আব্দুল মজিদ মল্লিক, আত্রাই (নওগাঁ) থেকে : আত্রাইয়ে নদী ও বিভিন্ন খাল-বিলে নিষিদ্ধ রিংজাল দিয়ে অবাধে চলছে মাছ শিকার। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলা আর উদাসীনতার সুযোগে এক শ্রেণির অসাধু মৎস্য শিকারি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এবার আত্রাইয়ে বর্ষার পানি কম হওয়ায় নদী ও খাল-বিলে পানি কম। এ জন্য অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারে মাছের প্রজননও অনেক কম হয়েছে। তার ওপর নিষিদ্ধ রিংজাল ব্যবহারে দেশীয় প্রজাতির মাছের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এতে উপজেলার হাজার হাজার জেলে বিপাকে পড়েছেন।
জানা যায়, উপজেলার ৮ ইউনিয়নে সহস্রাধিক জেলে পরিবার রয়েছে। তারা সারা বছর মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। বছরের অন্যান্য সময় তেমন মাছ না হলেও বর্ষা মৌসুমে মাছ বিক্রি করেই তাদের সারা বছরের রোজগার করে নিতে হয়। বর্ষাকালে পানি কম হওয়ায় এমনিতেই মৎস্যজীবীরা হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। তারপরও বর্ষা মৌসুমের শেষের দিকে কিছুটা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে আত্রাই নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছিল। ফলে নদীতে মাছের প্রজনন শুরু হয়েছিল। কিন্তু প্রজনন বৃদ্ধি পেলেও অসাধু মাছ শিকারিদের রিংজালে তা চরমভাবে ব্যাহত হয়। ফলে বর্ষা মৌসুমের শেষের দিকে যেমন দেখা দিয়েছে মাছের সংকট তেমনি বিপাকে পড়েছেন জেলেরা।
আত্রাই উপজেলা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি ভূষণ চন্দ্র হাওলাদার বলেন, নদী ও খাল-বিলে আশঙ্কাজনক হারে রিংজালের ব্যবহার বেড়েছে। আর এ জালে সব ধরনের মাছ নিধন করা সম্ভব। এভাবে মাছ নিধন হতে থাকলে মৎস্যজীবীরা অসহায় হয়ে পড়বেন।
উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা পলাশচন্দ্র দেবনাথ বলেন, বিভিন্ন স্থানে রিংজালের ব্যবহার হচ্ছে। আমরা এগুলো প্রতিরোধে অভিযানও চালাচ্ছি। ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটি অভিযান চালিয়ে জাল আটক এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।