সংসদে অনির্ধারিত আলোচনা : বাড়াবাড়ি করলে ছাড় দেয়া হবে না : কাদের

আগের সংবাদ

একগুচ্ছ শর্ত আইএমএফের : ভর্তুকি কমানোয় জোর, ব্যয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা, অর্থনৈতিক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা

পরের সংবাদ

কর্ণফুলীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে আল্টিমেটাম

প্রকাশিত: নভেম্বর ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী কর্ণফুলীর তীরে দুই সহ¯্রাধিক অবৈধ স্থাপনা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলন। বাংলাদেশ নদী কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মনজর আহমেদ চৌধুরীর চট্টগ্রাম সফর উপলক্ষে গতকাল সোমবার সদরঘাটে মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।
এই দাবিতে আগামীকাল বুধবার দুই শতাধিক সাম্পান নিয়ে ভোর ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চাক্তাই খালের মোহনায় নদীতে অনশন ধর্মঘট করবে পাঁচটি সংগঠন। নদী কমিশনের চেয়ারম্যান, জেলা প্রশাসন ও বন্দর কর্তৃপক্ষ সম্মিলিতভাবে এ দাবি বাস্তবায়ন না করলে আরো কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তারা বলেন, ২০১৯ সালের মে মাসে কর্ণফুলী তীরের ২ হাজার ১৮১টি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করে হাইকোর্ট চূড়ান্ত রায় প্রকাশ করার সাড়ে তিন বছর অতিবাহিত হয়েছে। কিন্তু জেলা প্রশাসন ও বন্দর কর্তৃপক্ষ এ রায় পুরোপুরি বাস্তবায়ন করেনি। হালদার মোহনা থেকে বঙ্গোপসাগরের কর্ণফুলীর মোহনা পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার এলাকায় তিন হাজারের বেশি অবৈধ দখলদার কর্ণফুলী নদী দখল করে বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা গড়ে তুলেছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সুবিধাভোগী ভূমিখেকোরা এই দখলের সঙ্গে জড়িত। এসব অসাধু চক্র প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে প্রভাব বিস্তার করার কারণেই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হচ্ছে না। কিন্তু এই অবস্থা চলতে থাকলে অচিরেই কর্ণফুলী তার স্বাভাবিক গতি প্রবাহ হারাবে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক আলীউর রহমান, বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরামের সিনিয়র সহসভাপতি অধ্যাপক ড. ইদ্রিস আলী, পরিবেশ সংগঠক, লেখক নেছার আহমেদ খান, কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশনের সিনিয়র সহসভাপতি জাফর আহমদ প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়