৪০তম বিসিএস : নন-ক্যাডারদের সাংস্কৃতিক প্রতিবাদ মোমবাতি প্রজ্বালন

আগের সংবাদ

ঝুলে গেল সমন্বিত তিস্তা প্রকল্প : ভূরাজনৈতিক চাপের কারণে এই প্রকল্প এগিয়ে নিতে আগ্রহ হারিয়েছে সরকার, এখনো হাল ছাড়েনি চীন

পরের সংবাদ

পর্যটক বেশে চুরি, ঠিকাদার বেশে প্রতারণা করত ওরা

প্রকাশিত: নভেম্বর ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ভারতীয় সিনেমা ‘ধুম’ দেখে চুরির বিভিন্ন কৌশল রপ্ত করেন রাজু হাসান ওরফে মেহেদী হাসান রাজু ওরফে আফসার হোসেন তুহিন। এরপর সহযোগী ফজলুল করিম দিপুকে নিয়ে পর্যটকের বেশে পর্যটন এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় চুরি করতেন। সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণকৃত ছবিতে যাতে চেনা না যায়, তাই প্রথমে মাসখানেক চুল-দাঁড়ি বড় করতেন রাজু। টার্গেট অনুযায়ী চুরির পর সেলুনে গিয়ে ক্লিন শেভ ও চুলের স্টাইল পরিবর্তন করে গা ঢাকা দিতেন তারা। অবশেষে এই দুই চোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার দুপুরে শুক্রাবাদে চেকপোস্ট বসায় পুলিশ। এ সময় একটি মোটরসাইকেলে আসছিল গ্রেপ্তারকৃতরা। তাদের থামার সংকেত দিলে না থেমে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের দেহ তল্লাশি করে ১টি স্বর্ণের নেকলেস, ৯টি স্বর্ণের আংটি, ২টি স্বর্ণের ব্রেসলেট, ৩টি স্বর্ণের কানের দুল, লকেটসহ ১টি স্বর্ণের চেইন, বিভিন্ন দেশের ৩৯টি নোট, নগদ ৭৮ হাজার ৫০০ টাকা ও ১টি রেজিস্ট্রেশনবিহীন মোটরসাইকেল জব্ধ করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃত রাজু ২০১১ সাল থেকে চুরি করে আসছিল। সে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন সময় সংঘটিত প্রায় শতাধিক চুরির সঙ্গে সরাসরি জড়িত। স¤প্রতি কক্সবাজার জেলা সদরের একটি বাসায় চুরি হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধারকৃত মালামালগুলো ওই বাসা থেকেই চুরি করা হয়েছিল। শেরেবাংলা নগর থানার ওসি উৎপল বড়–য়া বলেন, রাজু পর্যটকের বেশে কক্সবাজারে গিয়ে বহুজাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা এনজিও কর্মকর্তাদের বাসায় চুরি করতেন। এ সময় বাইরে পাহারা দিতেন দিপু। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এদিকে কখনো আরমান, কখনো মুশফিকুর রহমান পরিচয়ে পদস্থ কর্মকর্তা, ঠিকাদার বা ব্যবসায়ী সেজে প্রতারণার অভিযোগে মিরপুর থেকে নাজমুল হোসেন নামে এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। তার কাছ থেকে একটি নম্বরবিহীন প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়েছে।
মোহাম্মদপুর থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, মোহাম্মদপুরের টাউনহলে ৪-এ লাইট হাউসের একটি ইলেক্ট্রনিক পণ্যের দোকানে যায় গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি। সে নিজেকে ঠিকাদার পরিচয় দেয়। ২/১ দিনের মধ্যে ১১ লাখ টাকার পণ্য নেয়ার কথা বলে। ২ দিন পর ওই দোকানের মালিককে ফোন দিয়ে বেশ কিছু পণ্য ভাসানটেকের ঠিকানায় সরবরাহের কথা বলে। কথা মতো ৭ লাখ ৩৯ হাজার ৩৪০ টাকার মালামাল দুজন কর্মচারীসহ পিকআপে করে পাঠিয়ে দেন মালিক। পণ্য পেয়ে গ্রেপ্তার নাজমুল সব মালামাল ভাসানটেকের আরেকটি ইলেকট্রিক দোকানে ডিসকাউন্টে বিক্রি করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী দোকানি মামলা করলে প্রতারক নাজমুলকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওসি জানান, নাজমুল কখনো জাতীয় পরিচয়পত্র, কখনো বা জন্মসনদ ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে ট্রেড লাইসেন্স করতেন। এরপর পরিস্থিতি বুঝে কখনো পদস্থ কর্মকর্তা, কখনো ঠিকাদার বা কখনো ব্যবসায়ী সেজে প্রতারণা করে বেড়াতেন। মানুষের বিশ্বাস অর্জনের জন্য প্রাইভেটকার ব্যবহার করতেন তিনি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নানা পরিচয়ে ২৩টির বেশি প্রতারণার কথা স্বীকার করেছেন নাজমুল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়