গ্রেপ্তার ৭ : ইশরাকসহ ১৩০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

আগের সংবাদ

শর্তগুলো কঠিন হলেও যৌক্তিক : আইএমএফের শর্ত মেনেই ঋণ নেয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের, ব্যাংক ঋণের সুদ বাড়ানোর প্রস্তাবে ব্যবসায়ীদের আপত্তি

পরের সংবাদ

সংসদে প্রধানমন্ত্রী : জানুয়ারিতে ডলারের চাপ কেটে যাবে

প্রকাশিত: নভেম্বর ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আগামী জানুয়ারি মাস থেকে ডলারের চাপ যাতে কেটে যায় সেদিকে সরকার দৃষ্টি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের ওপর একটা চাপ আছে। অবশ্য ঋণপত্র খোলার জন্য যে বাড়তি চাপ তা ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করছি। গতকাল রবিবার জাতীয় সংসদের ২০তম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
যে কোনো অবস্থার জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামনে কী হতে যাচ্ছে সেটা একটা আশঙ্কার ব্যাপার। উন্নত দেশ যেখানে হিমশিম খাচ্ছে সেখানে আমাদের তো ভুগতেই হবে। বিশ্বব্যাপী করোনার যে অভিঘাত সেখান থেকে আমরা যখন উত্তরণ ঘটাচ্ছিলাম তার পরেই এলো রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। আমাদের যে আমদানি করতে হয়, সে আমদানি করার ক্ষেত্রে, যেমন খাদ্যপণ্য, সার ও তেল যার ফলে আমরা বেশ ভুক্তভোগী। একদিকে যেমন পণ্য উৎপাদন খরচ বাড়ছে তেমনি পণ্য পরিবহন খরচও বেড়েছে। আমাদের যে রিজার্ভ আছে তাতে পাঁচ মাসের আমদানি করা সম্ভব। আজ সকালেও আমি বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছি।
তিনি বলেন, ঋণ পত্রের যে চাপ রয়েছে এবছরের ডিসেম্বরে শেষ হয়ে যাবে। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ডলারের চাহিদা যাতে কেটে যায় সে দিকে আমরা নজর দিচ্ছি। তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন রিজার্ভ ছিল ২.১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০০৯ সালে আবার ক্ষমতায় আসি তখন ছিল ৫.৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। চতুর্থ দফায় ২০১৯ সালে হয় ৩২.০৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর পরে করোনার পরে যখন যোগাযোগ বাড়ল, আমদানিও বাড়ল, সে কারণে ৩১ নভেম্বর, ২০২২ এ ছিল ৩৫.২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, কীভাবে তারা মানুষ খুন করেছে। আগুন দিয়ে পুড়িয়ে পুড়িয়ে জীবন্ত মানুষকে হত্যা করেছে, এ ধরনের ঘটনা চিন্তা করা যায় না। তাদের মানুষ কেন ভোট দেবে। তিনি বলেন, আজকে খালেদা জিয়া কেন জেলে যাবে, তার তো দুর্নীতির দায়ে সাজা হয়েছে। মানিলন্ডারিং কেসে তারেক রহমানের ৭ বছরের সাজা হয়েছে। এফবিআই সাক্ষী দিয়ে গেছে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ১০ বছরের সাজা, জিয়া চেরিটেবল মামলায় তার ৭ বছরের সাজা। দেশের ঋণের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকারি ঋণ জিডিপির মাত্র ৩৬ শতাংশ। বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ জিডিপির ১৩.৩২ শতাংশ। আমরা ঋণ পরিশোধে কখনো ডিফল্টার হইনি। তবে আমাদের সব ক্ষেত্রে সাশ্রয়ী হতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ খাতে আমরা ভর্তুকি ধরে রেখেছিলাম ১৭ হাজার কোটি টাকা। আজকে অতিরিক্ত চাহিদা তৈরি হয়েছে ৩২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। জ¦ালানিতে অতিরিক্ত ভর্তুকি লাগছে ১৯ হাজার ৫৩২ কোটি টাকা, খাদ্য আমদানিতে ৪ হাজার কোটি টাকা। টিসিবি ও অন্যান্য জনবান্ধব কর্মসূচিতে অতিরিক্ত ভর্তুকি দিতে হচ্ছে ৯ হাজার কোটি টাকা। কৃষিতে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে ৪২৪০ কোটি টাকা।
তিনি বলেন, চিনির মোট চাহিদা ২০ লাখ টন, আমাদের উদপাদন ৪০ হাজার টন। চাহিদার প্রায় ৯৬ ভাগ আমদানি করতে হয়। এক বছরে খাদ্যপণ্যে মূল্য বেড়েছে ২০-৩০ শতাংশ, ১ বছরে চাল, গম ও আটার দাম বেড়েছে ১০-১৫ শতাংশ, আর পণ্য পরিবহণে খরচ বেড়েছে ৪৫ শতাংশ। এই মুহূর্তে আমাদের কাছে ১৫ লাখ ৭৩ হাজার ৬৮৫ টন খাদ্য মজুত রয়েছে। আগামীতে যাতে সমস্যা না হয় তার জন্য আমরা ৫ লাখ ৩০ হাজার টন চাল আমদানির জন্য ভারত, মিয়ানমারসহ কয়েকটি দেশের সঙ্গে চুক্তি করেছি। তবে রাশিয়া খাদ্যপণ্য সরবরাহে ছাড় দেওয়ায় আমদানি করা পণ্য আসা শুরু হয়েছে। কিছু জাহাজ এসেও গেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা তো দেশের মানুষের জন্য কাজ করেছি। তেল, চিনি ও ডাল এক কোটি মানুষকে সরবরাহ করব। আমাদের আমদানিকৃত জিনিসের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে হবে। ২ কোটি ১০ লাখ কৃষককে শুধু ভর্তুকি দিচ্ছি না, তারা কৃষি উপকরণও ভর্তুকিতে পায়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়