সংসদে অনির্ধারিত আলোচনা : বাড়াবাড়ি করলে ছাড় দেয়া হবে না : কাদের

আগের সংবাদ

একগুচ্ছ শর্ত আইএমএফের : ভর্তুকি কমানোয় জোর, ব্যয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা, অর্থনৈতিক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা

পরের সংবাদ

আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস উত্তরা : জনবল সংকট সত্ত্বেও বেড়েছে সেবার মান

প্রকাশিত: নভেম্বর ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আছাদুজ্জামান : রাজধানী ঢাকার উত্তরা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে জনবল সংকট রয়েছে। এরপরও হয়রানি, ভোগান্তি ও ঝামেলা ছাড়াই নির্বিঘেœ বায়ো-এনরোলমেন্ট ও পাসপোর্ট উত্তোলন করছেন আবেদনকারীরা। ওই অফিসে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে ৭শর অধিক আবেদন এনরোলমেন্ট হয়। প্রতিদিন সকাল ৮টার মধ্যে অফিসের প্রত্যেক কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ শুরু করেন। এখানে রোস্টারিংয়ের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ডেস্কগুলোর কাজ আগে করা হয়। মূলত অফিস কর্তৃপক্ষের টার্গেট থাকে প্রত্যেক আবেদনকারী যেন সেবা পায়।
উত্তরা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে গত রবিবার সরজমিনে দেখা গেছে, অফিসের নিচে তথ্য কেন্দ্র ও হেল্প ডেস্কের মাধ্যমে আবেদনকারীদের সহায়তা করা হয়। অফিসপ্রধান নিজে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সেবাপ্রার্থীদের সমস্যা ও তার সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এ অফিসটিতে ইকিউ ম্যানেজমেন্টের টোকেনের ভিত্তিতে সকল আবেদনকারীকে সারিবদ্ধভাবে বসানো হয়। এ কারণে বায়োমেট্রিক্সের লাইন ভাঙার ঘটনা ঘটে না। প্রয়োজনে কাউন্টারে সংশোধন করে হলেও সকল আবদনকারীর পাসপোর্ট আবেদনপত্র জমা নেয়া হয়। সার্বক্ষণিক সিসিটিভির মাধ্যমে প্রতি ফ্লোর, কাউন্টার ভিজিট করা হয়। অফিসের সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী টহল দেয় ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখে। এসব কারণে অফিস এবং এর আশপাশে দালালের অস্তিত্ব নেই।
সরজমিনে আরো দেখা গেছে, সেবাপ্রার্থীদের জন্য প্রতি ফ্লোরেই খাওয়ার পানির ব্যবস্থা রয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা, বয়স্ক ও অসুস্থ আবেদনকারীদের জন্য আলাদা কক্ষে বায়োমেট্রিক নেয়ার ব্যবস্থা আছে। অফিসটিতে রয়েছে পুরুষ, নারী ও শিশুদের আলাদা-আলাদা ছবি তোলার কক্ষ।
নিজের পাসপোর্ট নিতে এসে মরিয়ম আক্তার ভোরের কাগজকে বলেন, ‘আমার পরিবারের কয়েকজন সদস্য মিলে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছিলাম। আমরা নিজেরাই আবেদন ফরম পূরণ করে জমা দিয়েছিলাম। আমাদের কোনো ঝামেলা পোহাতে হয়নি। ওখানে দায়িত্বে যারা ছিলেন তারা আমাদের সব ধরনের সহযোগিতা করেছেন। এখন পাসপোর্ট হাতে পেয়েছি। খুব ভালো লাগছে।’
সেবার মান সম্পর্কে জানতে চাইলে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস উত্তরার উপপরিচালক মো. আল আমিন মৃধা বলেন, ‘পাসপোর্ট পাওয়া কিন্তু বাংলাদেশের বৈধ নাগরিকের অধিকার। আবেদন ফরমে যেসব শর্তাবলি থাকে তা সুন্দরভাবে পূরণ করে দিলে পাসপোর্ট পেতে কোনো ধরনের ঝামেলা থাকে না। আমি এখানে যোগদান করার পর থেকে প্রতিনিয়ত পাসপোর্ট করতে আসা আবেদনকারীদের সমস্যা শুনে তার সমাধান দেয়ার চেষ্টা করছি। যেসব আবেদনে বড় ধরনের সমস্যা রয়েছে, সেগুলোর ব্যাপারে প্রধান কার্যালয়ে কথা বলে সমাধান করা হচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘রিইস্যু করতে আসা পাসপোর্টের তথ্যের গরমিল প্রায় আড়াইশর অধিক। যাদের রিইস্যু আবেদনে বড় ধরনের তথ্য পরিবর্তন রয়েছে, সেগুলো পেতে একটু সময় লাগছে। তবে এক্ষেত্রে যাতে সময় আরো কম লাগে সে ব্যাপারে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়