৪০তম বিসিএস : নন-ক্যাডারদের সাংস্কৃতিক প্রতিবাদ মোমবাতি প্রজ্বালন

আগের সংবাদ

ঝুলে গেল সমন্বিত তিস্তা প্রকল্প : ভূরাজনৈতিক চাপের কারণে এই প্রকল্প এগিয়ে নিতে আগ্রহ হারিয়েছে সরকার, এখনো হাল ছাড়েনি চীন

পরের সংবাদ

ইউক্রেন যুদ্ধ : খুনি-মাদক কারবারিদের পাঠাচ্ছেন পুতিন

প্রকাশিত: নভেম্বর ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ইউক্রেনে কথিত বিশেষ সামরিক অভিযান পরিচালনায় এখন জেলফেরত খুনি ও মাদক কারবারিদের সেনাবাহিনীতে যুক্ত করছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। এমন খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। সামরিক অভিযান চালাতে গত ফেব্রুয়ারিতে নিজের সেনাদের ইউক্রেনে পাঠান পুতিন। এরপর কেটে গেছে প্রায় সাড়ে আট মাস। কিন্তু এখনো রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামেনি। বিবিসি বলেছে, অপরাধীদের সেনাবাহিনীতে যুক্ত করতে প্রেসিডেন্ট পুতিন আইন সংশোধন করেছেন। সংশোধিত আইনে দণ্ডপ্রাপ্ত অপরাধীদেরও সেনাবাহিনীতে (রিজার্ভ ফোর্সে) যুক্ত করার বিষয়টি রাখা হয়েছে। তবে জঙ্গিবাদ ও শিশু যৌন নির্যাতনের অপরাধে জেলখাটাদের এ আইনের বাইরে রাখা হয়েছে।
এদিকে সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের গঠিত একটি কমিশন জানায়, রাশিয়ার সেনারা ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে বেসামরিকদের হত্যা এবং যৌন নির্যাতন। ইউক্রেনও দাবি করেছে, রুশ সেনারা হাজার হাজার যুদ্ধাপরাধ করেছে। এখন দণ্ডপ্রাপ্তদের সেনাবাহিনীতে যুক্ত করে ইউক্রেন যুদ্ধে পাঠানোয় এ ধরনের অপরাধ আরো বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
সেপ্টেম্বরেই খবর বের হয় রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাবাহিনী ওয়াগনার গ্রুপ জেলবন্দিদের ইউক্রেনে যুদ্ধ করতে উদ্বুদ্ধ করছে।
একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল ওয়াগনার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ইয়েভগিনি প্রিগোজিন জেলবন্দিদের প্রস্তাব দিচ্ছেন- যদি তারা ছয় মাস ইউক্রেনে যুদ্ধ করে তাহলে তাদের সাজা মওকুফ করে দেয়া হবে।
যদিও রাশিয়ার আইনে ‘যুদ্ধ করার বদলে শাস্তি মওকুফের’ কোনো সুযোগ নেই। তবুও জেলবন্দিদের এমন প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল।
আগে ওয়াগনার গ্রুপ গোপনে তাদের কার্যক্রম চালালেও এখন প্রকাশ্যে তারা সদস্য সংগ্রহ করছে। এ শুক্রবারই সেন্ট পিটার্সবার্গে নিজেদের অফিস খুলেছে ওয়াগনার।
এদিকে এর আগে ২২ সেপ্টেম্বর আংশিক সেনা সমাবেশের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। এরপর পুরো রাশিয়াজুড়ে সেনা সমাবেশের কার্যক্রম চলে। সেপ্টেম্বরের শেষে এ কার্যক্রম শেষ হয়।
প্রেসিডেন্ট পুতিন জানিয়েছেন, ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নিতে যেসব সেনাসমাবেশ করা হয়েছিল তার মধ্যে ইতোমধ্যে ৪৯ হাজার সেনা ইউক্রেনে সামরিক অভিযানে অংশ নিতে চলে গেছে।
এদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেছিলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সেনাসমাবেশের ঘোষণা দেয়ার বিষয়টি ইঙ্গিত করছে ইউক্রেনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে রুশ সেনারা। এ কারণে পুতিনকে বাধ্য হয়ে নতুন করে সেনাসমাবেশ করতে হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়