৪০তম বিসিএস : নন-ক্যাডারদের সাংস্কৃতিক প্রতিবাদ মোমবাতি প্রজ্বালন

আগের সংবাদ

ঝুলে গেল সমন্বিত তিস্তা প্রকল্প : ভূরাজনৈতিক চাপের কারণে এই প্রকল্প এগিয়ে নিতে আগ্রহ হারিয়েছে সরকার, এখনো হাল ছাড়েনি চীন

পরের সংবাদ

সোনারগাঁওয়ে মাদ্রাসা ছাত্রীকে গণধর্ষণ : গ্রেপ্তার ২

প্রকাশিত: নভেম্বর ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার বারদী ইউনিয়নের আলগীরচর গ্রাম থেকে এক কিশোরী মাদ্রাসা ছাত্রীকে অপহরণ করে দলবেঁধে ধর্ষণ করেছে তিনজন বখাটে। এ ঘটনায় গত শুক্রবার সন্ধ্যায় অভিযুক্ত দুই বখাটেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন- বারদী সেনপাড়া গ্রামের সামসুল হকের ছেলে রাকিব ও নাগপাড়া গ্রামের মৃত মফিজউদ্দিনের ছেলে মোশারফ হোসেন। গতকাল শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী উপজেলার একটি মহিলা মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণির ছাত্রী। মাদ্রাসায় যাওয়া-আসার পথে রাকিব, মোশারফসহ কয়েকজন তাকে উত্ত্যক্ত করত। এর জেরে ওই ছাত্রী মাদ্রাসায় যাওয়া-আসা বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে বখাটেরা বাড়িতে গিয়ে ওই ছাত্রীকে ক্ষতি করার হুমকি দেয়। গত ১ নভেম্বর রাতে ওই ছাত্রী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হলে রাকিবের নেতৃত্বে শাকিল ও মোশারফ মুখ চেপে ধরে তাকে পার্শ্ববর্তী দৌলরদী ছাগইল্লাপাড়া এলাকার সেলিম মিয়ার ছেলে শাকিলের বাড়িতে আটকে রাখে। পরে তারা তিনজনে মিলে একাধিক বার ধর্ষণ করে। পরদিন সকালে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে ওই বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
এ ঘটনার পর ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে ঘটনাটি তার মাকে খুলে বলে। বিষয়টি এলাকায় সালিশকারীদের জানিয়ে বিচার দাবি করলে তারা বিচারের আশ্বাস দিয়ে ঘুরাতে থাকেন। তিন দিনেও প্রতিকার না পেয়ে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় সোনারগাঁও থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই ছাত্রীর বাবা। এরপরই বারদী বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত রাকিব ও মোশারফকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা বলেন, আমরা গরিব মানুষ। স্থানীয় গ্রাম্য সালিশকারীদের কাছে বিচার চেয়ে তিনদিনেও কোনো প্রতিকার পাইনি। আমি আমার মেয়ের ইজ্জত হারানোর সঠিক বিচার চাই। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। সোনারগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আহসানউল্লাহ বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়েরের পর দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়