুন নিয়োগ হলে আশা করি এ সমস্যার খুব শিগগিরই সমাধান হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়