৪০তম বিসিএস : নন-ক্যাডারদের সাংস্কৃতিক প্রতিবাদ মোমবাতি প্রজ্বালন

আগের সংবাদ

ঝুলে গেল সমন্বিত তিস্তা প্রকল্প : ভূরাজনৈতিক চাপের কারণে এই প্রকল্প এগিয়ে নিতে আগ্রহ হারিয়েছে সরকার, এখনো হাল ছাড়েনি চীন

পরের সংবাদ

জনপ্রিয় জগার্স

প্রকাশিত: নভেম্বর ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মুহাম্মদ হুসাইন সেলিম

শীতের হিম বাতাস বইতে শুরু করছে। ঝুপ করে নামা এই শীতে সকালবেলা জগিংয়ে চাই ক্যাজুয়াল স্টাইল উইদ মিনিমাম এফোর্ট। স্টাইলিংয়ের অপশন রয়েছে মেলা। নিট কাপড়ে তৈরি এধরনের বটম হিসেবে জগার্স তারুন্যের পোশাক তালিকায় বেস্ট অপশনই বটে।

দেখতে অনেকটা জগিং প্যান্টের মতো, তবে ‘স্ট্রিট ওয়্যার প্যান্ট’ হিসেবে যে কোনো ক্যাজুয়াল পার্টিতে পরে যেতে পারেন।
ইউরোপে বেশ আগে থেকে জনপ্রিয় জগার্স। আমাদের দেশে এটি ট্রেন্ডে ইন। জগার্স বলতে জগিং করার প্যান্ট মনে করলে ভুল হবে। কারণ জগার ক্যাজুয়াল প্যান্ট হিসেবে যে কোনো অনুষ্ঠানে ভালো দেখাবে। শীতে জগার পরলে আরামও মিলবে। কারণ ডিজাইন বৈচিত্র্যের অনেক জগার্স এর নিচের দিকটা পায়ের সঙ্গে আটকানো থাকে। নিট ও ওভেন দুই ধরনের কাপড়ে এই প্যান্ট তৈরি হচ্ছে। সব মৌসুমে পরার উপযোগী করেই বানানো হচ্ছে এই প্যান্ট। উৎসবের মৌসুমে জগারের আধিক্য থাকবে। সাধারণ প্যান্টের মতো করেই তৈরি হচ্ছে জগার। ভিন্নতা কোমর ও প্যান্টের নিচের দিকে। কোমরে ইলাস্টিক বা ফিতা ব্যবহার করা হচ্ছে। প্যান্টের নিচের দিকে ব্যবহার হচ্ছে চওড়া রাবার। কখনও আবার ট্রাউজারের মতো নিচের দিকটা তৈরি হচ্ছে। কিছু কিছু প্যান্টে সামনে জিপার আছে।

জগারের রকমভেদ
জগার্স, জগিং বটম কিংবা সোয়েট প্যান্ট নাম যা-ই হোক না কেন, মূলত ট্র্যাডিশনাল স্টাইলের স্পোর্টস প্যান্ট হিসেবে পরিচিত।
ব্যায়ামের সময় পরার কারণে পোশাকটি অ্যাথলেটিক লুক দেয়। ক্যাজুয়াল ও আরামদায়ক হওয়ায় প্রতিদিনকার স্ট্রিট ফ্যাশনে টিন থেকে তরুণ সবার প্রিয় হয়ে উঠেছে জগার সেট।

ধরন
বেসিক জগার্সের ওপরের দিকটা ঢিলেঢালা আর পায়ের দিকটা চাপা থাকে। কোমরে ইলাস্টিক কিংবা ড্রস্ট্রিং দেওয়া আর গোড়ালির দিকেও ইলাস্টিক থাকে। ফলে ভালোভাবে শরীরে সেট হয় প্যান্ট। চাহিদা থাকায় জগার্সের কাট ও প্যাটার্ন নিয়ে নিরীক্ষাও হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে জেন্টল পার্কের চিফ ডিজাইনার শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী বাবু বলেন, ‘ঢিলেঢালার পাশাপাশি স্লিম লাইন স্টাইলের জগার্সও রয়েছে। পলিয়েস্টার ছাড়াও ডেনিম, সুতি, নিটের মতো কাপড়ে তৈরি হচ্ছে, যার ফলে ঘামরোধী, সহজে বাতাস চলাচল করতে পারে এবং দ্রুত ময়লা হয় না। ফ্যাশনের সঙ্গে আরামও নিশ্চিত থাকছে শতভাগ। ’
শার্ট, টি-শার্ট, পোলোর মতো পোশাকের সঙ্গে ভিন্ন ভিন্ন স্টাইলের জগার্স পরা যায়। তবে ক্যাজুয়াল পোশাক হিসেবে বেশি মানানসই। এখন অবশ্য বিভিন্ন ড্রেসকোডের সঙ্গে মানিয়ে নানা ধরনের উৎসব আর অনুষ্ঠানে পরা হচ্ছে।

রঙের বৈচিত্র্য
কাট কিংবা ম্যাটেরিয়াল যা-ই হোক না কেন, কালো জগার্স প্রায় সব ধরনের পোশাকের সঙ্গে সহজে মানায়। এ ছাড়া হালকা বা গাঢ় ছাই, নীল, বাদামি জগার্সও পরতে পারেন। একরঙার পাশাপাশি ক্যামোফ্লাজ প্রিন্টেড জগার্সও চলছে। আবার ব্যাগিয়ার ফিটেরও আছে ক্যাজুয়াল জগার্স। রোজকার ট্রাউজার কিংবা জিন্সের বদলে অনায়াসেই পরে নেওয়া যায়। স্মার্ট জগার্স তৈরি হয় স্লিম ফিটে। কোন পোশাকে কেমন

জগার্স সবচেয়ে বেশি মানায় ক্রু-নেক টি-শার্টের সঙ্গে। সে ক্ষেত্রে কাফ দেওয়া চাপা জগার্সগুলো বেছে নিতে পারলে ভালো। সেই সঙ্গে পায়ে পরতে হবে সোয়েডের লোফার। ফরমাল শার্ট ঢিলেঢালা করে জগার্সের মধ্যে গুঁজে নিলে ভালো দেখাবে। পায়ে থাকবে লোফার। আর কুল ক্যাজুয়াল লুকের জন্য শর্ট স্লিভ শার্টের সঙ্গে একদম সাদামাটা একরঙা জগার্স পরতে পারেন। সঙ্গে নিউট্রাল শেডের স্লিমসোল কিংবা বোট শু বেশি মানাবে। স্পোর্টি জগার্সের সঙ্গে পোলো শার্ট ভালো যায়। রঙের ক্ষেত্রে পোলো ও জগার্স ম্যাচিং হলে ভালো লাগবে। ম্যাচিং না করলে ছাই কিংবা কালো জগার্স পরতে পারেন। আর জগার্স একরঙা হলে সঙ্গে প্যাটার্নড পোলো বেছে নেওয়া যায়।

পোশাক : নোয়া ( পুরুষ ) ও সেইলর ( নারী )পরিকল্পনা ছাড়াই ‘যেমন আছি তেমনভাবে’ হুটহাট বেরিয়ে পড়ার অভ্যাস অনেকের রয়েছে। তাদের কাছে বেশ জনপ্রিয় জগার্স। ক্রীড়াপোশাক হিসেবে আবির্ভাব হলেও বর্তমানে ছেলেদের ফ্যাশনে এর জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। কারণ, নকশা এবং কাপড় এটিকে খেলার মাঠ থেকে প্রাত্যহিক পোশাকের জগতে প্রবেশ করিয়েছে। তাই অভিজাত ফ্যাশন ব্র্যান্ড থেকে শুরু করে বড় বড় ডিজাইনার এটিকে সাদরে গ্রহণ করছেন। এটি এখন স্ট্রিট ফ্যাশনে প্রিয় অনুসঙ্গও বটে!

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়