সংসদে অনির্ধারিত আলোচনা : বাড়াবাড়ি করলে ছাড় দেয়া হবে না : কাদের

আগের সংবাদ

একগুচ্ছ শর্ত আইএমএফের : ভর্তুকি কমানোয় জোর, ব্যয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা, অর্থনৈতিক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা

পরের সংবাদ

রাজাপুরে যুবদল নেতার তাণ্ডবে এক পরিবার এলাকাছাড়া

প্রকাশিত: নভেম্বর ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রাজাপুর (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি : রাজাপুরে যুবদল নেতার তাণ্ডবে ৯ দিন ধরে একটি পরিবার এলাকাছাড়া। এ ঘটনায় অজ্ঞাত কারণে পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের নাইয়াবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। যুবদল নেতার নাম মো. মনির হোসেন মোল্লা। তিনি ওই এলাকায় মৃত সুলতান মোল্লার ছেলে ও গালুয়া ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক। স্থানীয় লোকজনসহ ভুক্তভোগী পরিবারটির সূত্রে জানা গেছে, মৃত চান্দে আলী খলিফার ছেলে মো. সোহরাব হোসেন খলিফা একজন পল্লী চিকিৎসক। এক মাস আগে সোহরাব খলিফা স্থানীয় যুবদল নেতা মনির মোল্লার পাশের ঘরে অসুস্থ এক রোগীকে ইনজেকশন দিতে যান। ইনজেকশন দিয়ে বের হওয়ার সময় মনির মোল্লা সোহরাবের পথ আগলে বলেন, তোর বাপ মাছ বিক্রি করত, তুই কেন আমার বাড়িতে প্যান্ট পরে প্রবেশ করছিস? পরে মনির সোহবারকে চড়থাপ্পড় দিয়ে ছেড়ে দেন। সোহরাব বিষয়টি এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিকে জানান। এতে মনির মোল্লা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে তার দুই ভাগিনা কোমর উদ্দিন, নেসার উদ্দিনসহ তার বাহিনী নিয়ে গত ২৯ অক্টোবর সকালে সোহরাব ও তার ছোট ভাই সোহাগ খলিফার ওপর রামদা, দা নিয়ে হামলার চেষ্টা করলে তারা পালিয়ে যান। পরে মনির তার বাহিনী নিয়ে সোহবারের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বসতঘরের মালামাল ভাঙচুর করে। এ সময় সোহরাবের স্ত্রী শান্তা ভাঙচুরে বাধা দিলে তার শ্লীলতাহানিসহ তাকে মারধর করা হয়। এরপর থেকে মনির মোল্লার ভয়ে সোহরাবসহ তার স্ত্রী, ছোট ভাই সোহাগ ও তার স্ত্রী এবং ছেলেমেয়েরা পলাতক রয়েছেন। ভুক্তভোগী পরিবারটি ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ এসে অভিযুক্ত মনির মোল্লার সঙ্গে কথা বলে চলে যায় বলে জানা গেছে। ভুক্তভোগী সোহরাবের মা বলেন, দুই বছর আগে মনির মোল্লা আমার ছোট মেয়েকে ঘর থেকে রাতে তুলে নিতে টানাহেঁচরা করায় ওই রাতেই এলাকা থেকে পালিয়ে গিয়ে মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দিই। এখন আবার আমার ছেলে-স্ত্রীসহ তাদের ছেলেমেয়েদের এলাকাছাড়া করেছে। তারা কি আর বাড়িতে আসতে পারবে না। আমার জমিটুকু কেউ কিনে নিক আমি অন্যত্র চলে যাব।
অভিযুক্ত যুবদল নেতা মনির হোসেন মোল্লা বলেন, সোহরাব ও তার ছোট ভাই এলাকায় রেকটিফাইড স্পিরিট বিক্রি করায় সোহরাবকে মাত্র দুইটা চড়থাপ্পড় দিয়েছি। রাজাপুর থানা ওসি পুলক চন্দ্র রায় বলেন, এলাকাছাড়া কিনা তা জানিনা, তবে জমিজমা নিয়ে ঝামেলা রয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়