কাগজ প্রতিবেদক : ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ ও তা পুনঃগনণা সম্ভব- তা করে দেখাল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গত শনিবার ডিএসসিসি নির্বাচনের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বুথের ভোট পুনঃগননা করে দেখা হয় এবং সেক্ষেত্রে ফলাফল একই পাওয়া যায়। গতকাল রবিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হলে তা পুনঃগণনাও করা যায়। আড়াই বছর আগে ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট হয়। কিন্তু উত্তর সিটির ৬ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডের এক প্রার্থী ভোট পুনঃগননার জন্য নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। পরে ট্রাইব্যুনাল ওই ওয়ার্ডের ভোট পুনঃগণনার আদেশ দেন।
ইসির যুগ্ম সচিব (পরিচালক জনসংযোগ) এস এম আসাদুজ্জামান বলেন, ওই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন ভোট পুনঃগণনার জন্য নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালকের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেন। এ কমিটি গত শনিবার সংশ্লিষ্ট সবার উপস্থিতিতে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ভোট পুনঃগণনা করে। এতে দ্বিতীয় দফায় ভোট গণনায় একই ফল পাওয়া যায়। ভোট পুনঃগণনার সময় সংশ্লিষ্ট প্রিসাইডিং অফিসার, প্রার্থী, এজেন্ট এবং তাদের আইনজীবীরা ছিলেন।
পুনঃগণনা কীভাবে : ইসির জনসংযোগ পরিচালক আসাদুজ্জামান বলেন, ভোট পুনঃগণনার জন্য নির্বাচনী মালামালের সীলগালা বস্তা খোলা হয়। ইভিএম মেশিনে অডিটকার্ড প্রবেশ করিয়ে তা থেকে ফলাফল দেখা হয়। নির্বাচনের দিন ঘোষিত ফলাফলের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয়। অডিট কার্ডের ফলাফল এবং ঘোষিত ফলাফল একই পাওয়া যায়। এবারই প্রথম আদালতের আদেশে ইভিএমের ভোটের ফলাফল পুনঃগণনা করা হল।
উল্লেখ্য, ২০১০ সাল থেকে ইভিএমের ব্যবহার শুরু করে তৎকালীন এ টি এম শামসুল হুদা কমিশন। স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন নির্বাচনে ইভিএমের ব্যবহার শুরু হয়। কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ কমিশনের সময় আগের ইভিএমের ব্যবহার কিছুটা হোঁচট খায়। পরে কে এম নূরুল হুদা কমিশন ফের ইভিএমের ব্যবহার শুরু করে এবং একাদশ সংসদ নির্বাচনে ছয়টি আসনেও প্রথমবারের মতো ইভিএমে ভোট হয়।
এ ধারাবাহিকতায় কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন সংসদীয় উপনির্বাচন ও স্থানীয় সরকারের সবক্ষেত্রে ইভিএম ব্যবহার করে আসছে। আগামী সংসদ নির্বাচনেও সর্বোচ্চ দেড়শ আসনে ইভিএম ব্যবহারের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর আগে ইভিএম নিয়ে বিশিষ্টজন ও দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুধরনের মন্তব্য আসে।