সংসদে অনির্ধারিত আলোচনা : বাড়াবাড়ি করলে ছাড় দেয়া হবে না : কাদের

আগের সংবাদ

একগুচ্ছ শর্ত আইএমএফের : ভর্তুকি কমানোয় জোর, ব্যয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা, অর্থনৈতিক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা

পরের সংবাদ

লৌহজংয়ের ৯ ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র : লোকবল সংকটে সেবা ব্যাহত

প্রকাশিত: নভেম্বর ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

তাজুল ইসলাম রাকিব, লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) থেকে : মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের ১০টি ইউনিয়নে ৯টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে আটটি নিজস্ব ভবন ও একটি ভাড়া করা ভবনে চলছে চিকিৎসা সেবা। আটটি নিজস্ব ভবনের মধ্যে আবার দুটি ভবন জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। একই সঙ্গে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রগুলোতে লোকবল সংকট রয়েছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১১১টি পদের মধ্যে ৫৮টি পদ শূন্য রয়েছে। উপজেলা পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা পদটি শূন্য। মেডিকেল অফিসার দুটি পদের মধ্যে একটি পদ শূন্য, সহকারী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা পদটি শূন্য, অফিস সহকারি পদটি শূন্য, উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সাতটি পদের মধ্যে চারটি শূন্য, পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা ১১টি পদের মধ্যে সাতটি পদ শূন্য, পরিবার কল্যাণ পরিদর্শক ১০টি পদের মধ্যে একটি শূন্য, পরিবার কল্যাণ সহকারী ৪৮টি পদের মধ্যে ২৯টি পদ শূন্য, নিরাপত্তা প্রহরী ৯টি পদের মধ্যে সাতটি শূন্য, আয়া ১১টি পদের মধ্যে পাঁচটি পদ শূন্য রয়েছে।
গত রবিবার সরেজমিনে বৌলতলী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা মমতাজ আক্তার চিকিৎসা দিচ্ছেন। আর লাইনে দাঁড়িয়ে সেবা নিচ্ছেন প্রত্যন্ত গ্রামের রোগীরা। তবে লোকবলের অভাবে সপ্তাহে তিনদিন এই কেন্দ্র বন্ধ থাকে। অথচ এসব ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে প্রতিদিন সাধারণত ডেলিভারি, গর্ভবতী মা ও শিশু, কিশোর-কিশোরী, সাধারণ রোগী চিকিৎসা নিতে আসে।
বৌলতলী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের পরিদর্শিকা মমতাজ আক্তার বলেন, ‘আমাদের এখানে জনবল সংকট রয়েছে। আমাকে সপ্তাহে তিন দিন অন্যান্য স্বাস্থ্যকেন্দ্র্রে পরিদর্শনে যেতে হয়। মাত্র দুদিন এখানে বসতে পারি। যদি জনবল সংকট না থাকত তাহলে আরও ভালো করে চিকিৎসা সেবা দিতে পারতাম। আমরা রাত-দিন ২৪ ঘণ্টাই গর্ভবতী মায়েদের সেবা দিয়ে থাকি।’
উপজেলা লৌহজং পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আরাফাত হোসেন জানান, লৌহজংয়ের ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রগুলোতে জরাজীর্ণতা বিদ্যমান। আবাসিক ভবনগুলোতেও চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিতরা থাকতে পারছে না। এসব ভবন পুনর্নির্মাণের জন্য স্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অধিদপ্তরে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়