৪০তম বিসিএস : নন-ক্যাডারদের সাংস্কৃতিক প্রতিবাদ মোমবাতি প্রজ্বালন

আগের সংবাদ

ঝুলে গেল সমন্বিত তিস্তা প্রকল্প : ভূরাজনৈতিক চাপের কারণে এই প্রকল্প এগিয়ে নিতে আগ্রহ হারিয়েছে সরকার, এখনো হাল ছাড়েনি চীন

পরের সংবাদ

আইএমএফের ঋণের কিছু শর্তে টিআইবির উদ্বেগ

প্রকাশিত: নভেম্বর ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশকে সাড়ে চার বিলিয়ন ডলার ঋণ দিতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কিছু শর্তের বৈষম্যমূলক প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে নিজস্ব নীতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক এই ঋণদাতা সংস্থার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। গতকাল শনিবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংস্থাটি এ উদ্বেগের কথা জানায়।
জ্বালানি, সার, বিদ্যুৎ ও গ্যাসে ভর্তুকি সংস্কারের মতো কিছু শর্তের সম্ভাব্য অসম প্রভাবের বিষয়ে আইএমএফ প্রতিনিধিদলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে টিআইবি বলেছে, শর্তের পুরো প্যাকেজকে এমনভাবে সাজানো উচিত যাতে এরই মধ্যে অতিরিক্ত চাপে থাকা সাধারণ মানুষের ওপর বৈষম্যমূলক প্রভাব আরো বেড়ে না যায়।
বৈশ্বিক ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানটির নীতিগত বাধ্যবাধকতার কথা উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ঋণ আলোচনায় আইএমএফ নিজস্ব নীতি বিশেষ করে, সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং দুর্নীতি ও অর্থ পাচার প্রতিরোধে কার্যকর কৌশলগত বিষয়ে মনোযোগ দিতে হতাশাজনকভাবে ব্যর্থ হয়েছে। উল্লিখিত পদক্ষেপগুলো না নিয়ে তৈরি করা শর্তের প্যাকেজ কাক্সিক্ষত উদ্দেশ্য অর্জন করবে- এমন সম্ভাবনা কম। বরং এর মাধ্যমে এরই মধ্যে অতিরিক্ত চাপে থাকা দেশের সাধারণ মানুষের ওপর বৈষম্যমূলক প্রভাবের বাড়তি বোঝা তৈরি হবে। শিফন বলেন, আইএমএফের ঋণ দেবার ব্যবসার অপরিহার্য বাস্তবতা হচ্ছে তাদের দেয়া শর্ত, যা প্রায়শই কঠিন এবং অপ্রীতিকর হয়। তবে প্রশ্ন হলো- শর্তের প্যাকেজ কি জনস্বার্থকে প্রাধান্য দেয়, নাকি তা জনগণের জন্যই বিপরীতমুখী ফল বয়ে আনে? তিনি বলেন, আইএমএফ প্রতিনিধিদলের বাংলাদেশের নি¤œ কর-জিডিপি অনুপাত নিয়ে উদ্বেগ যথার্থ। কিন্তু প্রধানত ভ্যাটের ওপর আইএমএফের প্রস্তাবিত কৌশলের নির্ভরতা উদ্বেগজনক, যার বৈষম্যমূলক প্রভাব সর্বজনবিদিত। অন্যদিকে, শর্তসমূহে ব্যাপক কর ফাঁকি এবং অর্থপাচার, বিশেষ করে মিস ইনভয়েসিংভিত্তিক অবৈধ অর্থ পাচার প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সম্ভাব্য পদক্ষেপের কোনো ইঙ্গিত নেই। দেশে ও দেশের বাইরে আর্থিক লেনদেনের তথ্যের স্বয়ংক্রিয় আদান-প্রদানের জন্য কমন রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ড (সিআরএস) নেয়া গেলে এসব দুর্নীতি ও অর্থ পাচার রোধ করা সম্ভব হতো।
ড. ইফতেখারুজ্জামান আরো বলেন, আইএমএফ দুর্নীতি এবং অর্থ পাচার রোধে সুনির্দিষ্টভাবে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ। আমরা আশা করি, আন্তর্জাতিক ঋণদাতা এই প্রতিষ্ঠান নিজেদের সম্পর্কে যা প্রচার করে তা অনুশীলনও করবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়