সংসদে অনির্ধারিত আলোচনা : বাড়াবাড়ি করলে ছাড় দেয়া হবে না : কাদের

আগের সংবাদ

একগুচ্ছ শর্ত আইএমএফের : ভর্তুকি কমানোয় জোর, ব্যয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা, অর্থনৈতিক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা

পরের সংবাদ

মেঘনায় চালু হচ্ছে ফেরি সার্ভিস : গজারিয়া থেকে মুন্সীগঞ্জের দূরত্ব কমবে ৪০ কিমি

প্রকাশিত: নভেম্বর ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি : গজারিয়া-মুন্সীগঞ্জ সদর রুটে ফেরি সার্ভিস চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে মেঘনা নদীর পূর্ব পাড় কাজীপুরা ঘাট ও পশ্চিম পাড় নারায়ণগঞ্জের চরকিশোরগঞ্জ ঘাটে পন্টুন স্থাপন করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। গজারিয়া-সদর উপজেলা সড়ক যোগাযোগে ফেরি সার্ভিস চালু হলে সহজে এবং স্বল্প সময়ে নদী পারাপার সম্ভব হবে। মুন্সীগঞ্জ শহরের দূরত্ব কমবে প্রায় ৪০ কিলোমিটার।
দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হতে চলায় নদীর দুই পাড়ের বাসিন্দাদের মধ্যে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। এতদিন বৃষ্টিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই অঞ্চলের মানুষকে উত্তাল মেঘনা পাড়ি দিতে হতো ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে। সড়ক পথে গজারিয়া থেকে মুন্সীগঞ্জ আসা যাওয়া করতে হতো নারায়ণগঞ্জ হয়ে ৬০ কিলোমিটার এলাকা ঘুরে। আর এই ফেরি চালু হলে যানবাহন চলাচল শুরু হলে, গজারিয়ার সঙ্গে মুন্সীগঞ্জ শহরের দূরত্ব কমবে প্রায় ৪০ কিলোমিটার। এছাড়াও ঢাকা-মাওয়া বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেস ওয়ে এবং পদ্মা সেতুর সঙ্গে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যানবাহন এ জেলার ভেতর দিয়ে বিকল্প হিসেবে এই রুট ব্যবহার করতে পারবে।
গজারিয়া উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়নের নয়াকান্দী গ্রামের আরমান মুন্সি জানান, ফেরি সার্ভিস চালু হলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে আর মেঘনা নদী পাড়ি দিতে হবে না, সড়ক পথেই মুন্সীগঞ্জ জেলা সদরে যাতায়াত করতে পারব। বৃদ্ধ হয়ে গেলেও জীবিত থাকতেই ফেরি দিয়ে মেঘনা নদীতে গাড়ি পারাপার হওয়ার দৃশ্য দেখে যেতে পারব, তা এতদিন ছিল স্বপ্ন, যা এখন বাস্তবায়নের পথে।
বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা যায়, মেঘনা নদীর উভয় প্রান্তে পন্টুনসহ ফেরিঘাট স্থাপনের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এ রুটে স্বর্ণচাপা ও সন্ধ্যামালতি নামে দুটি ফেরি দেয়া হয়েছে। এখন শুধু উদ্বোধনের অপেক্ষা।
এ ব্যাপারে মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেন, এ ফেরি সার্ভিস চালু হলে এ অঞ্চলের অর্থনীতি গতিশীল হবে। এ এলাকার মানুষ যুগ যুগ ধরে মেঘনা পারাপারে নানা দুর্ভোগের শিকার হয়েছে। ফেরি চালু হলে সে দুর্ভোগের অবসান হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সে এই রুটে ফেরি সার্ভিস চালু করার জন্য নৌপরিবহনমন্ত্রীকে নির্দেশ দেন। এরপরই ২০১৮ সালে ৩ জুন মেঘনা নদী পারাপারে স্বর্ণচাপা ও সন্ধ্যামালতী নামে দুটি মিনি ইউটিলিটি ফেরি চালু হলেও কয়েকদিন পর তা বন্ধ হয়ে যায়। গজারিয়ার সঙ্গে মুন্সীগঞ্জের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দীর্ঘদিন পর ফের মেঘনা নদীতে ফেরি সার্ভিস চালু হতে যাচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়