সংসদে অনির্ধারিত আলোচনা : বাড়াবাড়ি করলে ছাড় দেয়া হবে না : কাদের

আগের সংবাদ

একগুচ্ছ শর্ত আইএমএফের : ভর্তুকি কমানোয় জোর, ব্যয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা, অর্থনৈতিক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা

পরের সংবাদ

মহম্মদপুরের ডুমুরশিয়া বিদ্যালয় : প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

প্রকাশিত: নভেম্বর ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মহম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি : মহম্মদপুর উপজেলার বাবুখালী ইউনিয়নের ডুমুরশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলন ও অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগ করেছেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাসুদুর রহমান।
মাসুদুর রহমান বলেন, সোনালী ব্যাংকের মহম্মদপুর শাখায় ডুমুরশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামের যৌথ হিসাব থেকে ২০২১ সালের ১২ আগস্ট ৯৯ হাজার টাকা এবং ২০২২ সালের ১৬ আগস্ট ৯৫ হাজার টাকা উত্তোলন করেন প্রধান শিক্ষক। তিনি অভিযোগ করেন, তার স্বাক্ষর জাল করে টাকা তোলা হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমান ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলনের কথা স্বীকার করে বলেন, সাবেক সভাপতির স্বাক্ষরে ৯৯ হাজার টাকা এবং বর্তমান সভাপতির স্বাক্ষরে ৯৫ হাজার টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। ওই টাকা দিয়ে শিশু শ্রেণির সহপাঠ ক্রয়, আপ্যায়ন ও প্রতিষ্ঠানের জমির সীমানা নির্ধারণসহ নানা কাজে ব্যয় করা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তফছির উদ্দীন, শরিফুল ইসলাম ও মৌসুমী আক্তার বলেন, বিদ্যালয় ভবনের দেয়ালে কিছু বাণী লেখা হয়েছে, জমির সীমানা নির্ধারণে মাপজোপের জন্য কিছু খরচ এবং শিশু শ্রেণির সহপাঠ ক্রয় করেছেন ৮ হাজার টাকার। এটা ছাড়া আর কোনো উন্নয়নমূলক কাজ হয়নি। হলেও আমাদেরকে কিছুই জানানো হয়নি।
বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি চেয়ারম্যান মীর সাজ্জাদ আলী জানান, আমি দীর্ঘ পাঁচ থেকে ছয় বছর ধরে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি।
আমার কাছে এলে আমি স্বাক্ষর করে দিয়েছি। কিন্তু কখন কীভাবে কত টাকার চেকে স্বাক্ষর নিয়েছে আমি জানি না এবং টাকা তুলেছেন কিনা তাও জানি না। আমাকে কিছু জানানো হয়নি। তবে প্রধান শিক্ষকের ব্যবহার খুব একটা ভালো না।
সহকারী শিক্ষা অফিসার সুব্রত কুমার লস্কার জানান, এক মাস আগে একটা ভিজিট করেছি। একটু সমস্যা থাকায় সম্পূর্ণ দেখতে পারিনি। যেটুকু অনিয়ম পেয়েছি শিক্ষা অফিসারকে জানিয়েছি। এই অভিযোগটি সভাপতির কাছ থেকে মৌখিকভাবে জেনেছি।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। যদি আসে তাহলে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়