গ্রেপ্তার ৭ : ইশরাকসহ ১৩০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

আগের সংবাদ

শর্তগুলো কঠিন হলেও যৌক্তিক : আইএমএফের শর্ত মেনেই ঋণ নেয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের, ব্যাংক ঋণের সুদ বাড়ানোর প্রস্তাবে ব্যবসায়ীদের আপত্তি

পরের সংবাদ

দেশে বিদ্যুৎ ঘাটতি কমেছে : লোডশেডিং পরিস্থিতির উন্নতি

প্রকাশিত: নভেম্বর ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীসহ সারাদেশে লোডশেডিং পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। শীত ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুতের ঘাটতি দেড় হাজার মেগাওয়াট থেকে ৫০০ মেগাওয়াটে নেমে এসেছে। ঢাকায় অসহনীয় লোডশেডিং কমে সহনীয় পর্যায়ে এসেছে। সরবরাহ বাড়ায় ডিপিডিসি ও ডেসকোর ঘাটতিও অর্ধেকের নিচে নেমেছে। মার্চ পর্যন্ত লোডশেডিং অবস্থার আরো উন্নতি হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
গত আগস্ট মাসে ডিপিডিসির এলাকায় দিনে ও রাতে ৪০০ মেগাওয়াটের বেশি পরিমাণ বিদ্যুতের ঘাটতি ছিল। এতে প্রতিটি ফিডারে (নির্দিষ্ট গ্রাহক এলাকা) অন্তত দুই থেকে পাঁচবার পর্যন্ত লোডশেডিং করা হয়েছে। সরকারের এক ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের সূচি মানা সম্ভব হয়নি। ডেসকোর এলাকাতেও প্রায় ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি ছিল। সারাদেশে দেড় হাজার থেকে প্রায় ২ হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত ঘাটতি দেখা দেয়। গত ২১ অক্টোবর থেকে গরম কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুতের ব্যবহার কমেছে। এ কারণে বিদ্যুতের ঘাটতিও কমতে শুরু করেছে। রাজধানীতে যেখানে দিনে কমপক্ষে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা এবং ঢাকার বাইরে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টার বেশি লোডশেডিং হচ্ছিল, সেখানে এখন ১ থেকে ২ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। বিদ্যুতের ঘাটতি দেড় হাজার মেগাওয়াট থেকে ৫০০ মেগাওয়াটে নেমে এসেছে।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, শীত আসার কারণে বাসাবাড়িসহ সব জায়গায় বিদ্যুতের ব্যবহার কমেছে। এতে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হচ্ছে। ঘাটতি কম থাকায় লোডশেডিং কম হচ্ছে। ডিসেম্বরে বিদ্যুতের ঘাটতি ও লোডশেডিং আরো কমবে।
তিনি বলেন, আমাদের জ¦ালানির সাপ্লাই চেইনে সংকট থাকায় বিদ্যুৎ উৎপাদনেও সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। আগামীতে এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি। আগামী দুই তিন মাসের মধ্যে কয়লাভিত্তিক কয়েকটি নতুন পাওয়ার প্লান্ট উৎপাদনে আসবে।
ঢাকা পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান জানান, লোডশেডিং পরিস্থিতি নির্ভর করে বিদ্যুতের সরবরাহ কম বেশির ওপর। ডিপিডিসি বেশি বিদ্যুৎ পেলে বেশি সরবরাহ করতে পারে। তখন আর লোডশেডিংয়ের প্রয়োজন হয় না। দুই সপ্তাহ আগেও আমাদের ঘন ঘন লোডশেডিং দিতে হয়েছে। কিন্তু এই পরিস্থিতির এখন উন্নতি হয়েছে। বিদ্যুৎ বেশি পাওয়ায় বেশি সরবরাহ করা হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নিজেও আশা এবং শঙ্কার কথা জানিয়েছে। তিনি বলেছেন, লোডশেডিং পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। শীতের সময়টাতে লোডশেডিং থাকবে না। বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রধান কাঁচামাল তেল ও গ্যাসের সংগ্রহ না করতে পারলে আগামীতে লোডশেডিং পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে। সুখবর হচ্ছে অল্পদিনের মধ্যেই কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো উৎপাদনে আসছে। আমরা খারাপ পরিস্থিতি সামাল দিতে পরিকল্পনা নিয়েছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়