গ্রেপ্তার ৭ : ইশরাকসহ ১৩০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

আগের সংবাদ

শর্তগুলো কঠিন হলেও যৌক্তিক : আইএমএফের শর্ত মেনেই ঋণ নেয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের, ব্যাংক ঋণের সুদ বাড়ানোর প্রস্তাবে ব্যবসায়ীদের আপত্তি

পরের সংবাদ

সড়কে চাপ কমবে : বিআরটি প্রকল্পের ঢাকামুখী দুই লেন খুলেছে

প্রকাশিত: নভেম্বর ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : কাজ শুরুর প্রায় এক দশক পর বহু প্রত্যাশিত উত্তরা-গাজীপুর বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের সারে চার কিলোমিটার খুলে দেয়া হয়েছে। এর ফলে এখন থেকে উত্তরার হাউজ বিল্ডিং থেকে টঙ্গীর চেরাগআলী পর্যন্ত প্রকল্পের ফ্লাইওভারের দুটি লেনে যানবাহন চলাচল করতে পারবে।
গতকাল রবিবার সকালে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিআরটি প্রকল্পের এই অংশের ঢাকামুখী দুটি লেন উন্মুক্ত করেন। এ সময় যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের (গাসিক) মেয়র আসাদুর রহমান কিরন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সাবেক গাসিক মেয়র এডভোকেট আজমত উল্লাহ খান উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনকালে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রকল্পের দুটি লেন চালুর ফলে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ঢাকামুখী যানবাহনের চাপ ও যাত্রীদের ভোগান্তি অনেক কমবে। প্রকল্পের বাকি কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। আগামী বছরের মধ্য জুনে বিআরটি প্রকল্পের ২০ দশমিক ৫০ কিলোমিটার সড়ক পুরোপুরি চলাচলের উপযোগী হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের বড় উন্নয়ন প্রজেক্ট বিআরটিতে ভুলত্রæটি হতেই পারে। বিএনপি শুধু সমালোচনা করে। জাতীয় পার্টি চিৎকার করে। বিএনপির সময় কোনো দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়নি। সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেটসহ তিন বিভাগের ১০০টি সেতু উদ্বোধন করবেন।
প্রকল্প পরিচালক মহিরুল ইসলাম খান জানান, ফ্লাইওভার ও সেতুর দুই লেন খুলে দেয়ার আগে ঢাকা মহানগর পুলিশ ও গাজীপুর মহানগর পুলিশের মতামত নেয়া হয়েছে। তারাও ভোগান্তি দূর করতে তাড়াতাড়ি খুলে দেয়ার অনুরোধ জানান।
জানা গেছে, এখন পর্যন্ত প্রকল্পের ৭৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। ২০ দশমিক ৫০ কিলোমিটার এই বিশেষায়িত সড়কের মধ্যে উত্তরা থেকে টঙ্গীর চেরাগআলী পর্যন্ত সাড়ে চার কিলোমিটার এলিভেটেড লেন। এজন্য ৬টি ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হচ্ছে। বাকি ১৬ কিলোমিটার সমতল সড়ক। ধীরগতির কারণে বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত সড়ক পার হতে ৫ ঘণ্টার বেশি সময় লাগছে।
২০ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রকল্পটি যৌথভাবে বাস্তবায়ন করছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ, সেতু কর্তৃপক্ষ (বিবিএ) এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। ২০১২ সালে শুরু হওয়া প্রকল্প ৪ বছরে বাস্তবায়নের কথা ছিল। তখন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ২ হাজার ৩৯ কোটি টাকা। নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়ায় পরবর্তী সময়ে আরো দুই দফায় মেয়াদ বাড়ানো হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ২৩৯ কোটি টাকা। খানাখন্দে রাস্তা সংকীর্ণ হওয়ার কারণে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। প্রকল্পের নিরাপত্তা ব্যবস্থার অবহেলায় ৪টি দুর্ঘটনা ঘটেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়