৪০তম বিসিএস : নন-ক্যাডারদের সাংস্কৃতিক প্রতিবাদ মোমবাতি প্রজ্বালন

আগের সংবাদ

ঝুলে গেল সমন্বিত তিস্তা প্রকল্প : ভূরাজনৈতিক চাপের কারণে এই প্রকল্প এগিয়ে নিতে আগ্রহ হারিয়েছে সরকার, এখনো হাল ছাড়েনি চীন

পরের সংবাদ

অর্থনীতিতে ঝুঁকি আরো বাড়ছে : ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম. অর্থনীতিবিদ

প্রকাশিত: নভেম্বর ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেছেন, অর্থনীতিতে ক্রমশই সংকট ঘনীভূত হচ্ছে। বাণিজ্য ঘাটতি ও রিজার্ভ কমে যাওয়ায় ডলারের ওপর চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। এক্সচেঞ্জ রেট বেশি ডেপ্রিসিয়েট করলে তা আবার মূল্যস্ফীতির ওপরে চাপ সৃষ্টি করছে। ফলে অর্থনীতিতে ঝুঁকিও বাড়ছে। গতকাল শনিবার ভোরের কাগজের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জ্জা আজিজ বলেন, সদ্যবিদায়ী অর্থবছরে রপ্তানি আয় ভালো থাকলেও অতিরিক্ত আমদানির বিল পরিশোধের ফলে রেকর্ড পরিমাণ বাণিজ্য ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এছাড়াও আন্তর্জাতিকভাবে পণ্যর দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানির পরিমাণের পাশাপাশি ব্যয়ও বেড়েছে। বিপরীতে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে যাওয়ায় বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে। ফলে অর্থনীতিতে ঝুঁকিও বাড়ছে। সেইসঙ্গে রিজার্ভ ক্রমাগত নিচে নেমে যাচ্ছে। মূল্যস্ফীতির পরিমাণ আরো বাড়ছে। তিনি আরো বলেন, শিল্প খাতের বিকাশ ঘটাতে হলে আমদানি বাড়বে। আমদানি বাড়লে রপ্তানিও বাড়তে হবে। কিন্তু দেশে আমদানি যে হারে বাড়ছে, ওই হারে রপ্তানি বাড়ছে না। ফলে বাণিজ্য ঘাটতি বাড়ছে। ডলারের যে সংকট- এর নেপথ্যেও বাণিজ্য ঘাটতির ভূমিকা রয়েছে। এতে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রা আরো কষ্টকর হয়ে পড়বে।
এ বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, এজন্য নতুন বাজার সৃষ্টি এবং পণ্যের বিকেন্দ্রীকরণ করে রপ্তানি কীভাবে বাড়ানো যায় সেই চেষ্টা করতে হবে। পাশাপাশি রেমিট্যান্স বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। রেমিট্যান্স বাড়াতে জনগণকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের এক্সচেঞ্জ রেট পলিসি খুব ‘কনফিউজিং’। ফলে এখনো ব্যাংকগুলোর সঙ্গে খোলা বাজারে ডলারের রেট বেশি। এতে অফিসিয়াল চ্যানেলে রেমিট্যান্স কমে যাচ্ছে। বাড়ছে হুন্ডি প্রবণতা।
মির্জ্জা আজিজ আরো বলেন, মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরতে হবে, যদিও তা একেবারেই অসম্ভব। এই অবস্থা মোকাবিলার জন্য যতটা সম্ভব অপ্রয়োজনীয় আমদানি ব্যয় কমিয়ে আনতে হবে। পাশাপাশি প্রান্তিক নি¤œ আয়ের জনগোষ্ঠীকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় আনতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়