৪০তম বিসিএস : নন-ক্যাডারদের সাংস্কৃতিক প্রতিবাদ মোমবাতি প্রজ্বালন

আগের সংবাদ

ঝুলে গেল সমন্বিত তিস্তা প্রকল্প : ভূরাজনৈতিক চাপের কারণে এই প্রকল্প এগিয়ে নিতে আগ্রহ হারিয়েছে সরকার, এখনো হাল ছাড়েনি চীন

পরের সংবাদ

অ্যাপ্রোচ সড়ক নেই : বাউফলে একাধিক ব্রিজে লাখো মানুষের দুর্ভোগ

প্রকাশিত: নভেম্বর ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

অতুল পাল, বাউফল (পটুয়াখালী) থেকে : বাউফলে কয়েকটি আরসিসি গার্ডার ব্রিজের অ্যাপ্রোচ সড়ক না থাকায় এবং একটি ব্রিজের কাজ দীর্ঘদিন ফেলে রাখায় লাখো মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ব্রিজের এই বেহাল দশায় সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কেশবপুর ইউনিয়নের কালামিয়া বাজারের ব্রিজ, ধুলিয়া ইউনিয়নের ধুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন খালের ব্রিজ, কাছিপাড়ায় ইউনিয়নের একটি ব্রিজ এবং কনকদিয়া ইউনিয়নের বীরপাশা এলাকার একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। প্রতিটি ব্রিজ এক কোটি ২৮ লাখ থেকে এক কোটি ৩৫ লাখের মধ্যে নির্মাণ করার জন্য কেকে এন্টারপ্রাইজ ও শাইনির এন্টারপ্রাইজ নামের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের চুক্তি হয়। এর মধ্যে ধুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন ব্রিজটির কেবলমাত্র পাইলিং করে দেড় বছরেরও অধিক সময় ফেলে রাখা হয়েছে। বাকি তিনটি ব্রিজের মূল কাজ অনেক পূর্বেই শেষ হলেও অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ না করায় সাধারণ মানুষ ব্রিজগুলো থেকে কোনো সুবিধা পাচ্ছে না। কেশবপুর ইউনিয়নের কালামিয়া বাজারের ব্রিজ ও ধুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন খালের উপর নির্মাণাধীন ব্রিজ দুটোর সড়ক দিয়ে পটুয়াখালী ও ভোলার শত শত মানুষ এবং কলেজ ও বিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থীরা দৈনিন্দন যাতায়াত করে। একইভাবে কাছিপাড়া ও বীরপাশার ব্রিজটি দিয়ে শত শত পথচারী ও শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করছে। ওই ব্রিজগুলো দিয়ে বাউফল সদরসহ উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারের সংযোগ রয়েছে। কিন্তু ব্রিজগুলোর অ্যাপ্রোচ সড়ক না থাকা এবং মাঝপথে ব্রিজের নির্মাণ কাজ ফেলে রাখায় লাখো মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। স্থানীয়রা কাঠের তক্তা এবং বাঁশের নড়বড়ে সাঁকো বানিয়ে যাতায়াত করছে। ঘটছে অহরহ দুর্ঘটনা। চুক্তি অনুযায়ী টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষে ব্রিজগুলোর নির্মাণ কাজ গত ২২ ফেব্রুয়ারি শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শেষ করার কোনো চিন্তাই করছে না। ধুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হুমায়ন কবির দেওয়ান বলেন, ঢাকা-বাউফল রুটের অসংখ্য লঞ্চযাত্রী এবং ভোলা-পটুয়াখালীর অনেক মানুষ প্রতিদিন এই পথে যাতায়াত করেন। সেতুটি নির্মাণ না করায় সবাই ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। প্রায় ৪ কিলোমিটার পথ ঘুরে বিকল্প পথে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে এলজিইডির বাউফল উপজেলা প্রকৌশলী সুলতান হোসেন বলেন, ফেলে রাখা কাজ পুনরায় শুরু করতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে একাধিকবার নোটিস দেয়া হয়েছে। সর্বশেষ ৩০ দিন সময় দিয়ে অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে নোটিস দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে কাজ শুরু না করলে তাদের সঙ্গে করা চুক্তি বাতিল করা হবে এবং লাইসেন্স কালো তালিকাভুক্ত করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়