সংসদে অনির্ধারিত আলোচনা : বাড়াবাড়ি করলে ছাড় দেয়া হবে না : কাদের

আগের সংবাদ

একগুচ্ছ শর্ত আইএমএফের : ভর্তুকি কমানোয় জোর, ব্যয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা, অর্থনৈতিক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা

পরের সংবাদ

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী : সেনাহত্যার বিচার এই দেশেই হবে

প্রকাশিত: নভেম্বর ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঢাবি প্রতিনিধি : বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে আমাদের আশার আলো দেখিয়েছেন। যারা মুক্তিযোদ্ধা সেনা সদস্যদের কথায় কথায় হত্যা করেছে তাদেরও বিচার এই দেশে হবে। রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গতকাল সোমবার ‘১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গ’ আয়োজিত ‘৭ নভেম্বর, মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবসের আলোচনা সভা’ শীর্ষক এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি জানান, এর জন্য একটি তদন্ত কমিটিও হচ্ছে। প্রতিবাদ সভায় বক্তারা ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধা সৈনিকদের নির্বিচারে হত্যার বিচার, হত্যার ঘটনার প্রতিবাদ ও খুনি জিয়ার মরণোত্তর বিচার দাবি করেন।
বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আসাদুজ্জামান নূর এমপি, বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর শহীদ মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ বীরউত্তমের কন্যা মাহজাবিন খালেদ, শহীদ কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা বীরবিক্রমের কন্যা নাহিদ ইজাহার খান এমপিসহ ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর নির্বিচারে সেনা কর্মকর্তাদের হত্যার পর তাড়াতাড়ি মরদেহ কোথায় দাফন করা হয়েছে তাদের পরিবার তা জানে না। আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছি। বিচারের পর মরদেহ তাদের আত্মীয়স্বজনের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। অথচ মুক্তিযোদ্ধা সৈনিকদের স্বজনরা তাদের মরদেহ পর্যন্ত পায়নি। আমরা আশা করছি, স্বজনরা জীবিত অবস্থায় হত্যার বিচার দেখে যাবে। কথায় কথায় যারা মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা ও সৈনিকদের রক্ত দিয়ে হোলি খেলেছেন তাদেরকে অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা হত্যাকারীদের বিচার অবশ্যই হতে হবে। এখানে শহীদ পরিবারের সদস্যরা তাদের পিতৃহত্যার বিচার দাবি করেছে, এই দাবি সবারই। এ বিষয়ে ইতোমধ্যেই একটি ‘রুল’ জারি হয়েছে।
আসাদুজ্জামান নূর এমপি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বীরত্ব নিয়ে অনেক বই প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু কোনো বইয়ে জিয়াউর রহমানের যুদ্ধ বা যুদ্ধ সংশ্লিষ্টতা নিয়ে কোন তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায় না। কেন পাওয়া যায় না? কারণ তিনি যুদ্ধে যাননি এবং দেশে ফিরে এসে প্রথম দিন থেকেই ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন।
যারা অগ্নি সন্ত্রাস করে, মানুষকে হত্যা করে তাদেরকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে নিষিদ্ধ করা উচিত এবং এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা, জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যা, ৭ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধা সৈনিকদের হত্যা এবং ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর কথিত বিচারের নামে প্রহসন করে যেসব হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিল এর সবই খুনি জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে এবং মদতে হয়েছে। এর সুষ্ঠু বিচার হওয়া সময়ের দাবি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়