সংসদে অনির্ধারিত আলোচনা : বাড়াবাড়ি করলে ছাড় দেয়া হবে না : কাদের

আগের সংবাদ

একগুচ্ছ শর্ত আইএমএফের : ভর্তুকি কমানোয় জোর, ব্যয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা, অর্থনৈতিক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা

পরের সংবাদ

বিএনপি নেতাদের ঘোষণা : লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে

প্রকাশিত: নভেম্বর ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দেশে গণতন্ত্র ফেরানোর লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। একই সঙ্গে লক্ষ্য অর্জনে নেতাকর্মীদের আরো আত্মত্যাগের প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানানো হয় দলটির পক্ষ থেকে। গতকাল সোমবার বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে এক উন্মুক্ত আলোচনা সভায় বিএনপি আয়োজিত ৭ নভেম্বর ‘বিপ্লব ও সংহতি’ দিবস উপলক্ষে এসব কথা বলেন বিএনপির নেতারা।
আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানুল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, যুব দলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমাদের এক দফা এক দাবি। সরকারের পদত্যাগ, শেখ হাসিনার পদত্যাগ। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে হবে। সেই নির্বাচনে জনগণের সরকার গঠিত হবে। আমরা ইতোমধ্যে অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছি, আমাদের অনেকেই গ্রেপ্তার হচ্ছেন, জেলে যাচ্ছেন, নিহত হচ্ছেন।
লক্ষ্য অর্জনে নেতাকর্মীদের আরো ত্যাগ স্বীকারের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে পেতে হলে, স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে হলে, আমাদের অধিকারগুলো ফিরে পেতে হলে ত্যাগ স্বীকারের মধ্যদিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। এই ৭ নভেম্বরে আমরা শপথ করি, সরকারের পদত্যাগ নিশ্চিত না করে, গণতন্ত্র ফিরিয়ে না এনে, আমাদের অধিকার ফিরিয়ে না এনে ঘরে ফিরে যাব না। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে অলিখিত বাকশাল চলছে। এই সরকারের পতনের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ৭ নভেম্বরের চেতনায় দেশের গনতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে।
মির্জা আব্বাস বলেন, আন্দোলন, আত্মত্যাগ শুরু হয়েছে। দুর্বার আন্দোলনের মধ্যদিয়ে এই লুটেরা সরকারের পতন ঘটাব। মামলা-হামলা করে জনগণের আন্দোলন স্তব্ধ করা যায় না উল্লেখ করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, কাউকে স্তব্ধ করার এখতিয়ার সরকারি সংস্থার নেই। খুব তাড়াতাড়ি ব্যাংকগুলো দেউলিয়া ঘোষণা করবে, আমানতকারীরা রাস্তায় নামবে। বিচার বিভাগের উপর সরকারের হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, কোনো আদালতেই শেখ হাসিনার কথা ছাড়া কাজ হয় না।
আব্দুল মঈন খান বলেন, পাকিস্তানের ২২ পরিবারের সমালোচনা করছি। এই সরকার সারাদেশে ২২০ পরিবার সৃষ্টি করেছে। আমরা জনগণের সরকার চাই, লুঠপাটের শাসন চাই না। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার না দিলে আপনি সম্মান নিয়ে যেতে পারবেন না।
এর আগে ৭ নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে সকালে জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিএনপি। পাশাপাশি প্রয়াত নেতার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন নেতাকর্মীরা। এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা, সহযোগী সংগঠনের নেতারাসহ সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়