গ্রেপ্তার ৭ : ইশরাকসহ ১৩০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

আগের সংবাদ

শর্তগুলো কঠিন হলেও যৌক্তিক : আইএমএফের শর্ত মেনেই ঋণ নেয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের, ব্যাংক ঋণের সুদ বাড়ানোর প্রস্তাবে ব্যবসায়ীদের আপত্তি

পরের সংবাদ

ড. দেলোয়ার হোসেন, অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় : ভারতের উদ্বেগ খতিয়ে দেখা উচিত

প্রকাশিত: নভেম্বর ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : তিস্তা নদী সমন্বিত ব্যবস্থাপনা প্রকল্পকে ‘স্পর্শকাতর’ হিসেবে চিহ্নিত করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ও বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন বলেছেন, এখানে দুই ধরনের বিষয় কাজ করছে। এরমধ্যে একটি হচ্ছে ভূরাজনীতিগত বিষয়, অন্যটি হচ্ছে প্রকল্পে কী কী শর্ত থাকছে সেটির বিশ্লেষণ। সত্যিকার অর্থে প্রকল্প নিয়ে কী হচ্ছে তা আমরা জানি না। তবু চীন, ভারত দুই দেশ থেকেই এই প্রকল্প নিয়ে তৎপরতা আছে। এই প্রেক্ষাপটেই হয়ত প্রকল্পটি নিয়ে বাংলাদেশ গভীরভাবে বিবেচনা করছে। গতকাল রবিবার রাতে ভোরের কাগজের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি বলেন, প্রকল্প নিয়ে এখন যে অবস্থা তাতে বাংলাদেশের করণীয় হচ্ছে ভারতের উদ্বেগ নিরসনে কথা বলা। অর্থাৎ ভারত যে উদ্দেশে প্রকল্পটি নিয়ে নেতিবাচক কথা বলছে, উদ্বেগ প্রকাশ করেছে- তা কেন করেছে তা বাংলাদেশের খতিয়ে দেখা উচিত। কারণ ভারত বাংলাদেশের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশি। ২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশ-ভারত নিরাপত্তা ইস্যুতে একে অন্যকে সহায়তা করছে। ভারতের নিরাপত্তা বিঘিœত হয় এমন কোনো কাজও করেনি বাংলাদেশ। এমতাবস্থায় এই প্রকল্প নিয়ে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের আলোচনা করা উচিত। দুই দেশের মধ্যে প্রকল্প নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার পরই বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, ভারতের সঙ্গে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি না হওয়ায় চীনের মাধ্যমে তিস্তা নদী সমন্বিত ব্যবস্থাপনা প্রকল্প নামে একটি মহাপরিকল্পনা তৈরি করে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, কৃত্রিম জলাধার তৈরি করে পানি ধরে রেখে সারাবছর সেচ কাজে ব্যবহার করা হবে। পাশাপাশি ১১৫ কিলোমিটার নদীর পুরো অববাহিকা গভীর খনন ও দুই পাড়ে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হবে। এর ফলে স্থায়ীভাবে ভাঙনরোধ হওয়ার পাশাপাশি ফিরে আসবে বন্দর কেন্দ্রীক যোগাযোগ ব্যবস্থা। নদীর দু’ধারে মেরিন ড্রাইভ তৈরির মাধ্যমে পুরো জনপদ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সড়ক যোগাযোগের সঙ্গে যুক্ত হবে। প্রায় পৌনে ২০০ বর্গ কি.মি. জমি উদ্ধার হবে। যেখানে গড়ে উঠবে একাধিক শিল্প এলাকা, স্যাটেলাইট শহর। এজন্য চীন ৮ হাজার ২শ কোটি টাকা ঋণ দিতেও প্রস্তুত।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়