কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানী থেকে গত ৪ নভেম্বর নিখোঁজ হওয়া বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নুর পরশের (২৩) মরদেহ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে বনানী ঘাট এলাকা থেকে মরদেহ উদ্ধার করে নৌপুলিশ।
পরে পরশের পরিবারের সদস্যরা গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন। পরশের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন না থাকায়, এটি হত্যাকাণ্ড কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। তবে, পরিবারের অভিযোগ পরশকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
পরশের বাবা নুরউদ্দিন রানা বিলাপ করতে করতে মুঠোফোনে বলেন, এখন আর নিউজ করে কী করবেন? ছেলেতো আর নেই। কারা যেন মেরে নদীতে ফেলে দিছে। কাউকে সন্দেহ করছেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের কোনো শত্রæ নেই। কে মারল জানি না। পুলিশ এটা খুঁজে বের করুক। পরশের পকেটে থাকা মানিব্যাগ, হেডফোন ও মোবাইল ফোন পকেটেই পাওয়া গেছে বলেও জানান নুরউদ্দিন।
নারায়ণগঞ্জ নৌবন্দর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান ভোরের কাগজকে বলেন, খবর পেয়ে নদী থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। কীভাবে সে মারা গেছে তদন্ত শেষে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
নিখোঁজ পরশের বাবা নুরউদ্দিন রানা এর আগে বিকালে ভোরের কাগজকে জানান, তাদের গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার নয়ামাটি গ্রামে। বর্তমানে রাজধানীর ডেমরায় ১৩/১২ শান্তিবাগের বাসায় থাকেন।
পরশ গত ৪ নভেম্বর বিকাল ৩টার দিকে বুয়েটের আবাসিক হলের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হয়। ৫ নভেম্বর সকাল ১০টায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টে পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা ছিল। পরে জানতে পারি সে পরীক্ষায় অংশ নেয়নি।
পরশের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করি, কিন্তু মোবাইল বন্ধ পাই। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে জানতে পারি, পরশ ওর মেয়ে বন্ধু বুশরার সঙ্গে রিকশায় করে রামপুরা ট্রাফিক বক্সের সামনে এসে নেমে যায়। এরপর আর বাসায় ফিরে আসেনি। পরশের আচরণে কোনো পরিবর্তন দেখেছেন কিনা- এমন প্রশ্নে তিনি না-সূচক জবাব দেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।