৪০তম বিসিএস : নন-ক্যাডারদের সাংস্কৃতিক প্রতিবাদ মোমবাতি প্রজ্বালন

আগের সংবাদ

ঝুলে গেল সমন্বিত তিস্তা প্রকল্প : ভূরাজনৈতিক চাপের কারণে এই প্রকল্প এগিয়ে নিতে আগ্রহ হারিয়েছে সরকার, এখনো হাল ছাড়েনি চীন

পরের সংবাদ

ফরিদপুর-২ উপনির্বাচন : সাজেদাপুত্র লাবু চৌধুরী জয়ী

প্রকাশিত: নভেম্বর ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বিভাষ দত্ত, ফরিদপুর ও আরিফুল ইসলাম, সালথা থেকে : সদ্য প্রয়াত সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর আসনে (ফরিদপুর-২) উপনির্বাচনে তার কনিষ্ঠ পুত্র শাহাদাব আকবর লাবু চৌধুরীকেই বেছে নিয়েছেন ভোটাররা। নৌকা প্রতীক নিয়ে ৬৮৮১২ ভোট পেয়েছেন তিনি। তার নিকটতম একমাত্র প্রতিদ্ব›দ্বী বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী জয়নুল আবেদন বকুল মিয়া পেয়েছেন ১৪৮৭৮ ভোট। গতকাল শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এ আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পুরো ভোট ইভিএমে নেয় ইসি।
জানা যায়, নগরকান্দা ও সালথা উপজেলা এবং সদরপুরের কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন নিয়ে ফরিদপুর-২ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ১৮ হাজার ৪৭২ জন, ভোট দিয়েছেন ৮৩ হাজার ৬৯০ জন। যা মোট ভোটারের শতকরা ২৬ দশমিক ২৭ শতাংশ। ইভিএমে ভোট গ্রহণ করায় কোনো ভোট নষ্ট হয়নি। ১২৩টি কেন্দ্রের ৮০৬টি কক্ষে ভোটগ্রহণ করা হয়। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল। প্রতি তিনটি কেন্দ্রের বিপরীতে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের জন্য নির্বাচন কমিশন মনোনীত একজন ব্যক্তি নিয়োজিত থাকেন।
এর আগে গত শুক্রবার সকাল থেকেই স্ব-স্ব রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মালামাল পৌঁছতে থাকে ভোটকেন্দ্রে। সন্ধ্যার আগেই কেন্দ্রে মালামাল পৌঁছে যায়। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪টায় ইভিএমে ভোটগ্রহণ শেষ হয়। সকালের দিকে ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বিকালের দিকে ভোটারের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। কোনো রকম সহিংসতা ছাড়াই শেষ হয় ফরিদপুর-২ আসনের উপনির্বাচন।
ভোটে অনিয়ম হয়নি- সিইসি : ফরিদপুর-২ আসনে উপনির্বাচনে কোনো ধরনের অনিয়ম না থাকায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। গতকাল নির্বাচন ভবনে সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণকেন্দ্রে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। স্থানীয়ভাবে পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি এ আসনের সব কেন্দ্র ও ভোটকক্ষ মিলিয়ে ১ হাজার ৫২টি সিসি ক্যামেরায় নির্বাচন ভবন থেকে ভোট পর্যবেক্ষণ করেন সিইসি ও অন্য নির্বাচন কমিশনাররা।
এরপর সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল সাংবাদিকদের কাছে পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এ উপনির্বাচনে অনিয়ম একেবারেই দেখিনি। খুবই শান্তিপূর্ণভাবে ফরিদপুর উপনির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। তবে ভোটার উপস্থিতি তুলনামূলক কম দেখা গেছে বলে জানান তিনি। সিইসি বলেন, যেটা আমাদের প্রত্যাশা ছিল, সিসি ক্যামেরায় দেখলাম শান্তিপূর্ণ হয়েছে। সিসি ক্যামেরার একটা ইতিবাচক দিক রয়েছে। সিসি ক্যামেরায় ভোট পর্যবেক্ষণ করা নতুন একটি সংযোজন। যেটা নিয়ন্ত্রণ ও ইলেক্ট্ররাল গভার্নেন্সকে আরো বিস্তৃত করবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগে গত ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে অনিয়ম সিসি ক্যামেরায় দেখে পুরো উপনির্বাচনটি বন্ধ করে দেয় ইসি। ফলে ইসির পক্ষ থেকে একটি সতর্কবার্তা পৌঁছে যায় দলগুলো ও সমর্থকদের কাছে। অনিয়মের তদন্তও করছে সংস্থাটি। এ নিয়ে বিভিন্ন দল ও ব্যক্তি ইসির সমালোচনা করেন। পরে জেলা পরিষদ নির্বাচন সফলভাবে সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করেন তারা। এর ফলে ফরিদপুর-২ আসনের উপনির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সব প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা সতর্ক হয়ে যান। ফলে কোনো অনিয়ম হয়নি বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়