গ্রেপ্তার ৭ : ইশরাকসহ ১৩০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

আগের সংবাদ

শর্তগুলো কঠিন হলেও যৌক্তিক : আইএমএফের শর্ত মেনেই ঋণ নেয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের, ব্যাংক ঋণের সুদ বাড়ানোর প্রস্তাবে ব্যবসায়ীদের আপত্তি

পরের সংবাদ

নীলক্ষেত তুলা মার্কেট : অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান ডিএসসিসির

প্রকাশিত: নভেম্বর ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঢাবি প্রতিনিধি : কোনো রকম অনুমতি, পূর্ব পরিকল্পনা ও নকশা ছাড়া গড়ে ওঠা নীলক্ষেত দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মার্কেটের (তুলা মার্কেট) ১৭৭টি অবৈধ দোকান ও স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে নেমেছে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। গতকাল রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিনিয়র সহকারী সচিব মো. মুনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।
জানা যায়, নীলক্ষেতের তুলা মার্কেটটি দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন। তিনতলা বিশিষ্ট এই মার্কেটের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলা অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে। এছাড়াও নিচ তলায় ৩৫টি দোকান বাদে বাকি দোকান ও স্থাপনাও অবৈধ। উচ্ছেদ অভিযানে দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার ৭৫টি করে মোট ১৫০টি এবং নিচতলায় ৩৫টি দোকানের পেছনে যেসব জায়গায় অবৈধভাবে দোকান গড়ে উঠেছে এসব মিলিয়ে মোট ১৭৭টি অবৈধ স্থাপনায় উচ্ছেদ অভিযান চলে।
উচ্ছেদ অভিযানের আগে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে সিনিয়র সহকারী সচিব মো. মুনিরুজ্জামান বলেন, দীর্ঘ সময় আগে সিটি করপোরেশন বৈধভাবে একতলা বিশিষ্ট নীলক্ষেত মার্কেটি নির্মাণ করে। কিন্তু কিছুদিন আগে এই মার্কেটটিতে কোনো ধরনের পরিকল্পনা, নকশা ও সিটি করপোরেশনের অনুমতি ছাড়া দুই ও তিনতলা পর্যন্ত এমনভাবে নির্মাণ করা হয়েছে, যে কোনো সময়ে ধ্বসে পড়তে পারে। এতে বড় ধরনের প্রাণহানিরও শঙ্কা রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এই বিষয়টি উপলব্ধি করে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এখানে যত অবৈধ স্থাপনা আছে সেগুলো উচ্ছেদের নির্দেশনা দেন। আমরা বারবার এখানকার সংশ্লিষ্টদের দোকান সরাতে বললেও তারা অবৈধ মার্কেটটি সরিয়ে নেয়নি। তাই আজকে আমরা দুই ও তিনতলার সম্পূর্ণ এবং নিচতলার ৩৫টি দোকানের যে অংশটুকু রাস্তার দিকে বাড়ানো হযেছে সেটা উচ্ছেদ অভিযানে নেমেছি।
মার্কেটটিতে এতদিন কেন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মেয়র তাপস যখন থেকে দায়িত্ব নিয়েছেন তারপর থেকে সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন মার্কেটের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে যাচ্ছেন। তারই একটা অংশ হিসেবে আজকে এই উচ্ছেদ অভিযান। এর আগে ফুলবাড়িয়া মার্কেট, সুন্দরবন মার্কেটে নকশা বহির্ভূত দোকানগুলোকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন বাকি মার্কেটগুলোতেও অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে তিনি জানান।
মার্কেটটির সঙ্গে সিটি করপোশনের কিছু মানুষের হাত আছে এমন অভিযোগ শোনা যায়। যারা এই অবৈধ দোকানের সঙ্গে সম্পৃক্ত তাদের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে এমন প্রশ্নের জবাবে মনিরুজ্জামান বলেন, বিষয়টি মেয়রকে জানানো হয়েছে। মেয়র এতে যতপ্রকার অনিয়ম আছে সেগুলো কঠোরভাবে দমনের নির্দেশনা দিয়েছেন। তার নির্দেশনা অনুয়ায়ী পরবর্তী সময়ে কারো সংশ্লিষ্টতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় দোকান ভাড়া নেয়া একাধিক ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মার্কেট কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদ অভিযানের একদিন আগে তাদের এ বিষয়ে জানায়। ব্যবসায়ীরা রবিবার রাতেই তাদের মালামাল সেখান থেকে সরিয়ে নেন। এতে ব্যবসায় বড় রকমের লোকসানের মুখে পড়তে হবে বলেও জানান ব্যবসায়ীরা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়