৪০তম বিসিএস : নন-ক্যাডারদের সাংস্কৃতিক প্রতিবাদ মোমবাতি প্রজ্বালন

আগের সংবাদ

ঝুলে গেল সমন্বিত তিস্তা প্রকল্প : ভূরাজনৈতিক চাপের কারণে এই প্রকল্প এগিয়ে নিতে আগ্রহ হারিয়েছে সরকার, এখনো হাল ছাড়েনি চীন

পরের সংবাদ

‘সর্বজন কথা’র সেমিনারে বক্তারা : জ্বালানির সংকট মোকাবিলায় পরনির্ভরশীলতা কমাতে হবে

প্রকাশিত: নভেম্বর ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঢাবি প্রতিনিধি : দেশে চলমান বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট মোকাবিলা করতে দ্রুত সময়ের মধ্যে জাতীয় সক্ষমতা অর্জন, দেশের প্রাকৃতিক গ্যাসক্ষেত্রগুলোতে কোম্পানির পরনির্ভরশীলতা কমিয়ে নিজ দেশের প্রযুক্তি ও জনবল ব্যবহার করতে হবে। গতকাল শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ চৌধুরী মিলনায়তনে ‘সর্বজন কথা’র আয়োজনে এক সেমিনারে এ কথা বলেন আলোচকরা। ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট : উৎস, উত্তরণের প্রশ্ন’ প্রতিপাদ্যে ওই সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।
এতে আলোচকরা বলেন, বিদেশি কোম্পানিগুলোর ওপর গ্যাস উত্তোলনে নির্ভরশীলতা রয়েছে। এ কারণে অনেক সময় ঠিকভাবে গ্যাস উত্তোলন করা যায় না। অনেক সময় বিভিন্ন কারণে অর্ধেক কাজের পর তারা কাজ বন্ধ করে দেয়। এতে আমাদের আর্থিক ক্ষতিও হচ্ছে। দেশের এখন এত গ্যাস সংকট, আমাদের অনেক ডলার আমদানি করে গ্যাস আমদানি করতে হচ্ছে। তাই এই নির্ভরশীলতার জায়গা থেকে বের হয়ে নিজেরা সক্ষমতা অর্জন করতে না পারলে সমস্যার সমাধান কখনো হবে না।
সেমিনারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে যদি গবেষণার জন্য অর্থ বরাদ্দ দিয়ে তাদের এই কাজের সঙ্গে যুক্ত করা যায়, তাহলে একটা জাতীয় সক্ষমতা তৈরি হতো। মাত্র ৫০০ কোটি টাকা খরচ করে নিজেরা সক্ষমতা অর্জন করলে জ্বালানি সংকটসহ সব সংকট মোকাবিলা করা সম্ভব। তিনি আরো বলেন, জাতীয় সক্ষমতার ওপর দাঁড়িয়ে যদি গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন হতো, পাশাপাশি নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রাতিষ্ঠানিক কেন্দ্র তৈরি করা যেত। এতে ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধ, যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতি, তেল গ্যাসের সরবরাহ কমে যাওয়াসহ যাই হোক না কেন বাংলাদেশের কিছু যেত আসত না।
কারণ আমাদের গ্যাস সরবরাহ যদি ঠিক থাকত, নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা যদি বাড়ত তাহলে সারা দুনিয়াতে যা কিছু হোক আমাদের জ্বালানি খাতে কোনো ঘাটতি হতো না।
সেমিনারে আলোচক হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক বদরুল ইমাম, বিপিডিবি পাওয়ার সেলের সাবেক মহাপরিচালক বিডি রহমতুল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মোশাহিদা সুলতানা, প্রকৌশলী কল্লোল মোস্তফা প্রমুখ।
গ্যাস বিদ্যুৎ সংকটের উৎস ও বাংলাদেশের জ্বালানি পরিকল্পনা, জ্বালানি খাতে দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্র ও জনদুর্ভোগ এবং কয়লা প্রকল্প, ভবিষ্যৎ জ্বালানি ও উন্নয়ন প্রশ্ন- এই তিনটি অধিবেশনে সেমিনারে আলোচকরা আলোচনা করেন। সেমিনারে মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ প্রকল্পের উপর ভিত্তি করে তথ্যচিত্র নির্মাতা আবদুল্লাহ মাহফুজ অভির ‘দ্য ডার্টি ডেভেলপমেন্ট’ তথ্যচিত্রটি প্রদর্শনী করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়