সংসদে অনির্ধারিত আলোচনা : বাড়াবাড়ি করলে ছাড় দেয়া হবে না : কাদের

আগের সংবাদ

একগুচ্ছ শর্ত আইএমএফের : ভর্তুকি কমানোয় জোর, ব্যয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা, অর্থনৈতিক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা

পরের সংবাদ

ধানক্ষেতে পোকা-ইঁদুরের আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক

প্রকাশিত: নভেম্বর ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সাইমুম সাব্বির শোভন, জামালপুর থেকে : জামালপুর সদরসহ সাত উপজেলার বিস্তীর্ণ ধানক্ষেতে পোকা ও ইঁদুরের আক্রমণে দিশাহারা হয়ে পড়েছে কৃষক। পোকার আক্রমণে ধানের শিষগুলো লাল রং কোথাও কালচে রং ধারণ করছে। অনেক জায়গায় চিটা হয়ে যাচ্ছে ফসল।
গত বৃহস্পতিবার সরজমিন সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের বিনন্দেরপাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানকার বিস্তীর্ণ ধানক্ষেতে দেখা দিয়েছে পোকার আক্রমণ। কৃষকরা বলছেন, প্রায় এক মাস আগে ধানক্ষেতে মাজরা পোকা আক্রমণ করলে বিষ প্রয়োগ করে কিছুটা রেহাই পান তারা। কিন্তু এবার পাতা মোড়ানো পোকা, কারেন্ট পোকাসহ বেশ কয়েকটি পোকার আক্রমণে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা। পোকার সঙ্গে ইঁদুরের আক্রমণে লাল রং, আবার কোথাও কালচে রং ধারণ করে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ক্ষেতের ফসল।
কৃষক আলফাজ আলী জানান, এক মাস আগে ক্ষেতে মাজরা পোকা আক্রমণ করে। তখন বিষ দেয়ায় একটু কমে আসে। তারপরেও সম্পূর্ণ দমন হয়নি। এখন পাতা মোড়ানো উপদ্রব। এতে তার অনেক ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি। হযরত মিয়া নামে আরেক কৃষক জানান, তিনি ঋণ করে আবাদ করেছেন। সব মরে সাফ হয়ে গেছে। এখন তিনি কী করবেন, কী খাবেন তা ভেবে পাচ্ছেন না।
ক্ষেতে একাধিকবার বিষ প্রয়োগ করেও কোনো সুফল পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। বিনন্দেরপাড়া এলাকার কৃষক মোফাজ্জল হোসেন বলেন, একদিকে ইঁদুর, অন্যদিকে পোকা। বিষ দিলেও কাজ হচ্ছে না। আরেক কৃষক হাসান আলী বলেন, আমার ৪০ শতাংশ জমির ধানে পোকায় যখন আক্রমণ করে তখন একে একে তিনবার বিষ প্রয়োগ করি। কাজে আসেনি। এতে আমার বিরাট ক্ষতি হয়ে গেছে। বিনন্দেরপাড়া এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক নিপুন জাকারিয়া বলেন, সরকার যদি ঋণের ব্যবস্থা করে বা কিছু সাহায্য করে তাহলে আমরা কিছুটা রেহাই পাব। আরেক কৃষক আব্বাস আলী বলেন, পোকায় খেয়ে জর্জর করে ফেলেছে। এখন আমরা কীভাবে চলব? কোনো ঋণের ব্যবস্থা বা সাহায্য করলে আমরা একটু রেহাই পাব।
এসব বিষয়ে জামালপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক জাকিয়া সুলতানা বলেন, আমন ধানে এ সময় পোকার আক্রমণের সম্ভাবনা থাকে। তাই কৃষক ভাইয়েরা যেন নিরাপদে ফসল তুলতে পারে সে জন্য প্রতিটি উপজেলায় টিম গঠন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা সরজমিন মাঠ পরিদর্শন করে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। উল্লেখ্য, এ বছর জেলার ১ লাখ ৯ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। আর আবাদ হয়েছে ১ লাখ ১১ হাজার হেক্টর জমিতে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়