গ্রেপ্তার ৭ : ইশরাকসহ ১৩০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

আগের সংবাদ

শর্তগুলো কঠিন হলেও যৌক্তিক : আইএমএফের শর্ত মেনেই ঋণ নেয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের, ব্যাংক ঋণের সুদ বাড়ানোর প্রস্তাবে ব্যবসায়ীদের আপত্তি

পরের সংবাদ

স্বর্ণের বৈশ্বিক চাহিদা মহামারিপূর্ব অবস্থায়

প্রকাশিত: নভেম্বর ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ফিউচার মার্কেটে নি¤œমুখী প্রবণতা ও এক্সচেঞ্জগুলোর মাধ্যমে লেনদেন হওয়ার পণ্যের বহিঃপ্রবাহ সত্ত্বেও এ বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে স্পট মার্কেটে স্বর্ণের চাহিদা বেড়েছে। এর মধ্য দিয়ে চাহিদা মহামারি পূর্ব অবস্থায় ফিরে গিয়েছে। স¤প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল।
প্রান্তিকভিত্তিক চাহিদা প্রতিবেদনে কাউন্সিল জানায়, জুলাই-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে মূল্যবান ধাতুটির বৈশ্বিক চাহিদা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৮১ টনে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় চাহিদা ২৮ শতাংশ বেড়েছে। অন্যদিকে এ বছরের প্রথম নয় মাসে চাহিদা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৮ শতাংশ বেড়েছে। ব্যবহারকারী ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর ঊর্ধ্বমুখী ক্রয় চাহিদা বাড়াতে প্রধান ভূমিকা রেখেছে।
ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের বিনিয়োগ গবেষণা বিভাগের পরিচালক জন কার্লোস আর্টিগ্যাস বলেন, বিশ্বজুড়ে স্বর্ণের ব্যবহার বেড়ে মহামারিপূর্ব অবস্থায় ফিরেছে। স্বর্ণালংকারের চাহিদা বৃদ্ধি, বার ও কয়েনের ঊর্ধ্বমুখী চাহিদা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর অব্যাহত স্বর্ণ ক্রয় চাহিদা প্রবৃদ্ধিতে মূল ভূমিকা রেখেছে।
আর্টিগ্যাস বলেন, এ বছর শক্তিশালী চাহিদার কারণেই মূল্যবান ধাতুটি বেস্ট পারফর্মিং অ্যাসেট হয়ে উঠেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর আগ্রাসী মুদ্রাসংকোচন নীতি বিশ্বব্যাপীই ধাতুটির দামের ওপর প্রভাব ফেলছে। গত মাসে টানা সাত মাসের মতো এটির দাম কমেছে। ১৯৬০ সালের পর এবারই প্রথম এত লম্বা সময় ধরে ধাতুটির বাজার নি¤œমুখী।
গোল্ড কাউন্সিলের গবেষণা বিভাগ বলছে, ১০ বছর মেয়াদি ট্রেজারি ইল্ড ৪ শতাংশের ওপরে অবস্থান করছে। অন্যদিকে মার্কিন ডলারের বিনিময় মূল্য বেড়ে ২০ বছরের সর্বোচ্চে আরোহণ করেছে। এ পরিস্থিতিতে স্বর্ণের দাম অন্তত ৩০ শতাংশ কমে যাওয়া একেবারেই স্বাভাবিক। ডিসেম্বরে সরবরাহ চুক্তিতে দাম এ বছরের শুরুর তুলনায় প্রায় ১০ শতাংশ কমেছে। তৃতীয় প্রান্তিকে স্বর্ণালংকারের ব্যবহারে উল্লম্ফন দেখা দিয়েছে। অর্থনৈতিক মন্দার উদ্বেগ সত্ত্বেও ব্যবহার ১০ শতাংশ বেড়ে ৫২৩ টনে উন্নীত হয়েছে। চাহিদা ২ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৪৫৪ টনে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে গত তিন মাসে স্বর্ণের বৈশ্বিক সরবরাহ ১ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ২১৫ টনে উন্নীত হয়েছে। এ সময় ধাতুটির পুনর্ব্যবহার কমলেও ঊর্ধ্বমুখী উত্তোলন তাতে ভারসাম্য এনেছে। গোল্ড কাউন্সিল জানায়, এ প্রান্তিকে স্বর্ণের চাহিদা বৃদ্ধিতে ভারত বড় ভূমিকা রেখেছে। অন্যতম শীর্ষ ব্যবহারকারী দেশটিতে চাহিদা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৭ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া ২০১৮ সালের পর এটিই ছিল চাহিদা বৃদ্ধিতে সবচেয়ে শক্তিশালী মাস।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়