পুণ্যস্নানে শেষ হবে সুন্দরবনের রাসমেলা

আগের সংবাদ

মিলছে আইএমএফের ঋণ > বাংলাদেশের ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা যে কোনো সময়ের চেয়ে ভালো : রাহুল আনন্দ

পরের সংবাদ

আখাউড়ায় উচ্ছেদ অভিযান : কালন্দি খালে ফিরবে প্রাণ

প্রকাশিত: নভেম্বর ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

জুটন বণিক, আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকে : নাম কালন্দি খাল। ভারতের সীমান্ত রেখা থেকে শুরু হয়ে মিশেছে তিতাস নদের সঙ্গে। মাঝখানে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার পথ। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরের যেখান থেকে বাংলাদেশের অংশ ধরা হয় সেখানে ময়লা পানি। ওপার থেকে আসা ওই ময়লা পানির দুর্গন্ধে টেকা দায়। মাঝের পথটুকুতে পানি টলমল করে।
তবে খালের টুঁটি চেপে ধরা হয় আখাউড়া উপজেলা পরিষদ ভবনের সামনের এলাকা থেকে। এখন সড়কবাজার পর্যন্ত খালটি দখলে দূষণে মৃতপ্রায়। গত কয়েক বছর ধরে অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে খালের কিছু জায়গায় পানিও দেখতে পাওয়া যায় না।
সম্প্রতি আখাউড়াবাসীর ‘নিশ্বাস’ হিসেবে পরিচিত ওই খালে প্রাণ ফেরানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পৌর এলাকার মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া কালন্দি খালে প্রশাসনের উদ্যোগে গত সোমবার সকাল থেকে দিনব্যাপী উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।
আরো আশার বিষয় হচ্ছে, ভারত থেকেও স্বচ্ছ পানি পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। ত্রিপুরার অংশে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে পানি শোধন করে তা পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে সম্প্রতি সেখানকার গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়। গত সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল ১০টা থেকে পৌর এলাকার সড়ক বাজারে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে এ কার্যক্রম চলে। কাজ করে ১০০ জন শ্রমিক। নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল পুলিশ। উপস্থিত ছিল ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাও।
অভিযান সূত্রে জানা গেছে, কালন্দি খালের দু’পাড়ে দখলে থাকা ৩৪ জনকে স্থাপনা সরিয়ে নিতে আগেই চিঠির মাধ্যমে নির্দেশনা দেয় প্রশাসন। এরপর থেকে অনেকেই নিজ উদ্যোগে স্থাপনা ভাঙার কাজ শুরু করে। এ অবস্থায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিংও করা হয়। সোমবার সকাল থেকে উচ্ছেদ অভিযানে নামে প্রশাসন। এ সময় ভেকু ও শ্রমিক দিয়ে বেশ কিছু স্থাপনা ভেঙে ফেলা হয়। খালের এপাশ থেকে ওপাশে ২১ থেকে ৩২ ফুট পর্যন্ত জায়গা রেখে উচ্ছেদ অভিযান চলে।
খালের ওপর নিজেদের স্থাপনা সরাতে ব্যস্ত মো. বেলায়েত হোসেন নয়ন বলেন, ‘প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের যেভাবে নির্দেশনা দেয়া হয়, সেভাবেই নিজ উদ্যোগে স্থাপনা ভেঙে ফেলেছি। আমরাও চাই এ খালে আগের মতো পানি থাকুক।’
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আখাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত কুমার চক্রবর্তী জানান, কালন্দি খাল যতদিন পর্যন্ত দখলমুক্ত না হবে, ততদিন এ অভিযান চালানো হবে। যারা নিজ উদ্যোগে স্থাপনা সরায়নি, তাদেরটি সরিয়ে দেয়া হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়