গ্রেপ্তার ৭ : ইশরাকসহ ১৩০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

আগের সংবাদ

শর্তগুলো কঠিন হলেও যৌক্তিক : আইএমএফের শর্ত মেনেই ঋণ নেয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের, ব্যাংক ঋণের সুদ বাড়ানোর প্রস্তাবে ব্যবসায়ীদের আপত্তি

পরের সংবাদ

সংসদে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি : দক্ষতা বাড়াতে শর্ট কোর্স চালু করছি

প্রকাশিত: নভেম্বর ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, গুণগত মান অর্জনের জন্য পুরো শিক্ষা ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে কাজ করে চলেছি। ইতোমধ্যে আমরা ন্যাশনাল কোয়ালিফিকেশনস এন্ড ভোকেশনাল ফ্রেমওয়ার্ক (এনটিকিউএফ) সম্পন্ন করেছি। এই ফ্রেমওয়ার্ক অনুযায়ী যে যে স্তরে পাশ করে শিক্ষা নিয়ে বের হবে বিদেশে গিয়ে সে যেন সে স্তরের কাজ পেতে পারে তার ব্যবস্থা করেছি। একইভাবে উচ্চতর শিক্ষার ক্ষেত্রে আমরা ‘ন্যাশনাল কোয়ালিফিকেশন ফর ফ্রেমওয়ার্ক’ অনুযায়ী শিক্ষার মান বজার রাখার চেষ্টা করেছি। এ ফ্রেমওয়ার্কের মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থীরা যাতে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারে তার চেষ্টা করছি। সে কারণে সব বিশ্ববিদ্যালয়, ইউজিসি, এক্রিডিটেশন কাউন্সিল রয়েছে। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রতিটি কোর্স এই এক্রিডিটেশন কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে চলতে হবে। নতুন কারিকুলামে মুখস্ত করা নয়, পড়ে পড়ে শিখতে হবে, যাতে তারা আত্মস্থ করতে পারে। দক্ষতা বাড়াতে আমরা শর্টকোর্স চালু করছি। গতকাল রবিবার সংসদে জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নুর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. দীপু মনি বলেন, আমরা ইউজিসির সক্ষমতা বাড়ানো এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংস্কারে কাজ করছি। আমরা কারিগরি শিক্ষার সঙ্গে সমস্ত শিক্ষা ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। যাতে বিদেশে গিয়ে তারা সফলতার সঙ্গে চাকরি করতে পারে। আমরা বিএ, বিএসসির মতো কোর্সের সঙ্গে সঙ্গে স্বল্পমেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্স চালু করছি। এছাড়া স্বল্পমেয়াদি শট কোর্স চালু করছি যাতে যখন যার যে শিক্ষা দরকার সে তা করে নিতে পারে। কেননা, বর্তমান বিশ্ব পরিবর্তনশীল, সেখানে খাপ খাওয়াতে যাতে আমাদের শিক্ষার্থীদের হিমশিম খেতে না হয়।
তিনি বলেন, জীবন গঠনের জন্য কর্মসংস্থানের বিষয়টি ওতপ্রতভাবে জড়িত। আমরা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রাক-প্রাথমিক থেকে শুরু করে মাধ্যমিকের শেষ পর্যন্ত যে শিক্ষা কার্যক্রম করেছি সেখানে নতুন জীবনমুখী ও কর্মমুখী শিক্ষা উদ্ভাবন করেছি। একইভাবে উচ্চতর শিক্ষার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিয়ে আমরা একাজগুলো করার চেষ্টা করেছি।
তিনি জানান, বিদেশ থেকে আমাদের বিভিন্ন অঞ্চলে যে কর্মী এসে কাজ করছে তা আমরা দেখছি, জানি। তবে তাদের সঙ্গে আমাদের গ্র্যাজুয়েটদের তফাৎ আমরা যা শিখছি তার প্রয়োগ সম্পর্কে বেশি শিখি না, তার সঙ্গে কমিউনিকেশসন্স স্কিলস, প্রবলেম সলভিং এবং ক্রিটিক্যাল থিংকিং স্কিল আমরা করি না। উচ্চতর শিক্ষার ক্ষেত্রে আমরা এই সফট স্কিলগুলো শেখানোর চেষ্টা করছি। শিল্পের ক্ষেত্রে কি প্রয়োজন তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আমরা কারিকুলাম নির্ধারণ করি, যেন শিক্ষার্থীরা তাদের স্কিল পুরোপুরি প্রয়োগ করতে পারে।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, ২০০৯ সালে আমাদের কারিগরি শিক্ষার হার ছিল ১ শতাংশ, বর্তমানে ১৭ শতাংশ। আমরা আমাদের কারিগরি শিক্ষার ব্যাপক বিস্তার ঘটাচ্ছি। শুধু কারিগরি প্রতিষ্ঠানে নয়, সাধারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুটো করে ট্রেড চালু করতে যাচ্ছি। যাতে দশম শ্রেণির পরে পড়ার সুযোগ বঞ্চিতরা একটি ট্রেডে দক্ষতা নিয়ে বেরোতে পারে এবং কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলুর এক প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, এক সময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা খুবই নড়বড়ে ছিল। বিষয়টি উপলব্ধি করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ থাকা সত্ত্বেও ২৬ হাজার ১৯৩টি স্কুলকে জাতীয়করণ করেন। তারপরে অনেক সরকার এসেছে। কিন্তু কেউ এদিকে নজর দেয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসে ৩৬ হাজার স্কুলকে জাতীয়করণ করেছেন। জাতীয়ভাবে সিদ্ধান্ত হলে আমরা আবার স্কুল জাতীয়করণ করতে পারব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়