গ্রেপ্তার ৭ : ইশরাকসহ ১৩০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

আগের সংবাদ

শর্তগুলো কঠিন হলেও যৌক্তিক : আইএমএফের শর্ত মেনেই ঋণ নেয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের, ব্যাংক ঋণের সুদ বাড়ানোর প্রস্তাবে ব্যবসায়ীদের আপত্তি

পরের সংবাদ

যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যবর্তী নির্বাচনে নজর বৈশ্বিক বিশ্লেষকদের : ডেমোক্রেট-রিপাবলিকান বাহাস

প্রকাশিত: নভেম্বর ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছেন আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কারণ এই নির্বাচনের ফলাফলের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। এই নির্বাচনী ফলাফলের ওপর বৈশ্বিক রাজনীতির অনেক কিছু নির্ভর করছে। এবারের ভোটে ওয়াশিংটনের ক্ষমতার ভারসাম্যে একটি সম্ভাবনা দেখছেন তারা। প্রায় সব জনমত জরিপেই বড় ব্যবধানে এগিয়ে আছে রিপাবলিকানরা। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রিপাবলিকানরা জয়ী হলে ইউক্রেনের জন্য বাইডেন ঘোষিত সহায়তার প্রতিশ্রæতি বাস্তবায়ন করা কঠিন হতে পারে। তারা এরই মধ্যে ইউক্রেনের জন্য বাইডেন প্রশাসনের বিপুল সহায়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। অনেকের ধারণা, কংগ্রেসে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে ইউক্রেনের জন্য বাইডেনের ঘোষিত সহায়তা আটকে দিতে বা কাটছাঁট করতে বাধ্য করতে পারে রিপাবলিকানরা। কেউ কেউ অবশ্য এই আশঙ্কার কথা উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, ভোটের মাঠে এমন প্রচারণা চালালেও বাস্তবে রিপাবলিকানরা এমন পদক্ষেপ নাও নিতে পারেন।
এদিকে, রিপাবলিকানরা এই নির্বাচন নিয়ে যতটুকু উৎসাহী তার চেয়ে বেশি সোচ্চার হচ্ছেন নির্বাচনের ফলাফলের ওপর আগাম প্রতিক্রিয়া নিয়ে। তাদের আশঙ্কা, ২০২০ সালের মতোই কারচুপি করে ফলাফল পাল্টে দেয়া হবে। এ কারণে আগাম অভিযোগের প্রচারণা চালাচ্ছেন তারা। সম্ভবত বিষয়টিকে মাথায় নিয়েই প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত সপ্তাহে বলেছেন, মার্কিন গণতন্ত্র হুমকির সম্মুখীন। ওয়াশিংটন পোস্টের রাজনৈতিক বিশ্লেষক কলিয়ান কনওয়ের বাইডেনের এই বক্তব্যটিকে নিয়েই বিশ্লেষণমূলক নিবন্ধে বলেছেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনের একটি মহড়া হয়ে যাচ্ছে দুই দলেই। বিশেষ করে ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২৪ সালে জিতলে কী করবেন, তা এখানে বলা শুরু করে দিয়েছেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প তার সহকর্মী রিপাবলিকানদের

মঙ্গলবারের ভোটের তরঙ্গে দেশবাসীকে শরিক করার আহ্বান জানিয়েছেন। ঢেউ না তুললে আমেরিকা ধ্বংস হয়ে যাবে বলে ভবিষ্যদ্বাণীও করেছেন তিনি।
একই বিন্দুতে ৩ নেতা : পেনসিলভানিয়া রাজনীতির কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল গত শনিবার। মধ্যবর্তী নির্বাচনের শেষ লগ্নে ছয়জন জীবিত রাষ্ট্রপতির মধ্যে তিনজনই এই রাজ্যটিকে রাজনৈতিক যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করেছিলেন। ভয়ানক সব বক্তব্য দিয়ে সারাদেশের দুই দলের সমর্থকদের কথার যুদ্ধে নামিয়ে দেন তারা। যে কারণে লাখ লাখ আমেরিকান ওয়াশিংটনের ক্ষমতার ভারসাম্য নির্ধারণের ক্ষণ গণনা শুরু করে দিয়েছেন। তবে ৩৯ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ ইতোমধ্যে ভোট দিয়েছেন। মঙ্গলবার তা শেষ হবে।
যেন বাংলাদেশি বাহাস : মার্কিন মধ্যবর্তী নির্বাচনের প্রচারণায় যেন বাংলাদেশি রাজনীতির হাওয়া বইছে। বাংলাদেশে যেমন দুই দলের একে অপরকে দোষাদোষি করেন- একইভাবে ট্রাম্প বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র ধ্বংস হয়ে গেছে। দেশের পতনকে ঠেকাতে হলে মঙ্গলবারের ভোটে রিপাবলিকানকেই সমর্থন দিতে হবে। তিনি বলেন, আপনি যদি আমাদের দেশকে ধ্বংস থেকে রক্ষা করতে চান এবং আমেরিকান স্বপ্নকে বাঁচাতে চান, তবে মঙ্গলবার আপনাকে অবশ্যই রিপাবলিকানকে ভোট দিতে হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ‘পতনশীল দেশ’ হিসেবে বর্ণনা করেন তিনি।
অপরদিকে বাইডেন বলছেন, দেশ এগিয়ে গেছে। আগামী বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে আমেরিকার স্বপ্নে ডেমোক্রেটদের কোনো বিকল্প নেই। সাবেক রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামার সঙ্গে একই মঞ্চে বাইডেন বলেন, দেশ এগিয়ে গেছে। এর ধারাবাহিকতার জন্য আমাদের ভোট দিন। অনেকে বলছেন ২০২৪ সালের রাষ্ট্রপতির দৌড়ের দিকে চোখ রেখেই দুইজন বক্তব্য রাখছিলেন।
টুইটারের বিরুদ্ধে বাইডেন : মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মন্তব্য করেছেন, টুইটার এখন মিথ্যার মঞ্চ। ইলন মাস্ক এমন সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম কিনেছেন যা পুরো দুনিয়ায় মিথ্যা ছড়াচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে ডেমোক্র্যাটের তহবিল সংগ্রহের অনুষ্ঠানে একথা বলেন প্রেসিডেন্ট।
ইলন মাস্ক টুইটারকে ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতার স্বর্গ’ গড়ে তোলার যে ঘোষণা দিয়েছেন, সেদিকে ইঙ্গিত করে বাইডেন বলেন, আমাদের বাচ্চারা ঝুঁকিতে রয়েছে। তারা যে (টুইটারের মতপ্রকাশের স্বাধীনতার) ব্যাপারটি বুঝবে তা আমরা কীভাবে আশা করব? হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জিন-পিয়েরে শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, ঘৃণাত্মক বক্তব্য এবং ভুল তথ্য কমাতে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সামাজিক প্ল্যাটফর্মগুলোর গুরুত্বের বিষয়ে বাইডেন প্রশাসন স্পষ্টবাদী।
গণতন্ত্র রক্ষার কথা : মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ওয়াশিংটনে গণতন্ত্র সংরক্ষণ ও সুরক্ষার বিষয়ে মন্তব্য করেছেন গত রবিবার। তিনি বলেন, দেশে চাকরি বেড়েছে, বেকারত্ব কমেছে। আমেরিকায় এখন গনতন্ত্রকে রক্ষা করতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়